ডকুমেন্টের উৎস কি কি । ডকুমেন্টের প্রকারভেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ডকুমেন্টের উৎস কি কি । ডকুমেন্টের প্রকারভেদ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ডকুমেন্টের উৎস কি কি । ডকুমেন্টের প্রকারভেদ ।
ডকুমেন্টের উৎস কি কি । ডকুমেন্টের প্রকারভেদ |
ডকুমেন্টের উৎস কি কি । ডকুমেন্টের প্রকারভেদ
উত্তর ভূমিকা : সাম্প্রতিককালের সামাজিক গবেষকগণ বিভিন্ন পর্যায়ে সংরক্ষিত নথিপত্র ও দলিলপত্রের সাহায্য ও তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন । তথ্যসংগ্রহের এ ধরনের কৌশলই ডকুমেন্ট স্টাডি পদ্ধতি।
তথ্যসংগ্রহের এ কৌশলটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও কার্যকরী। কারণ এতে পূর্ব পরিচালিত কোনো গবেষণার ফলাফল যেমন পাওয়া যায়, তেমনি পাওয়া যায় বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত কোনো ঘটনার লিখিত তথ্যাদি ।
ডকুমেন্ট স্টাডির উৎস : ডকুমেন্ট স্টাডির উৎস দুইটি । যথা :
১. প্রত্যক্ষ উৎস এবং
২. মাধ্যমিক উৎস ।
১. প্রত্যক্ষ উৎস : যখন কোনো ঘটনা বা অবস্থা সম্পর্কে কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ করে থাকেন এবং তা থেকে তিনি দলিল তৈরি করেন। যেমন— ডায়েরি, আত্মজীবনী, চিঠিপত্র ইত্যাদি ডকুমেন্টের প্রত্যক্ষ উৎস।
২. পরোক্ষ উৎস : যখন একটি ঘটনা বা অবস্থা সম্পর্কে কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ না করে সংগৃহীত তথ্যের আলোকে বা অন্যের তথ্য পাঠ করে ঘটনা সম্পর্কে অভিহিত হন । সমাজ গবেষণা ব্যাপকভাবে পরোক্ষ উৎসের ওপর নির্ভর করতে হয়।
ডকুমেন্ট স্টাডির প্রকারভেদ : ডকুমেন্ট স্টাডি প্রকারভেদ তিনভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
১. পরিসংখ্যান রেকর্ড : সমাজে সংরক্ষিত অবস্থায় উপস্থিত বিভিন্ন পরিসংখ্যান তথ্য সমাজ সদস্যদের লোকসংখ্যা, “লিঙ্গ, বয়স, পেশা, বাসস্থান, পারিবারিক আকৃতি প্রভৃতিসহ নানা আর্থসামাজিক বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে। এসবই পরিসংখ্যানে রেকর্ড ডকুমেন্ট হিসেবে পরিগণিত হয়।
২. সংরক্ষিত জরিপলব্ধ তথ্য : বর্তমানে গবেষণার কাজে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। কম্পিউটারের আবিষ্কার এ ব্যবস্থাকে আরও সুষ্ঠু, সঠিক ও বহুল করেছে।
মূলত পরিকল্পনা প্রণয়ন মূল্যায়ন ও পরিচালনার সময় একাধিক অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করা হয়। যার একটি উদ্দেশ্য হলো ফলাফল অন্যান্য গবেষণায়ও ব্যবহার। যেমন— পরিসংখ্যান ব্যুরো।
৩. লিখিত রেকর্ড : উল্লিখিত পরিসংখ্যান ও সংরক্ষিত জরিপলব্ধ তথ্য ছাড়াও সমাজ গবেষকরা যে তথ্য সংগ্রহ করেন সেগুলোকে লিখিত রেকর্ড বলা হয়।
লিখিত রেকর্ড আবার তিন প্রকার। যথা : ক. ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট, খ. সরকারি ও বেসরকারি ডকুমেন্ট ও গ. গণযোগাযোগ মাধ্যম।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ডকুমেন্ট বা দলিল দস্তাবেজ যেকোনো সমাজেরই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। ডকুমেন্ট স্টাডি পদ্ধতিতে গবেষক অল্প সময়ে ও অল্প ব্যয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
তাই সমাজ গবেষণায় তথ্যসংগ্রহের একটি পদ্ধতি হিসেবে ডকুমেন্ট স্টাডি পদ্ধতির গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ডকুমেন্টের উৎস কি কি । ডকুমেন্টের প্রকারভেদ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ডকুমেন্টের উৎস কি কি । ডকুমেন্টের প্রকারভেদ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।