তুলুনীয় বংশের পতনের কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তুলুনীয় বংশের পতনের কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তুলুনীয় বংশের পতনের কারণ কি ছিল।
তুলুনীয় বংশের পতনের কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা কর |
তুলুনীয় বংশের পতনের কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা কর
- অথবা, তুলুনীয় বংশের পতনের কারণ কি ছিল?
- অথবা, তুলুনীয় বংশের পতনের কারণগুলো বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : তুলুনী বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আহমদ ইবনে তুলুন। তিনি আব্বাসীয় খিলাফতের দুর্বলতার সুযোগে ৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে মিশরে একটি স্বাধীন রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। এই বংশ প্রতিষ্ঠার জন্য আহমদ ইবনে তুলুন অসামান্য অবদান রাখে। কিন্তু কিছু কারণে এই বংশের পতন ঘটে।
→ তুলুনীয় বংশের পতনের কারণ : তুলুনীয় বংশের পতনের কারণ নিম্নে আলোচনা হলো :
১. প্রাকৃতিক কারণ : ইতিহাসের একটি চরম সত্য হলো উত্থান আর পতন। কোনো রাজবংশই স্থায়ী নয় বরং পতন অনীবার্য। তুলুনীয় বংশের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। ইবনে খালদুন বলেন পৃথিবীতে কোনো রাজবংশ তিন পুরুষের বেশি স্থায়ী নয়।
২. সুযোগ্য উত্তরাধিকারীর অভাব : তুলুনীয় বংশের পতনের অন্যতম কারণ হলো সুযোগ্য উত্তরাধিকারীর অভাব। আহমদ ইবনে তুলুন ৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে তুলুনীয় বংশ প্রতিষ্ঠা করলেও তার পরবর্তী উত্তরাধিকারগণ তেমন দক্ষ ও কৌশলী ছিল না। যার ফলে এই তুলুনীয় বংশের পতন ঘটে।
৩. শক্তিশালী বাহিনীর অভাব : একটি রাজ্য কিংবা শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী বাহিনী। সেটি সর্বাস্থায় রাজ্যকে সুশৃঙ্খল ও বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু ইবনে তুলুন নিগ্রো ও তুর্কীদের সম্বনয়ে একটি শক্তিশালী বাহিনী গঠন করলেও, তার পরবর্তী উত্তরাধিকারীগণ তা ধরে রাখতে পারেনি। যার ফলে সৈন্যবাহিনী দুর্বল হলে তুলুনীয় শাসন দুর্বল হয়ে পড়ে।
৪. রাজকোষ শূন্য : ইবনে তুলুনের পুত্ররা ছিল বিলাস প্রিয়। তারা একটি জাঁকজমকপূর্ণ প্রাসাদ নিমার্ণ করেন। প্রতি প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়ে যায়। আর অন্যদিকে রাজ্যর বিভিন্নস্থানে আট্টালিকা নির্মাণসহ বিভিন্ন বিলাসবহুল জীবনধারণের ফলে তুলুনীয় বংশের পতন ঘটে
৫. প্রশাসানিক ক্ষমতার অভাব : ইবনে তুলুনের ইন্তেকালের পর শাসনকে পরিচালনার জন্য এজন্য দক্ষ প্রশাসনিক লোকের অভাব তীব্র আকার ধারণ করে। যার ফলে রাজ্যের মধ্যে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং তুলুনীয় রাজবংশের পতন হয় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আহমদ ইবনে তুলুনের অসামান্য অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে তুলুনীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা হলেও যোগ্য উত্তরাধিকারের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে এই বংশের পতন ঘটে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ তুলুনীয় বংশের পতনের কারণগুলো বিশ্লেষণ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তুলুনীয় বংশের পতনের কারণগুলো বিশ্লেষণ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।