ডকুমেন্ট স্টাডির অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ডকুমেন্ট স্টাডির অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ডকুমেন্ট স্টাডির অসুবিধাসমূহ কী কী।
ডকুমেন্ট স্টাডির অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে লেখ |
ডকুমেন্ট স্টাডির অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে লেখ
- অথবা, ডকুমেন্ট স্টাডির অসুবিধাসমূহ কী কী?
- অথবা, ডকুমেন্ট স্টাডির অসুবিধাগুলো বর্ণনা কর।
উত্তর ভূমিকা : ডকুমেন্ট স্টাডির তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। ডকুমেন্ট স্টাডি গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন। বিশেষজ্ঞদের মতে ৮০ এর দশকে এর প্রচলন ঘটে।
এর আগে ‘ডকুমেন্ট স্টাডি' গবেষণাকে নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ হতে দেখা হতো। ডকুমেন্ট বলতে বুঝায় ঐসব লিখিত বা অলিখিত উপাদানকে যেগুলো সামাজিক বিষয়াদির তথ্য ধারণ করে ।
অন্যভাবে বলা যায়, ডকুমেন্ট হলো ব্যক্তি, দল বা সমাজের কোনো বিষয়ের লিখিত দলিল যা কোনো না কোনোভাবে সংরক্ষিত । ডকুমেন্টের পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত ।
ডকুমেন্ট স্টাডির অসুবিধা : ডকুমেন্ট স্টাডির সুবিধার পাশাপাশি এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নিম্নে ডকুমেন্ট স্টাডির সীমাবদ্ধতা আলোচনা করা হলো :
১. তথ্যের বিকৃতি : ডকুমেন্ট স্টাডিতে তথ্যের বৃিকতি একটি সাধারণ সমস্যা। এতে সময়ের ব্যবধানে প্রায় ক্ষেত্রেই তথ্যের বিকৃতি ঘটে । তাছাড়া তথ্য সংগ্রহকারী কর্তৃকও অনেক সময় তথ্যের বিকৃতি ঘটে। কেননা, তিনি নিজের পদ্ধতিও আগ্রহ প্রয়োগ করে তথ্য সংগ্রহ করেন । তিনি কিছু তথ্যকে গুরুত্বহীন মনে করতে পারেন ।
২. পক্ষগত : যেহেতু অধিকাংশ ডকুমেন্ট সংরক্ষিত হয় গবেষণা ভিন্ন অন্যান্য উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগত কারণে। সে কারণে এখানে বিভিন্ন ধারার পক্ষপাত পরিলক্ষিত হয় । অনেক আত্মচরিত্র ও ভুল ভ্রান্তি জড়িত থাকে ।
৩. ক্ষণস্থায়িত্ব : অনেক ডকুমেন্ট যেমন প্রাচীন পুঁথি, জীবনচরিত, চিঠিপত্র ইত্যাদি এমনভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় যা দীর্ঘ মেয়াদি সংরক্ষণ দুষ্কর। ফলে ব্যবহার অনুপযোগী ডকুমেন্ট অনেক প্রাসঙ্গিক তথ্যই দিতে পারে না।
৪. ভাষাগত আচরণের সীমাবদ্ধতা : ডকুমেন্ট সাধারণ মানুষের ভাষাগত আচরণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকে। এগুলো অন্যান্য আচরণ সম্পর্কে প্রত্যক্ষ কোনো তথ্য প্রদান করে না। তাছাড়া যেহেতু গবেষক পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার ইত্যাদির মতো উত্তরদাতার সামনে উপস্থিত হতে পারে না তাই উত্তরদাতার ভাষা ভিন্ন অন্যান্য আচরণ প্রত্যক্ষ করতে পারেন না।
৫. অসম্পূর্ণতা : নিজস্ব উদ্দেশ্য বা প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে ডকুমেন্ট প্রণীত হয় বর্তমান গবেষণার উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য নয় । তাই ব্যবহৃত ডকুমেন্টের অনেক অংশেই বর্তমান গবেষকের কাছে অসম্পূর্ণ অথবা অপ্রাসঙ্গিক প্রতীয়মান হতে পারে।
৬. উপস্থিতির অভাব : এমন কিছু কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য গবেষণায় প্রয়োজন হয় যার উপস্থিতি কোনো ডকুমেন্টে পাওয়া যায় না। হয়তো এসব তথ্য কোনো ডকুমেন্টে সংরক্ষণই করা হয়নি অথবা করা হলেও তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
৭. মানসম্মত ছকের অভাব : ডকুমেন্ট বিচিত্র ধরনের হয়ে থাকে। অধিকাংশ ডকুমেন্টই মানসম্মত ছক অবলম্বন করে প্রণীত হয় না । উন্নতমানের পরিসংখ্যান রেকর্ড পরিচালনা, তথ্য ও সংবাদপত্র ছাড়া
প্রায় সকল শ্রেণির ডকুমেন্টই খাপচাড়া এলোমেলোভাবে রচিত হয়। ফলে এগুলোকে নির্দিষ্ট করে শ্রেণিভুক্ত করা ও তুলনা করা যথেষ্ট কষ্ট সাপেক্ষ ব্যাপার ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্যাপক অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও ডকুমেন্ট স্টাডি সমাজের জন্য অনেক তথ্যই বয়ে আনে যা আজকের সমাজের নিকট গ্রহণযোগ্য এবং ভবিষ্যৎ এর মূল্যবান তথ্য উপহার দিয়ে থাকে।
সমাজজীবনের বিশ্লেষণ, উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের জন্য ডকুমেন্ট স্টাডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ডকুমেন্ট স্টাডির অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ডকুমেন্ট স্টাডির অসুবিধাগুলো বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।