অনুকল্পের প্রকারভেদ সংক্ষেপে উল্লেখ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অনুকল্পের প্রকারভেদ সংক্ষেপে উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অনুকল্প কত প্রকার ও কী কী? সংক্ষেপে লেখ।
অনুকল্পের প্রকারভেদ সংক্ষেপে উল্লেখ কর |
অনুকল্পের প্রকারভেদ সংক্ষেপে উল্লেখ কর
- অথবা, অনুকল্প কত প্রকার ও কী কী? সংক্ষেপে লেখ ৷
- অথবা, পূর্বানুমানের শ্রেণিবিভাগ বর্ণনা কর ।
উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণার একটি কার্যকরী ধাপ হচ্ছে পূর্বানুমান বা অনুকল্প (Hypothesis)। পূর্বানুমান বলতে বুঝায়, যা পূর্বে বা আগেই অনুমান করা হয়ে থাকে। যেকোনো গবেষণার প্রারম্ভিক বিষয় হলো পূর্বানুমান ।
গবেষক কোনো বিষয়কে যাচাই করার জন্য তত্ত্ব ও পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু অনুমান গঠন করেন। পূর্বানুমান বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির একটি অন্যতম হাতিয়ার।
অনুকল্পের প্রকারভেদ : সামাজিক গবেষকগণ প্রদত্ত ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে অনুমান বা অনুকল্পের প্রকারভেদ তুলে ধরা হলো :
অনুকল্পকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
১. পরিসংখ্যানিক অনুকল্প,
২. অপরিসংখ্যানিক অনুকল্প ।
১. পরিসংখ্যানিক অনুকল্প : যে অনুকল্পকে সংখ্যাত্মক উপাত্তের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তাকে পরিসংখ্যানিক বলে। যেমন— ৩০ জন ব্যক্তির গড় ওজন ১৫০০ কেজি অর্থাৎ গোষ্ঠীর আয়তন ৩০।
কিন্তু ঐ গোষ্ঠী থেকে ২০টি গরু নিয়ে অনুকল্পের আয়তন প্রস্তুত করা হলো। নমুনা হতে গড় পাওয়া গেল ১২০০ কেজি। এখানে প্রাপ্ত গড় ১২০০ কেজি যা অবশ্যই এ গোষ্ঠী হতে চয়ন করা হয়েছিল ।
কিন্তু গোষ্ঠী গড় ও নমুনা গড়ের মধ্যে যথেষ্ঠ পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। গড় মানের ভিত্তিতে বলা যায় যে, ঐ গোষ্ঠী হতে এই ব্যক্তিদের গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম । এটিই হচ্ছে পরিসংখ্যানিক অনুকল্প। পরিসংখ্যানিক অনুকল্পকে আবার ২ ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
ক. নাস্তি কল্পনা : একগুচ্ছ দৈব চলকের সম্ভাবনা বিন্যাস সংক্রান্ত কোন বর্ণনাকে পরিসংখ্যানিক কল্পনা বলা হয়। যে পরিসংখ্যানিক কল্পনায় সম্ভাব্য যাচাই করা হয় তাকে নাস্তি কল্পনা বলা হয়।
নাস্তি কল্পনাকে সাধারণত H, দ্বারা চিহ্নিত করা হয় । কোন সমস্যা সমাধানের সময় যা বলা হয়ে থাকে নাস্তি কল্পনাতে তাই মেনে নেওয়া হয় ।
খ. বিকল্প কল্পনা : যে কল্পনার বিপক্ষে নাস্তিকল্পনা যাচাই করা হয় তাকে বিকল্প কল্পনা বলে । অর্থাৎ এটি তথ্যবিশ্বের পরামান বা তথ্যবিশ্ব সম্পর্কে এমন উক্তি, যা নাস্তি কল্পনার বিকল্প হিসেবে গণ্য করা হয়।
বিকল্প কল্পনাকে H, দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যদি আমাদের অনুসন্ধান অনুযায়ী নাস্তি কল্পনা গ্রহণযোগ্য না হয়ে বাতিল হয় তখন বিকল্প কল্পনাটিকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়।
অনুকল্প আবার দুই প্রকার। যথা :
i. সরল অনুকল্প : যে পরিসংখ্যানিক অনুকল্পে পরামান সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে তাকে সরল অনুকল্প বলে । এ ক্ষেত্রে নাস্তি কল্পনা ও বিকল্প কল্পনা নির্দিষ্ট থাকে।
ii. যৌগিক অনুকল্প : যে অনুকল্পে পরামান আংশিকবাবে নির্ধারিত থাকে তাকে যৌগিক অনুকল্প বলে । যেমন— আমরা জানি, দ্বিচলক পরিমিত গোষ্ঠীতে ৫টি পরমাত্রা থাকে।
যেমন— ২টি ভেদাঙ্ক ও ১টি সহ-সম্মর্চ সহজ, যদি কোনো, পরিসংখ্যানিক অনুকল্পে ১টি, ২টি, ৩টি বা ৪টি পরামাত্রা ছাড়া নির্ধারিত থাকে তবে তাকে যৌগিক অনুকল্প বলে ।
২. অপরিসংখ্যানিক অনুকল্প : যে অনুকল্পকে সংখ্যাত্মক উপাত্তের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় না তাকে অপরিসংখ্যানিক অনুকল্প বলে । এক্ষেত্রে সংখ্যাত্ত্বিক যাচাইয়ের সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সব গবেষণার ক্ষেত্রে অনুকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বদা পরিবর্তনশীল ও বিবর্তনশীল সমাজে বিভিন্ন উপাদান নিয়ে অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পূর্বানুমান সুনির্দিষ্ট চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে ।
অনুকল্প ছাড়া কোনো গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পাদিত হতে পারে না। অনুকল্পই সকল প্রকার গবেষণার মূল চালিকাশক্তি ও দিকনির্দেশকের ভূমিকা পালন করে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ পূর্বানুমানের শ্রেণিবিভাগ বর্ণনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অনুকল্পের প্রকারভেদ সংক্ষেপে উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।