বিচার্য নমুনায়ন কী
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিচার্য নমুনায়ন কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিচার্য নমুনায়ন কাকে বল।
বিচার্য নমুনায়ন কী |
বিচার্য নমুনায়ন কী
- অথবা, বিচার্য নমুনায়ন কাকে বল?
- অথবা, বিচার্য নমুনায়ন বলতে কী বুঝ?
উত্তর ভূমিকা : সামাজিক বিজ্ঞানে নমুনায়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গবেষণার ক্ষেত্রে । নমুনায়নছাড়া গবেষণাই সম্ভব হয় না। নমুনায়নে গবেষণার কাজ পরিচালনা করার জন্য এর কিছু প্রকারভেদ তৈরি করে। এর মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হচ্ছে বিচার্য নমুনায়ন।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে গবেষকগণ নিজের পছন্দ অনুযায়ী নমুনা নির্বাচন করে কাজ করতে পারে। বিচার্য নমুনায়ন অত্যন্ত সহজ প্রকৃতির। এতে অনুসন্ধানকারীর পক্ষপাতিত্বের সুযোগ থাকে। তবে এই নমুনায়ন বিজ্ঞান সম্মত নয়।
বিচার্য নমুনায়ন : বিচার্য নমুনায়ন পদ্ধতিতে গবেষক বা অনুসন্ধানকারী তার নিজের পছন্দ অনুযায়ী নমুনা নির্বাচন করে থাকেন। এ পদ্ধতির নুমানায়ন অত্যান্ত সরল, তথাপি একটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞানস্মমত নয়,
কেননা, অনুসন্ধানকারী নিজস্ব ধ্যানধারণা বা পক্ষপাতিত্ব দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। এ ছাড়া এ পদ্ধতিতে তিনি নিজে পূর্বতন ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। যেমন— কোনো প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের ওপর অনুসন্ধান চালানোর পূর্বেই ধারণা করলেন যে, তাদের বেতন কম।
ফলে তার পূর্ণ গবেষণাটি এবং নমুনায়নটি ঐ ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হবে। বিচার্য নমুনায়ন করতে গিয়ে তিনি যেসব শ্রমিকের বেতন কম তাদেরকে নমুনাভুক্ত করবেন যা প্রকৃত সত্যকে প্রতিফলিত করবে না।
বিচার্য নমুনায়নের সুবিধা :
১. যখন নমুনার আকার খুব ছোট হয় তখন বিচার্য নমুনায়ন ব্যবহার করা হয়। যেসব ক্ষেত্রে নির্বিচারী নমুনায়ন সকল এককের বৈশিষ্ট্যসমূহ পূর্ণাঙ্গভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না সেখানে বিচার্য নমুনায়ন প্রযোজ্য ।
২. অন্তবর্তী কালীন নমুনায়নের জরিপের জন্য কখনো কখনো বিচার্য নমুনায়ন ব্যবহার করা হয় ।
৩. জরুরি বিষয় সম্পর্ক সীমিত তথ্য গ্রহণের ক্ষেত্র বিচার্য পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নমুনায়ন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বিচার্য পদ্ধতির সুবিধার পাশাপাশি কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। তবে এই পদ্ধতিতে স্বাধীন নমুনা নির্বাচন করা হয় বিধায় এটি অতিকার্যকরী নমুনায়ন এ পদ্ধতির সাফল্য
সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির সমগ্রিক সম্পর্কে জ্ঞানের গভীরতা, অনুমানের প্রখরতা ইত্যাদি ওপর নির্ভর করে । এ পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা হলো নমুনার আকার কতুটুকু তার নীতিমালা সুনির্দিষ্ট না থাকা।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিচার্য নমুনায়ন কী
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিচার্য নমুনায়ন বলতে কী বুঝ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।