তুগ্রিল বেগের পরিচয় দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তুগ্রিল বেগের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তুগ্রিল বেগ সম্পর্কে যা জান লেখ ।
তুগ্রিল বেগের পরিচয় দাও |
তুগ্রিল বেগের পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : বাগদাদে সেলজুক বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তমিল বেগ। তিনি শিয়া মতাবলম্বী বুয়াইয়াকে নির্মূল করে আব্বাসীয়দের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করেন এবং খলিফার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং আব্বাসীয় খিলাফতের সেবায় মনোনিবেশ করেন।
১. তুগ্রিল বেগের পরিচয় : তুমিলের পূর্বপুরুষ ছিল তুর্কিস্ত ানের বংশোদ্ভূত। এই বংশ থেকে সেলজুক নামক ব্যক্তি ৯৫৬ খ্রি. বুখারায় আগমণ করেন এবং ইলখান, গজনী ও সামানী রাজ্য দখল করে নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
আর এই তুমিল বেগ ছিল সেই সেলজুকের পৌত্র। সেলজুকের মৃত্যুর অনেকদিন পর তুর্কিরা তুঘ্রিলকে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে ।
২. ক্ষমতা ও বংশ প্রতিষ্ঠা : ১০৫৫ খ্রিস্টাব্দে আব্বাসীয় খিলিফাদের আমন্ত্রণে তুঘ্রিল বাগদাদে প্রবেশ করেন এবং তিনি ৮ ডিসেম্বর বুয়াইয়া আমির মালিক আর রহিমকে বিতাড়িত করেন এবং আব্বাসীয় খিলাফতে খলিফা কায়েস বিল্লাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
আর খলিফা কৃতজ্ঞতার স্বরূপ হিসেবে তুমিলকে King of the east and the west নামে ভূষিত করে সকল ক্ষমতা দেন। এভাবে তুমিল তার বংশের নামকরণ করেন সেলজুক বংশ।
৩. তুপ্রিলের কৃতিত্ব : তুগ্রিলের অন্যতম প্রধান কৃতিত্ব হলো শিয়া বুয়াইয়া প্রভুত্বকে ধ্বংস এবং আব্বাসীয় শাসনের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন রাজ্য জয়ের পাশাপাশি বাইজাইন্টাইন রাজাকে কর প্রদানে বাধ্য করেন এবং ১০৬২ সালে জেসিয়া ও ফ্রিজিয়া থেকে রোমানদের বিতাড়িত করেন।
৪. বিভিন্ন গুণের অধিকারী : ঐতিহাসিক ইবনুল আসীর বলেন— তুঘিল ছিল একাধারে ধৈর্যশীল, জ্ঞানী, দানশীল, ধার্মিক, অনাড়ম্বর ও বিদ্যানুরাগী।
(i) নতুন অধ্যায়ের সূচনা : ঐতিহাসিক হিট্টি বলেন- তুমিল ইসলামের ইতিহাসে এবং খিলাফতে সেলজুক তুর্কিদের অভ্যুত্থান একটি নব অধ্যায়ের সূচনা করেন
(ii) প্রতাপশালী জাতি : আমির আলী বলেন- তুঘিলের আমলে সেলজুকগণ এশিয়ার একটি প্রতাপশালী জাতিতে পরিণত হয় ।
(iii) খলিফার প্রতি শ্রদ্ধা : তুলি আব্বাসীয় খিলাফতের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হলেও খলিফা কায়েসকে সম্মান করতেন।
(iv) ইসলামের সেবক : তৎকালীন সমসাময়িক জাতিদের তুলনায় সেলজুকরা ছিল অনেক উন্নত। তারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে ইসলামের একনিষ্ঠ সেবক হন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তুমিল ছিলেন একজ সুন্নি মতাবলম্বী। তিনিই আব্বাসীয় শাসনকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
সর্বোপরি তিনি আব্বাসীয় খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে নিজেকে আব্বাসীয় খি কতের সেবায় নিয়োজিত রাখেন। সেলজুক বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তুঘ্রিল বেগের অবদান অপরিসীম।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ তুগ্রিল বেগ সম্পর্কে যা জান লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তুগ্রিল বেগের পরিচয় দাও। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।