অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার অসুবিধাগুলো কী কী।
অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে লেখ |
অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে লেখ
- অথবা, অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার অসুবিধাগুলো কী কী?
- অথবা, অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
উত্তর ভূমিকা : অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা তথ্য সংগ্রহের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। সংক্ষিপ্ত সময়ে অংশগ্রহণের ভিত্তিতে জনগণের মতামতের প্রেক্ষিতে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য সমাজ গবেষণায় অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয় ।
অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা একটি সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতির ব্যবহার খুব প্রাচীন নয়। কোন বিষয়ে সামাজিক গবেষণা পরিচালনা করতে গিয়ে যখন দীর্ঘদিন ধরে তথ্য সংগ্রহের কোনো সুযোগ থাকে না তখন এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার অসুবিধা : অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা পদ্ধতির কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলো গবেষণাধীন বিষয়ের যথার্থ নির্দেশনা প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি করে। নিম্নে অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার সমস্যাসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. উদ্যোগের অভাব : গবেষণা দলে সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা থাকলে তাদের অনেকের মধ্যে এ ধরনের কাজে অনীহা থাকে। তাদের নিকট থেকে যে ধরনের উদ্যোগের প্রয়োজন হয় সে ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ দেখা যায় না । ফলে পদ্ধতিগত ও ফলাফলগত তফাৎ লক্ষ করা যায় না প্রকারন্তরে অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার উদ্যোগে ব্যাহত করে ।
২. সীমিত ব্যবহার : তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি হিসেবে অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত । কেননা, এটি কেবল স্থানীয় পর্যায়ে দু'একটি গ্রাম, ইউনিয়ন বা বাজার সমীক্ষার জন্য ব্যবহার করা যায় ।
৩. দক্ষ জনবল : PRA পরিচালনা করার জন্য দক্ষ জনবল দরকার । গবেষক যদি পুরোপুরি অভিজ্ঞ ও দক্ষ না হয় তাহলে তার পক্ষে PRA পরিচালনা করা সম্ভব নয় । দক্ষ জনবলের অভাবে বাংলাদেশে এ পদ্ধতি বহুল ব্যবহার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহের অন্যান্য পদ্ধতিতে তেমন দক্ষ জনবল দরকার পড়ে না ।
৪. প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম : PRA পদ্ধতিতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম লক্ষ করা যায় । প্রান্তিক শ্রেণীর নিকট হতে অনেক সময় তথ্য সংগ্রহ করা হয় না। এর পিছনে দুটি কারণ রয়েছে।
i. অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী সঠিক তথ্য দিতে অপরাগ এবং
ii. কথা বলতে অনাগ্রহী ।
প্রভাবশালী অনেক সময় নিজেদের স্বার্থে অন্যের অপব্যবহার করে। ফলে যে সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য সমীক্ষা চালানো হয় তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না। এ পদ্ধতিতে দুর্বল ও সংখ্যালঘু শ্রেণির মতামত প্রতিফলিত হয় না অনেকাংশে।
৫. মূল্যায়ন ও যাচাইকরণ : অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার মাধ্যমে যে সুপারিশ তৈরি করা হয় তা চূড়ান্তভাবে গবেষক নিজে তৈরি করেন এবং সেখানে জনগণের নয়, গবেষকের মূল্যায়ন এবং মতামতের প্রতিফলন দেখা যায় ।
৬. গবেষকের দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল : গবেষক যদি যথেষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ না হন তবে তার পক্ষে অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। কেননা, জনগণের নিকট থেকে কাঙ্ক্ষিত তথ্য সংগ্রহের সফলতা মূলত গবেষকের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে।
৭. তথ্য সংগ্রহের সমস্যা : গবেষক দলের সকলের যদি যথেষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ না হয় তবে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন দলীয় আলোচনা সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। সাত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল তথ্য সকল দলের নিকট থেকে পাওয়া যায় না ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কোনো গবেষণা পদ্ধতিই শতভাগ সমস্যাযুক্ত হতে পারে না। তাই অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষাকে সীমাবদ্ধতামুক্ত ভাবা ঠিক নয়। অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা হলো
এমন একটি পন্থা যা সরকারি সংস্থা, এনজিও এবং অন্যান্য সংস্থাসমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট। এ প্রক্রিয়ায় গ্রামীণ মানুষের জ্ঞান এবং মতামত কেন্দ্রীভূত করে পরিকল্পনা এবং প্রকল্প পরিকল্পনার কর্মসূচি গ্রহণ করাই এর লক্ষ্য।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।