কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর |
কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর
উত্তর ভূমিকা : কেস স্টাডি একটি পদ্ধতি নির্ভর গবেষণা প্রক্রিয়া। অল্প সংখ্যক উত্তরদাতার ওপর গভীর গবেষণামূলক দৃষ্টিভঙ্গি বা কর্মসূচি গঠন করতে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় কেস স্টাডি পদ্ধতি অধিকতর উপযোগী।
পারিবারিক বাজেট' সম্পর্কে জানতে গিয়ে সর্বপ্রথম এ পদ্ধতি সামাজিক বিজ্ঞানে প্রয়োগ করা হয়। সমাজ বিজ্ঞানী হার্বার্ট স্পেন্সার বিভিন্ন সংস্কৃতির তুলনামূলক পর্যবেক্ষণে কেস স্টাডি পদ্ধতি প্রয়োগ করেন।
কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য : কেস স্টাডি পদ্ধতির বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম্নে কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করা হলো :
১. একক পর্যালোচনা : কেস স্টাডি পদ্ধতি সংযোগশীল একক হিসেবে কোনো ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান, কোনো সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী যা সমগ্র সম্প্রদায়কে পর্যালোচনা করে থাকে অথবা কোনো বিমূর্ত বিষয়
যেমন— একটি সম্পর্ক গুচ্ছ কোনো পরিবারিক সদস্যাদি, কোনো রোগের সঙ্গে সঙ্গতিবিধান বা বন্ধুত্ব স্থাপন প্রভৃতি ক্ষেত্রেও কেস স্টাডি একক, হিসাবে বিষয়গুলোকে প্রত্যক্ষ করে।
২. একক নির্বাচনের প্রক্রিয়া : যেহেতু একটা পরিব্যাপ্তি সময়ে এবং বিস্তারিতভাবে কেস স্টাডি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তাই এককের সংখ্যা স্বভাবতই ছোট হবে। যদিও এ সংক্রান্ত কোনো বাধা ধরা নিয়মকানুন কিছু নেই।
তবে এককের সঠিক সংখ্যা একটি কেসস্টাডির ক্ষেত্রে কি হবে তা নমুনায়নের বিজ্ঞানভিত্তিক কৌশলের প্রেক্ষিতে প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী একক হিসাবে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
৩. গুণগত বৈশিষ্ট্য বিচার : যেকোনো কেস স্টাডি হবে উৎকৃষ্ট গুণগত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এর শর্তাবলীও হবে গুণগত দিক থেকে বিচারবিবেচনা সাপেক্ষ।
এক্ষেত্রে গবেষক তার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, প্রখর পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত ক্ষমতা এবং ঘটনাবলির তুলনায় যুক্তির ওপর অধিকতর প্রাধান্য দিয়ে থাকেন ।
৪. আচরণগত ধরনের জ্ঞান : কেস স্টাডি পদ্ধতিতে কি এবং কেন উপাদানগুলো চর্চিত হয়। এর দ্বারা এককের আচরণ সম্পর্কিত জটিল ধরন ধারণগুলো সম্পর্কে জ্ঞানলাভের সুযোগ ঘটে। আচরণগত উপাদানগুলো আবিষ্কারের মাধ্যমে আচরণের ধরন ধারণ সম্পর্কে একটা পূর্ণাঙ্গ চিত্র ফুটে ওঠে।
৫. সমগ্র একক পর্যালোচনা : এককের সামগ্রিক দিকের পর্যালোচনা ব্যতীত কোনোভাবেই ফলাফল পর্যালোচনা সম্ভব নয়। বস্তুত কেস স্টাডির ভিত্তিই হলো ব্যক্তি অথবা পরিবারের জীবনধারার পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা ব্যতীত প্রকৃত সত্য উন্মোচনই সম্ভব নয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কেস স্টাডির মধ্যে দিয়ে সমাজ গবেষক নানাভাবে উপকৃত হয়ে থাকেন। সমাজবিজ্ঞানীগণের কেস স্টাডির দ্বারা নানাবিধ কৌশল আয়ত্ত করে গবেষণার পক্ষপাতিত্ব থেকে মুক্ত একটি নিরপেক্ষ গবেষণা প্রক্রিয়া গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য যে, নির্ভরযোগ্য গবেষণাক্লিয়ার ব্যক্তিগত জীবন ইতিহাস এবং তৎসম্পর্কিত পরিসংখ্যান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।