উইমেন্স স্টাডিজের গবেষণা পদ্ধতির বিবরণ দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উইমেন্স স্টাডিজের গবেষণা পদ্ধতির বিবরণ দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উইমেন্স স্টাডিজের গবেষণা পদ্ধতির বিবরণ দাও।
উইমেন্স স্টাডিজের গবেষণা পদ্ধতির বিবরণ দাও |
উইমেন্স স্টাডিজের গবেষণা পদ্ধতির বিবরণ দাও
উত্তর : ভূমিকা : উচ্চত্র জ্ঞানের জন্য গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম। উইমেন্স স্টাডিজও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা- ধর্মী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বহুমাত্রিক ও শাখা প্রশাখা প্রযুক্ত জ্ঞানলাভ করার জন্য এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের জন্য গবেষণা কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
→ উইমেন্স স্টাডিজের গবেষণা পদ্ধতি : গবেষণা একটি বিষয়কে জীবনের কাছাকাছি নিয়ে আসে ও বহু তথ্যের জন্ম দেয়। উইমেন্স স্টাডিজও বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে। নিয়ে উইমেন্স স্টাডিজের গবেষণার পদ্ধতিগুলো আলোচনা করা হলো :
১. কর্মশালা ও দলীয় আলোচনা : উক্ত প্রক্রিয়াতে গবেষক আলোচনার সূত্র ধরে এবং অংশগ্রহণকারীরা মূল আলোচনা চালিয়ে যায়। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সমস্যাগুলি বেরিয়ে আসে। আলোচকগণ বিভিন্ন মতামত ও সমস্যা চিহ্নিতকরণ করে এবং গবেষক সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায় ।
২. জীবন ইতিহাস : মানুষের জীবন ইতিহাস সম্পর্কে জানার মাধ্যমে একটি কার্যকর গবেষণা ফলপ্রসূ হতে পারে। এজন্য গবেষণার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মানুষের সাথে যোগাযোগ করে তাদের জীবন ইতিহাস জানতে চেষ্টা করেন।
অনেকক্ষেত্রে গবেষক তাদের সাথে বাস করেন, তাদের পরিবারের সদস্য বনে যান, তাদের অতীত জীবন ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করেন এবং গবেষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ।
৩. সংশ্লিষ্টদের থেকে তথ্য : বাস্তব ও কৃত্রিমতা বর্জিত গবেষণার জন্য গবেষণা সংশ্লিষ্ট মহিলাদের বিবৃতি ও রচনা প্রয়োজন হয়। কোন ব্যক্তির রচনাবলি তার অভিজ্ঞতা বহন করে। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে গবেষণা করা হয়।
৪. ঘটনার সার্বিক মূল্যায়ন : প্রাতিনিধিদের সাহায্যে গবেষক একটি ঘটনার সার্বিক চিত্র, পূর্ণ বিবরণ রচনা করেন। তাদের জীবন কাহিনী নিবন্ধ করেন। এ কাহিনী থেকে তার গবেষণার বিষয়বস্তু সম্পর্কে তথ্য ও সিদ্ধান্ত উদ্ঘাটিত হয়। গবেষকগণ সংক্ষিপ্ত কাহিনী রচনা করে গবেষণাকে বস্তুনিষ্ঠ করে গড়ে তোলেন।
৫. গবেষণার সমন্বয় : বিভিন্ন উপাত্ত থেকে তথ্য সংগ্রহ করার পর তা গবেষণার জন্য সমন্বয় করা হয়। এসব বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণ করার পর এ বিষয়ে গবেষক সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান। মাঠ পর্যায়ে গবেষণা শুরু করে তা সেমিনার, মিটিং এর বক্তৃতার সাথে সমন্বয় করা হয় ।
৬. আক্রান্তের সাথে যোগাযোগ : গবেষণাকে বস্তুনিষ্ঠ করে তুলতে আক্রান্ত ব্যক্তি বা যাকে নিয়ে বা যেসব জনগোষ্ঠীকে নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে তাদের সাথে যোগযোগ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যত সময় দেখা হয় গবেষণা ততই ফলপ্রসূ হয়।
৭. গবেষক ও সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে সুসম্পর্ক : গবেষণাকে বাস্তবায়িত করার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করার জন্য গবেষকের সাথে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর সুসম্পর্ক অত্যন্ত জরুরি। বিশ্বাসযোগ্য ও ভালো মানুষদের নিয়ে গবেষণা করলে উদ্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাথে ব্যবধান কম থাকে।
এদের মাধ্যমে গবেষণা চালালে এবং পেশাজীবী গবেষকগণ এদের সহায়তায় উদ্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাথে সংযোগ এবং সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠা করলে বাস্তবধর্মিতা ও ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে ।
উপসংহার : জ্ঞানের প্রসার ও বিস্তার ঘটানোর জন্য গবেষণার বিকল্প নেই। উইমেন্স স্টাডিজ তার বিষয়বস্তুকে কার্যকর করতে ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করতে ব্যাপক গবেষণাধর্মী কার্যক্রম চালাতে পারে। নারীর অধিকার আদায়ের জন্য এর পিছনের সমস্যাগুলি অনুসন্ধান করে বের করে উইমেন্স স্টাডিজ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ উইমেন্স স্টাডিজের বিভিন্ন গবেষণা পদ্ধতি উল্লেখ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উইমেন্স স্টাডিজের বিভিন্ন গবেষণা পদ্ধতি উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।