গবেষণা সমস্যা কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গবেষণা সমস্যা কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গবেষণা সমস্যা কাকে বলে।
গবেষণা সমস্যা কাকে বলে |
গবেষণা সমস্যা কাকে বলে
উত্তর ভূমিকা : সমস্যা নির্বাচন সামাজিক গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম পদক্ষেপ। অসংখ্য সামাজিক উপাদান বা সমস্যা নিয়ে সমাজজীবন আবর্তিত হয়। আর বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিগত সামাজিক গবেষণা কর্মের সূচনা হয় এসব সামাজিক বিষয় বা সমস্যাকে কেন্দ্র করে।
গবেষণা থেকে যে ফলাফল তৈরি হয় তা সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানের পথ সৃষ্টি করে এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টির খোরাক জোগায় । এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে
যে সমাজের সকল সমস্যা বা উপাদানই গবেষণার বিষয়বস্তু হতে পারে না। আবার একজন গবেষকের নিকট গবেষণাযোগ্য সমস্যাসমূহকে একাধারে অনুসন্ধান কাজে ব্যবহার করা যাবে তাও ঠিক নয় ।
গবেষণা সমস্যা : গ্রিকশব্দ Proballein থেকে ইংরেজি Problem শব্দের উদ্ভব হয়েছে, যার অর্থ যা সম্মুখে হাজির করা হয়েছে। Problem শব্দের অর্থ সমস্যা, আর গবেষণার ইংরেজি প্রতিশব্দ Research। গবেষণা সমস্যা বলতে একটি সমস্যার সমাধান সম্পর্কে অনুসন্ধান কার্য পরিচালনা করা।
গবেষণা সমস্যা প্রণয়ন একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ধারণা প্রণয়নের বিষয়। এক্ষেত্রে প্রত্যেক গবেষক তার সৃষ্টিশীল কল্পনাশক্তি, পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা, ঘটনা প্রবাহ এবং যুক্তি প্রমাণের সমন্বয়সাধনের মাধ্যমে গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের দিকে ধাবিত হয়ে থাকেন।
গবেষণা সমস্যার বৈজ্ঞানিক প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য হলো একটি ফলপ্রসূ গবেষণা প্রকল্প প্রণয়নের প্রচুর রচনা ও বই যা ঐ বিষয়ে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ নির্দেশনা প্রদান করে ।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা :
ফিস্টার হ্যায়িং (Fister, Haing) এর মতে, “সমস্যা হলো এক ধরনের উপলব্ধি, অসুবিধা, কোনো বস্তুর অবস্থানগত কারণে অনুভূত অস্বাচ্ছন্দ্য, কারও প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মধ্যকার অসামঞ্জস্য।”
American College Dictionary প্রদত্ত সংজ্ঞানুযায়ী, "To recognize or establish as being particular person or things.'"
কারলিনজার (Kerlinger) এর মতে, “সাধারণভাবে সমস্যা বলতে এমন একটি প্রশ্নকে বুঝায় যা একটি অবস্থা বা পরিস্থিতি উপস্থাপন করে যার ব্যাপারে বিশ্লেষণ, অনুসন্ধান, সিদ্ধান্তগ্রহণ এবং সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।”
ফিলিপ (Philips) এর মতে, “গবেষণা সমস্যা এমন কিছু ধারণা উপস্থাপন করে যা গবেষণার লক্ষ্য নির্ধারণের মূল প্রসঙ্গকে নির্দিষ্ট করতে পারে।
তবে গবেষণা সমস্যার সাথে কেবল কতিপয় সমস্যাকে নিজস্ব ধারণার আলোকে গবেষণার বিষয়বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং যে দৃষ্টিভঙ্গি বা তাত্ত্বিক কাঠামোর রূপরেখায় সমস্যার অন্তর্গত প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করতে চাওয়া হয়েছে তারও উল্লেখ বুঝায়।”
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণা সমস্যা হচ্ছে সামাজিক সমস্যার একটি সংক্ষিপ্ত ও জ্ঞানগত শিরোনাম, তবে যেকোনো সামাজিক সমস্যাই গবেষণা সমস্যা হতে পারে না।
অন্যদিকে, গবেষণাকারী যেসব সামাজিক বিষয়কে গবেষণাযোগ্য বলে বিবেচনা করেন সেগুলো একযোগে অনুসন্ধান কাজে ব্যবহার করা সমীচীন নাও হতে পারে । এ কারণে যথাযথ শর্ত বা অবস্থা বিবেচনা করে উপযুক্ত গবেষণা সমস্যা বা বিষয় নির্বাচন করা হয়
আর্টিকেলের শেষকথাঃ গবেষণা সমস্যা কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গবেষণা সমস্যা কাকে বলে। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।