কেস স্টাডির অসুবিধা আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কেস স্টাডির অসুবিধা আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কেস স্টাডির অসুবিধা আলোচনা কর।
কেস স্টাডির অসুবিধা আলোচনা কর |
কেস স্টাডির অসুবিধা আলোচনা কর
উত্তর ভূমিকা : সামাজিক সমস্যা অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো কেস স্টাডি। পারিবারিক বাজেট সম্পর্কে জানতে গিয়ে সর্বপ্রথম এ পদ্ধতি সামাজিক বিজ্ঞানে প্রয়োগ করা হয়।
এর দ্বারা সমাজ গবেষকগণ কোনো সামাজিক পরিস্থিতি, সমষ্টি ও ব্যষ্টিকে যাচাই করে থাকেন । এ পদ্ধতি এক বা একাধিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে একটি সাধারণ সূত্রে আসার চেষ্টা করা হয়।
কেস স্টাডি হলো কোনো একটি সামাজিক একক সম্পর্কে সুগভীর পর্যালোচনা কোনো কোনো গবেষক এক একটি স্বাধীন পদ্ধতি না বলে কেবল কৌশল হিসেবে অভিহিত করতে চান। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমে গবেষক বিস্তীর্ণ ও গভীর অভিজ্ঞতা লাভ করে ।
কেস স্টাডির অসুবিধা : কেস স্টাডি পদ্ধতির অনেক ভূমিকা থাকলেও পদ্ধতির অসুবিধার কমতি নেই। নিম্নে কেস স্টাডি পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. ব্যয় সাপেক্ষ : বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করার কাজে আগ্রহী হওয়ার কারণে এ পদ্ধতি বেশি সময় সাপেক্ষ হয়ে থাকে । এছাড়া সংগৃহীত তথ্যাবলি বিশ্লেষণেও বেশি সময় লাগে।
২. সামান্যকরণের সমস্যা : কেস স্টাডি পদ্ধতিতে খুব সীমিত আকারেই সামান্যীকরণ করা যায়। প্রত্যেক এককের স্বতন্ত্র্য বর্তমান থাকে । ফলে এক এককের সাথে অন্যান্য এককসমূহের তুলনা করা যায় না। ফলে কেস স্টাড়ির মাধ্যমে সর্বশেষে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয় না।
৩. পক্ষপাত : কেস স্টাডি পদ্ধতিতে গবেষকের ওপর ধরাবাঁধা নিয়মের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে এবং তথ্য বিশ্লেষণ সাপেক্ষে কোনো সিদ্ধান্তে আসার ক্ষেত্রে গবেষকের পক্ষপাতের ছাপ পড়ে থাকে ।
৪. কম নির্ভরযোগ্য : কেস স্টাডির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যসমূহ সঠিক ও নির্ভরযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ তথ্য সরবরাহকারী অনেক সময় গবেষকের ইচ্ছা আগ্রহকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজের খেয়াল খুশি মতো উত্তর প্রদান করে থাকে । ফলে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে ।
৫. ব্যয় বহুল : কেস স্টাডি পদ্ধতির আর একটি দুর্বলতা হচ্ছে এ পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য রেকর্ড করার জন্য গবেষককে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে হয় । ফলে অধিক মাত্রায় ব্যয় বেড়ে যায় ।
৬. আংশিক পদ্ধতি : কেস স্টাডি পদ্ধতি এককভাবে কোনো ঘটনার ব্যাখ্যা ও ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না । এটা অপর কোনো পদ্ধতির সাহায্যকারী পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয় । এজন্য অনেকে কেস স্টাডি পদ্ধতিকে আংশিক পদ্ধতি হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, কেস স্টাডির সীমাবদ্ধতা নানাবিধ সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে কেস স্টাডির মধ্য দিয়ে সমাজ গবেষক নানাভাবে উপকৃত হয়ে থাকেন।
সমাজ বিজ্ঞানীগণের কেস স্টাডির দ্বারা নানাবিধ কৌশল আয়ত্ত করে গবেষণার পক্ষপাতিত্ব থেকে মুক্ত একটি নিরপেক্ষ গবেষণা প্রক্রিয়া গড়ে তোলা সম্ভব হয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কেস স্টাডির অসুবিধা আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কেস স্টাডির অসুবিধা আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।