গ্রামীণ সমাজ অধ্যয়নে অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির গুরুত্ব আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গ্রামীণ সমাজ অধ্যয়নে অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির গুরুত্ব আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গ্রামীণ সমাজ অধ্যয়নে অংশগ্রহণমূলক পর্যাবেক্ষণ পদ্ধতির গুরুত্ব সংক্ষেপে বিশ্লেষণ কর।
গ্রামীণ সমাজ অধ্যয়নে অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির গুরুত্ব আলোচনা কর |
গ্রামীণ সমাজ অধ্যয়নে অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির গুরুত্ব আলোচনা কর
- অথবা, গ্রামীণ সমাজ অধ্যয়নে অংশগ্রহণমূলক পর্যাবেক্ষণ পদ্ধতির গুরুত্ব সংক্ষেপে বিশ্লেষণ কর।
- অথবা, গ্রামীণ সমাজ অধ্যয়নে অংশগ্রহণমূলক পর্যাবেক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে বর্ণনা কর ।
উত্তর ভূমিকা : অংশগ্রহণমূলক কৌশল সমাজ গবেষণার ক্ষেত্রে এক অনন্য কৌশল হিসেবে বিবেচিত। যাতে বৈজ্ঞানিক নিয়মনীতি সুন্দরভাবে অনুসৃত হয়ে থাকে। গবেষকের প্রত্যক্ষ প্রচেষ্টা এই কৌশলের সাফল্যের পিছনে কাজ করে । তাই গবেষকদের একটি বিরাট অংশ এই কৌশলকে ঘিরে কাজ করেন ।
বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির গুরুত্ব : নিম্নে এ পদ্ধতির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা হলো :
১. পল্লিউন্নয়ন কৌশল : পল্লিউন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিশ্লেষণে এ পদ্ধতি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রামীণ সমাজের বিভিন্ন দারিদ্র্যের স্বরূপ ও সমস্যা উদঘাটন করা সম্ভব হয়। আর এসব গবেষণার ওপর ভিত্তি করে দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লিউন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়ে থাকে ।
২. কৃষির উন্নয়ন : অংশগ্রহণমূলক কৃষির সহায়তায় গ্রাম ও কৃষির উন্নয়ন বেশ বেগবান হয় । কারণ গবেষকরা এতে গ্রামীণ পরিবেশের তুলনায় কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নে তৎপরতা দেখায়।
৩. জনগণের ক্ষমতায়ন : এ পদ্ধতিতে গবেষক গবেষণার পাশাপাশি জনগণকে বেশকিছু জানতে, বুঝতে এবং নানা বিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণে সহায়তা করে থাকেন । ফলে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন হয়, যা সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে।
৪. জনগণের মতামতের প্রতিফলন : এ পদ্ধতিতে জনগণের ইচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে থাকে। যে কারণে এ পদ্ধতিতে পরিচালিত গবেষণায় জনমতের প্রতিফলন ঘটে, যার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্তগ্রহণ সহজতর হয়। তাই যেকোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণমূলক কৌশল প্রয়োগ করে জনমত যাচাই করা হয় ।
৫. গণসচেতনতা : অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি গণসচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ গবেষণায় এলাকার জনগণ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে। তারা জনগণের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে যথাযথ পদ্ধতি নির্বাচন, উদ্ভাবন ও চিহ্নিতকরণের চেষ্টা করে। এর প্রভাবে সমাজের মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
৬. সমস্যা সমাধান : অংশগ্রহণমূলক কৌশল মানুষের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ ঘটে বিধায় এর মাধ্যমে সমাজের সমস্যাসমূহকে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়। অতঃপর সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য জনগণকে সার্বিক পরামর্শ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয় ।
৭. জরুরি সিদ্ধান্তগ্রহণ : এ পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো একটি এলাকার যেকোনো জরুরি বিষয়ে জরুরি সিদ্ধান্তগ্রহণ সম্ভব হয়। এটি একটি সংক্ষিপ্ত গবেষণা কৌশল । যে কারণে কোনো বিষয়ে জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে এ কৌশলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়।
৮. সার্বিক জীবনধারা সম্পর্কে জ্ঞানলাভ : এ পদ্ধতিতে সমাজের জনগণ তাদের প্রাত্যহিক ও সামাজিক জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার অভিজ্ঞতাসমূহ তুলে ধরে। ফলে সমাজের সঠিক জীবনধারা সম্পর্কে জানা যায়, যে কারণে সমাজ গবেষণায় অংশগ্রহণমূলক কৌশল গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হচ্ছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ। বিশ্বায়ন, আধুনিকীকরণ, উন্নয়নের ক্রমাগত ধারায় সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ইতিবাচক ধারার পাশাপাশি কিছু সামাজিক সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে।
এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের সাথে বাংলাদেশের বিবিধ উন্নয়নে গবেষণা কার্যে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ভূমিকা অপরিসীম।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ গ্রামীণ সমাজ অধ্যয়নে অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির গুরুত্ব আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গ্রামীণ সমাজ অধ্যয়নে অংশগ্রহণমূলক পর্যাবেক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।