গুণবাচক ও পরিমাণবাচক উপাত্ত বলতে কী বুঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গুণবাচক ও পরিমাণবাচক উপাত্ত বলতে কী বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গুণবাচক ও পরিমানবাচক উপাত্ত কাকে বলে।
গুণবাচক ও পরিমাণবাচক উপাত্ত বলতে কী বুঝ |
গুণবাচক ও পরিমাণবাচক উপাত্ত বলতে কী বুঝ
- অথবা, গুণবাচক ও পরিমানবাচক উপাত্ত কাকে বলে?
- অথবা, গুণবাচক ও পরিমাণবাচক উপাত্ত সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লেখ ।
উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণার মূল চালিকাশক্তি উপাত্ত। গবেষণা কাজের সাফল্য, ব্যর্থতা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা নির্ভর করে যথাযথ প্রক্রিয়ার সঠিক উপাত্ত সংগ্রহের ওপর।
কাজেই একটি গবেষণা কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য উপাত্তের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম । উপাত্ত হলো কোনো ঘটনা বা বিষয়ের সম্পর্কে অভিব্যক্তি। সামাজিক গবেষণায় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় ।
গুণবাচক ও পরিমাণবাচক উপাত্ত : নিম্নে গুণবাচক ও পরিমাণবাচক উপাত্ত সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. গুণবাচক উপাত্ত : যেসব উপাত্তকে সংখ্যায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, কিন্তু বিশেষ গুণের ভিত্তিতে একটিকে অন্যটি থেকে পৃথক বা আলাদা করা হয়, সেগুলোকে গুণবাচক উপাত্ত বলে।
যেমন— মেধা, বুদ্ধি, মনোভাব, সাফল্য, প্রত্যাশা, সৌন্দর্য ইত্যাদি। অর্থাৎ পরিসংখানিক অনুসন্ধানে যখন পর্যবেক্ষণ কোনো সংখ্যাত্মক মান গ্রহণ করতে পারে না,
কিন্তু প্রতিটি পর্যবেক্ষণের গুণের ভিত্তিতে পরস্পর বর্জনশীল ও সর্বসম্মিলিত শ্রেণিতে ভাগ করা যায় তখন তাদেরকে গুণবাচক পরিসংখানিক উপাত্ত বলে । এ ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করা হয় তাকে গুণ বলে । এখানে প্রতিটি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত পর্যবেক্ষণগুলো গণনা করা যায় ।
২. পরিমাণবাচক উপাত্ত : যে পরিসংখ্যানিক অনুসন্ধানে তথ্যবিশ্ব এককের পরিমাপ যা গণনা করে একসেট পর্যবেক্ষিত উপাদান পাওয়া যায় তাদেরকে একত্রে পরিমাণ বাচক উপাত্ত বলা হয় ।
পরিমাণবাচক উপাত্ত সংখ্যাত্মক হয় । অর্থাৎ যেসব উপাত্তকে সংখ্যায় প্রকাশ করা সম্ভব তাকে পরিমাণ বাচক উপাত্ত বলে। যেমন- বয়স, আয়, ব্যয়, উচ্চতা ইত্যাদি ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গুণবাচক উপাত্ত ও পরিমাণবাচক উপাত্ত, উপাত্ত প্রকাশের দুটি বিশেষ মাধ্যম। উপাত্ত প্রকাশের ক্ষেত্রে দুটি উপায়ই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। কোনটি গুণের মাধ্যমে আবার কোনটি এককের মাধ্যমে উপাত্তকে প্রকাশ করে থাকে ।
উপাত্তকে গবেষণার কাজে ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে দুটি উপায় বেশ সহায়ক কিছু উপাত্ত সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়। আর কিছু গুণের ভিত্তিতে আলাদা করে প্রকাশ করা হয় । গবেষণার কাজে দুটি উপায়ে উপাত্ত সংগ্রহ করা যায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ গুণবাচক ও পরিমাণবাচক উপাত্ত সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গুণবাচক ও পরিমাণবাচক উপাত্ত বলতে কী বুঝ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।