অনুকল্পের উৎস সমূহ বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অনুকল্পের উৎস সমূহ বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অনুকল্পের উৎস কী।
অনুকল্পের উৎস সমূহ বর্ণনা কর |
অনুকল্পের উৎস সমূহ বর্ণনা কর
উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণায় অনুকল্প বা পূর্বানুমান একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতিতে গবেষণার উত্তর সম্পর্কে প্রথমেই একটি অনুকল্প করা হয়।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনুকল্প গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বলা হয় যে, পূর্ব অভিজ্ঞতাই হলো অনুকল্পের মূল উৎস। তাই সামাজিক গবেষণায় অনুকল্প গবেষণার অন্যতম মানদন্ড হিসেবে কাজ করে ।
অনুকল্পের উৎস : পূর্বানুমান হলো পূর্বে যা অনুমান করা হয়েছে। অনুকল্পের প্রধান উৎস হিসেবে অভিজ্ঞতাকেই বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, অভিজ্ঞতাই হলো সফল অনুকল্পের জন্মদাতা। নিম্নে অনুকল্পের উৎসগুলো সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :
১. ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা : অনুকল্পের প্রধান উৎস হিসেবে ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতাকেই বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে অনুকল্প গঠন করতে হলে গবেষকদের অনেক অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী হতে হয়।
ঐ একই ঘটনা লক্ষ্য করে একজন সাধারণ মানুষ শুধু এলোমেলো ঘটনা ছাড়া কোনোকিছুই ভাবতে পারে না। এক্ষেত্রে গবেষকগণ বিশেষ অভিজ্ঞতার আলোকে ঐ ঘটনাবলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়।
২. সাদৃশ্যপূর্ণতা : সাদৃশ্যপূর্ণতা ও অনুকল্প পূর্বানুমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও অনেক সময় সাদৃশ্যপূর্ণ যুক্তি ভুল হতে পারে তা সত্ত্বেও জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদির সাদৃশ্যপূর্ণ ঘটনা থেকে সমাজবিজ্ঞানের অনুমান সৃষ্টি হতে পারে।
যেমন- কম্পিউটার বিজ্ঞান হতে ধারণা গ্রহণ করে মনোবিজ্ঞানীরা স্মৃতির তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ সম্পর্কে অনুকল্প বা পূর্বানুমান প্ৰণয়ন করেছেন ।
৩. সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ : পূর্বানুমানের উৎস হিসেবে গবেষকগণ সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে বিবেচনা করেন। কোনো কোনো সমাজের মূল্যবোধ কতকগুলো সামাজিক সমস্যার প্রতি বিশেষ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে গবেষককে সাহায্য করে।
৪. তত্ত্ব : সামাজিক গবেষণার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনুকল্পের উৎস হলো তত্ত্ব। কোনো একটি তত্ত্ব একবার প্রতিষ্ঠিত হলে উক্ত তত্ত্ব থেকে যৌক্তিক অবরোহের মাধ্যমে এক বা একাধিক অনুকল্প প্রণয়ন করা সম্ভব হয়।
৫. গঠনমূলক চিন্তা : পূর্বানুমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস গবেষকের গঠনমূলক চিন্তাচেতনা। যেমন— জনসংখ্যা বৃদ্ধি খাদ্য উৎপাদনের চেয়ে বেশি। কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় জ্যামিতিক হারে আর খাদ্য উৎপাদন হয় গাণিতিক হারে।
এই অনুমান নিয়ে প্রথমে জনসংখ্যার তত্ত্বের জন্য ম্যালথাস গবেষণা শুরু করেছিল এবং পরবর্তীতে ম্যালথাসের ঐ অনুমানটি জনসংখ্যা তত্ত্ব হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
৬. প্রজ্ঞা : গবেষণার জন্য বিজ্ঞানের কোনো বিশেষ শাখায় গবেষকের জ্ঞানের পর্যাপ্ততা পূর্বানুমান পঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সেজন্য আনুষ্ঠানিক তত্ত্ব রয়েছে, সেক্ষেত্রে অনুকল্প গঠন অনেকটা সহজ।
যদি অনুকল্প বাতিল হয় তাহলে তত্ত্ব বা উপাত্ত সংশোধিত হবে। যেখানে আনুষ্ঠানিক তত্ত্বের অভাব রয়েছে, সেখানে অনুকল্প গড়ে ওঠে ধারণগত কাঠামো থেকে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, অনুকল্প গবেষণার সমস্ত কার্যক্রমকে গঠনমূলক দিকনির্দেশনা প্রদান করে। অনুকল্পের জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতাই হলো প্রধান উৎস। কাজেই একথা অনস্বীকার্য যে, সামাজিক গবেষণায় অনুমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অনুমান গবেষণায় পরিচালক, নির্দেশক ও পথপ্রদর্শক। পূর্বানুমানের উৎসগুলোও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ অনুমান বা পূর্বানুমানের উৎসগুলো আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অনুকল্পের উৎস সমূহ বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।