উইমেন্স স্টাডিজ এর গুরুত্ব ও আবশ্যকতা বিবরণ দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উইমেন্স স্টাডিজ এর গুরুত্ব ও আবশ্যকতা বিবরণ দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উইমেন্স স্টাডিজের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উইমেন্স স্টাডিজ এর গুরুত্ব ও আবশ্যকতা বিবরণ দাও |
উইমেন্স স্টাডিজ এর গুরুত্ব ও আবশ্যকতা বিবরণ দাও
উত্তর : ভূমিকা : যুগ যুগ ধরে অবহেলিত নারী তাদের অবহেলার ইতিহাসকে পরিবর্তন করতে নারী অধ্যয়নের সূচনা করে। নারী শিক্ষা ছাড়া সামাজিক উন্নয়নে নারীর অযোগ্যতাকে কোনভাবেই অতিক্রম করা যায় না। তাই সমাজের প্রত্যেক ক্ষেত্রে নারীকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে নারী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম
→ উইমেন্স স্টাডিজের গুরুত্ব ও আবশ্যকতা : সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস সবক্ষেত্রে নারীকে যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য উইমেন্স স্টাডিজের গুরুত্ব অনেক। নিম্নে উইমেন্স স্টাডিজের গুরুত্ব ও আবশ্যকতা আলোচনা করা হলো :
১. জ্ঞানের পৃথক শাখা : যুগ যুগ ধরে সঠিক জ্ঞানের অভাবে নারী অনেক দূরে পিছিয়ে পড়েছে। তাদেরকে মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে জ্ঞানের পৃথক শাখা সৃষ্টি করে সঠিক জ্ঞান বিতরণ করার প্রয়োজনে উইমেন্স স্টাডিজের আবশ্যকতা ও গুরুত্ব অপরিসীম।
২. সামাজিক স্বীকৃতি : নারীকে পর্দার অন্তরাল থেকে টেনে বাহিরে আনতে উইমেন্স স্টাডিজের আবশ্যকতা মেনে না নিয়ে উপায় নেই। জ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে পড়া নারীকে জ্ঞান দিতে এবং তাদের সামাজিক স্বীকৃতি আদায় করতে উইমেন্স স্টাডিজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. বিদ্যাচর্চার ক্ষেত্রে : সুদূরকাল থেকেই নারীরা শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। সঠিক শিক্ষার অভাবে তারা যুগে যুগে বঞ্চিত, লাঞ্ছিত। সমাজব্যবস্থাকে গতিশীল করতে নারী ও পুরুষ উভয়ের শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নারী শিক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে উইমেন্স স্টাডিজের প্রয়োজন ।
৪. গবেষণার ক্ষেত্রে : পুরুষশাসিত সমাজে পুরুষের গবেষণা তাদের প্রতি পক্ষপাতমূলক হয়ে থাকে। তাই নারীর অধিকার আদায়ে সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নারী গবেষণার প্রয়োজন আছে। তাই নারীদের গবেষণার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে উইমেন্স স্টাডিজের গুরুত্ব ও প্রয়োজন অনেক।
৫. নারী-পুরুষের আলোচনা : নারী প্রসঙ্গ নিয়ে অলোচনা করতে গেলে পুরুষও চলে আসে। নারীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক পুরুষের পক্ষপাত । তাই নারীর বৈষম্যের কারণগুলো আলোচনা করতে উইমেন্স স্টাডিজ ব্যাপক পরিমাণে পুরুষ নিয়েও আলোচনা করে ।
পুরুষের তত্ত্ব ও তথ্য উদ্ঘাটনে করে এবং সেগুলোর সমাধান পেশ করে নারীকে তাদের বিরোধিতার জায়গা থেকে বের করে নিয়ে আসতে চেষ্টা করে।
৬. সুসম সমাজ প্রতিষ্ঠায় : আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের বিকল্প নেই। তাই নারীর উন্নয়নের আলোচনা মূলত সমাজের উন্নয়নের আলোচনা।
নারী ও পুরুষের সমান অধিকারমূলক সুসম সমাজব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উইমেন্স স্টাডিজের প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক। কারণ নারীর উন্নয়ন ব্যাহত হলে দেশের অর্ধেক সংখ্যক জনগোষ্ঠী পিছনে পড়ে যাবে, যা একটি দেশের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, বিশ্বে উন্নয়নে নারী ও পুরুষের অংশীদারিত্বের প্রয়োজন আছে। কারণ সমাজের একটা জেন্ডার শোষণ করবে আর একটা জেন্ডার শোষিত হবে এমন হতে পারে না।
প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে নারীর অংশীদারিত্ব আবশ্যক। আর সমাজের নানাক্ষেত্রে নারীকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে উইমেন্স স্টাডিজের আবশ্যকতা ও গুরুত্ব অপরিসীম।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ উইমেন্স স্টাডিজ এর গুরুত্ব ও আবশ্যকতা বিবরণ দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উইমেন্স স্টাডিজের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।