গবেষণা সমস্যা বর্ণনার কৌশল আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গবেষণা সমস্যা বর্ণনার কৌশল আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গবেষণা সমস্যা বর্ণনার কৌশল সংক্ষেপে লেখ।
গবেষণা সমস্যা বর্ণনার কৌশল আলোচনা কর |
গবেষণা সমস্যা বর্ণনার কৌশল আলোচনা কর
- অথবা, গবেষণা সমস্যা বর্ণনার কৌশল সংক্ষেপে লেখ ।
- অথবা, গবেষণা সমস্যা প্রকাশের কৌশল বর্ণনা কর ।
উত্তর ভূমিকা : গবেষণা সমস্যা নির্ধারণ ও নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত জটিল বিষয়। যথার্থ প্রস্তুতি এবং কৌশল অবলম্বন না করে অগ্রসর হলে গবেষণার যথার্থ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব নয় ।
সুতরাং গবেষক সুদূরপ্রসারী চিন্তার অধিকারী, দক্ষ ও সুবিরেচক হলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গবেষণায় স্থান পেতে পারে। গবেষণার মূলেও প্রথম কাজ হলো একটি সময়োপযোগী এবং বাস্তবসম্মত গবেষণা সমস্যা প্রণয়ন করা।
বিপুল আলোচনা, বিতর্ক, সমালোচনা, সভা, সেমিনার প্রভৃতির মাধ্যমে অনেক সময় গবেষণা সমস্যা নির্বাচন করা হয় ।
গবেষণা সমস্যা বর্ণনার কৌশল : যেসব কৌশল অবলম্বন করে গবেষণা সমস্যা বর্ণনা করা হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো:
১. তাৎপর্যের ভিত্তি : তাৎপর্যগত বিচারে গবেষণা সমস্যা নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রধান ও অন্যতম বিবেচ্য হলো তাত্ত্বিক বা প্রায়োগিক দিক থেকে সমস্যাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কি না; যেকোনো গবেষণার ফলাফলের উপযোগিতা তত্ত্বের বিকাশ ও অগ্রগতির সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে।
সমাজের যেসব গবেষণার তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক গুরুত্ব নেই তা কখনও গবেষককে আকৃষ্ট করতে পারে না। যেকোনো সমস্যা গবেষণা করার প্রধান শর্ত হলো তার উপযোগিতা ও প্রায়োগিক গ্রহণযোগ্যতা অধিক জরুরি কি না ।
২. মানবকল্যাণ সাধন : মানুষ সামাজিক জীব। তাই তারা জীবন পরিচালনায় অসংখ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়। এসব সমস্যার আবর্তে পাক খেয়ে জনমানবের জীবন প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এসব সমস্যার যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব কেবল গবেষণার মাধ্যমে। এর পাশাপাশি মানবকল্যাণ এবং মানবজীবনের উন্নতি সাধন সম্ভব ।
৩. প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম : সাধারণত একটি গবেষণা সমস্যার পর্যবেক্ষণ পরিচালনায় অনেক প্রকার উপকরণ ব্যবহৃত হয়। কোনো সমস্যা গবেষণাই উপকরণ ব্যতীত পরিচালনা সম্ভব নয়।
গবেষণা পরিচালনায় উপকরণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জনবল থাকাও অপরিহার্য। তৃতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করা জরুরি যে, গবেষণাটি পরিচালনা করতে হলে প্রয়োজনীয় । জনবল ও উপকরণ আছে কি না?
যেমন- তত্ত্ব, সহায়ক বই প্রশ্ন, সাময়িকী, উপাত্তসহ গ্রন্থের যন্ত্রপাতি, জনবল, প্রশ্নমালা ইত্যাদি । মূলত যেকোনো গবেষণা সমস্যা নির্ধারণে আনুষঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় উপকরণ অত্যন্ত জরুরি ।
৪. ব্যয় সংকোচন : সমাজে চলার পথে আমাদের চাহিদা এবং প্রয়োজন পূরণের তুলনায় চাহিদা মিটানোর উপকরণ এবং সরঞ্জাম অনেকাংশে অপ্রতুল। গবেষণা কাজে ব্যায় নির্ধারণের পরিসংখ্যান অত্যন্ত জরুরি।
কোনো সমস্যার সমাধানে ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট পরিমাণ জানা প্রয়োজন । যেসব গবেষণার ব্যয় হবে কম অথচ সামাজিক দৃষ্টিকোণ হতে তা জনকল্যাণের সীমা স্পর্শ করতে পারে এমন গবেষণা সমস্যাই নির্ধারণ করা প্রয়োজন ।
৫. দক্ষতা ও যোগ্যতা : গবেষণা সমস্যা বর্ণনায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো দক্ষতা ও বিচক্ষণতা । জটিল, বৃহৎ এবং পরিবর্তনশীল গবেষণা কাজ পরিচালনার জন্য দক্ষ ও বিচক্ষণ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গবেষকদল অপরিহার্য ।
বিচক্ষণ, দক্ষ এবং পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব থাকলে যেকোনো গবেষণাকার্য পরিচালনা করা কঠিন। গবেষণা কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ যত বেশি দক্ষ ও যোগ্য হবে গবেষণা পরিচালনা তত সহজ হবে এবং এর ফলাফল মানুষের নিকট অধিক গ্রহণযোগ্য হবে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় বিবেচনা করা যুক্তিসংগত নয়। গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিবেচনা ও বিষয়ের প্রেক্ষিতে করা উচিত। এটি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও গবেষণালব্ধ বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ গবেষণা সমস্যা বর্ণনার কৌশল আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গবেষণা সমস্যা প্রকাশের কৌশল বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।