বিদেশি গবেষকদের মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সমস্যা বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিদেশি গবেষকদের মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সমস্যা বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিদেশি গবেষকদের সমস্যাসমূহ আলোচনা কর।
বিদেশি গবেষকদের মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সমস্যা বর্ণনা কর |
বিদেশি গবেষকদের মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সমস্যা বর্ণনা কর
উত্তর ভূমিকা : যেকোনো গবেষণা পরিচালনায় গবেষক বিভিন্ন সমস্যায় সম্মুখীন হয়। দেশি গবেষক যেমন— ছোট- বড়, বহু সমস্যা মোকাবিলা করে গবেষণা কাজ সমাপ্ত করেন। তেমনি বিদেশি গবেষককে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
তবে বিদেশি গবেষক অনেক বেশি এবং কঠিন সমস্যার মোকাবিলা করে। অনেক সময় বিদেশি গবেষকও যেকোন দেশে আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে গবেষণা করে থাকে।
একজন বিদেশি গবেষক নির্বাচিত সমস্যার সত্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। যাতার গবেষণা কর্মকে নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে।
বিদেশি গবেষকদের মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে সমস্যা : বিদেশি গবেষকগণ বাংলাদেশে গবেষণা করতে গিয়ে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন তা নিম্নে তুলে ধরা হলো :
১. জাতীয়তাসংক্রান্ত : বিদেশি গবেষক গ্রামে গবেষণা করতে গেলে তাকে সবাই তার জাতি সম্পর্কে প্রশ্ন করে। গ্রামের মানুষ জানতে চায়, সে কি খ্রিস্টান না অন্য কোনো ধর্মের অনুসারী? একজন বিশিষ্ট গবেষণাকারী Jean Ellickson বর্ণনা করেছেন যে,
গ্রামে গবেষণা করতে গেলে প্রথমেই একজন তাকে জিজ্ঞাসা করলো তার জাত কী? এতে সে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। কি উত্তর দিবে সে বুঝে উঠতে পারছিল না। এ রকম অসংখ্য সাধারণ প্রশ্ন নিয়ে বিদেশি গবেষকদের বেকায়দায় পড়তে হয়।
২. উদ্ভট প্রশ্ন : গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বিদেশি গবেষককে দেখে মনে করে যে সে তাদেরকে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী বানাতে এসেছে। তারা তাকে দেখে নানা ধরনের মন্তব্য করে থাকে।
অনেক মানুষ তার আশেপাশে যাওয়া থেকে বিরত থাকে। গ্রামের অনেক লোক আবার তার ব্যাপারে ধর্মীয় ফতোয়া প্রদান করে। এতে বিদেশি গবেষকদের পরিচালনা করতে বেশ অসুবিধা হয়।
৩. ভাষাজনিত সমস্যা : বিদেশি গবেষকরা গবেষণাকার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে মানুষের নিকট থেকে তথ্যগ্রহণ করতে গিয়ে ভাষাগত সমস্যায় পড়ে।
যে স্থানীয় ভাষা তারা শিখে আসে তা দিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে কোনো গবেষণা পরিচালনা সম্ভব নয় । ফলে স্থানীয় সহযোগী ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়।
৪. বাসস্থান ও খাদ্য : থাকা ও খাওয়া বিদেশি গবেষকদের জন্য অত্যন্ত কঠিন সমস্যা। এ ব্যাপারে Jean Erickson, Mick Howes. Lanchel সহ অধিকাংশ বিদেশি গবেষক থাকা ও খাওয়ার সমস্যা উল্লেখ করেছেন।
এমনকি তারা কি ধরনের পরিবারের সাথে কেমন সমস্যা হয়ে থাকে তাও বিশ্লেষণ করেছেন। বিদেশিদের খাদ্যাভ্যাস এবং শৌচাগার অভ্যাস আলাদা হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। তারা মনের মতো করে গবেষণাকর্ম পরিচালনা করতে পারে না।
৫. গ্রহণযোগ্যতা : বিদেশি গবেষককে গ্রামের সাধারণ মানুষ সাধারণত সহজে গ্রহণ করতে চায় না। তারা বিদেশি গবেষকের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করে থাকে। তারা বিদেশি গবেষককে অধিকাংশ সময় এড়িয়ে চলে।
তারা কোনোভাবেই বিদেশিদের সাথে সম্পূর্ণভাবে মিলতে পারে না। প্রায়শই গ্রামের মানুষ তাদের গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেই প্রকাশ করে।
আবার অনেক লোক রিলিফ প্রদান কর্মসূচির উদ্দেশ্য গবেষণাকর্ম পরিচালনা করছে বলে মনে করে। তবে বিদেশি গবেষকগণ গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন ।
৬. সাংস্কৃতিক কর্ম ও রীতিনীতি বুঝতে সমস্যা : বিদেশি গবেষকগণ গ্রামের মানুষদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও রীতিনীতি সহজে বুঝতে পারে না। একজন বিদেশি গবেষককে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এবং রীতিনীতি বুঝার ব্যাপারে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সে ব্যাপারে Arens তার গ্রাম গবেষণার অভিজ্ঞতার আলোকে অনেক সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন।
তার কথায়, "Sometimes it was diffiacle to distinguish what was realy the case. At the same time, being in a foreign country. I did not fully understand people behaviour and customs.” একইভাবে অন্যান্য বিদেশি গবেষকগণও এ সমস্যা উল্লেখ করেছেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ধর্মীয় অনুশাসন, লোকাচার, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, রীতিনীতি, আচার ব্যবহার, ধর্মীয় বিশ্বাস, একাত্মতা, একনিষ্ঠতা, মনোযোগ, গ্রহণযোগ্যতা, আবাসন, খাদ্য দ্রব্য, ভাষা, উদ্ভট প্রশ্ন জাতীয়তা প্রভৃতি সমস্যা থাকার কারণে বিদেশি গবেষক ভালোভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিদেশি গবেষকদের সমস্যাসমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিদেশি গবেষকদের মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সমস্যা বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।