তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ বলতে কি বোঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ বলতে কি বোঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ কি।
তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ বলতে কি বোঝ |
তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ বলতে কি বোঝ
- অথবা,তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ কি?
- অথবা, তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ সম্পর্কে ধারণা দাও ।
- অথবা, তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ সম্পর্কে আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : বিভিন্ন সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে জন্ম নেওয়া বিভিন্ন নারীবাদের ন্যায় তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদও বিশ্বের তৃতীয় স্ত রের দেশসমূহের নারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও তাদের অধস্তনতার প্রকৃতি ও কারণ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে এবং তাদের মুক্তির পথ অন্বেষণের মাধ্যমে তৃতীয় বিশ্বের নারীদের মুক্তির সন্ধান দেবার চেষ্টা করেছে।
→ তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ : সাধারণত ভৌগোলিকভাবে তৃতীয় বিশ্ব বলতে এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, ক্যারেবীয়, আফ্রিকা ও এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাষ্ট্রসমূহকে বোঝায়।
আবার, কেউ কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী কৃষ্ণাঙ্গ, ল্যাটিন, এশীয় ও আফ্রিকান আদিবাসী মানুষদের তৃতীয় বিশ্বের জনগোষ্ঠী রূপে চিহ্নিত করে।
মূলত আমেরিকা ও অইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ যারা সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও পুঁজিবাদের শোষণের শিকার হয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত সেই রাষ্ট্রগুলোকেই তৃতীয় বিশ্বের দেশরূপে বর্ণনা করা হয়।
একই সাথে আমেরিকা, ইউরোপ ও শিল্পোন্নত দেশসমূহের যে সকল মানুষ দারিদ্র্য, বর্ণবাদ ও নিপীড়নের শিকার তাদেরও তৃতীয় বিশ্বের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। মূলত এরূপ ধারণা থেকেই তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ গড়ে ওঠে। তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ একটি স্বতন্ত্র নারীবাদ প্রত্যয়।
চন্দ্রা তালপাদে মোহান্তি লিখেছেন যে, “এই নারীবাদ বলতে কেউ কেউ তৃতীয় বিশ্ব, বৈশ্বিক ভগ্নিবন্ধন-এর ধারণাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছেন। কোনো কোনো লেখক আবার পুঁজিপতি সমাজে তৃতীয় বিশ্বের নারীদের মধ্যকার আন্তর্জাতিক সংহতির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন।
আবার, অনেকেই নারীবাদের ক্ষমতায়নকে স্থাপন করেছেন লিঙ্গ ও যৌনতার মতাদর্শের ভিত্তিতে। যে মতাদর্শগুলো নারীর প্রাত্যহিক জীবনকে প্রভাবিত করে।"তবে তৃতীয় বিশ্বের কোনো সমরূপ ধারণামাত্র নয় বরং তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদের মধ্যে মাঝে ধারণাগত বৈচিত্র্য অনেক ।
এই নারীবাদ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো যথা- এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ল্যাটিন আমেরিকার দরিদ্র দেশগুলোর অনুন্নয়ন, নিপীড়নমূলক পরম্পরা, অশিক্ষার উচ্চহার, গ্রামীণ ও নগর দারিদ্র্য ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং জনসংখ্যা বিস্ফোরণের প্রেক্ষাপট পর্যবেক্ষণ, নিপীড়ন ও বিশ্লেষণ করে ।।
মোসসেন ও টাওনসেন্ড তৃতীয় বিশ্বের নারীদের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাদের গড় আয়ু, পুষ্টি, প্রজনন, শিক্ষা, আয় এবং শ্রমবিভাজন প্রভৃতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তবে তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদীরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন অনুন্নত দেশগুলোর নারীদের প্রজনন এবং নারীর দৈনন্দিন জীবনের নানা সংগ্রাম ও প্রতিরোধকে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর দারিদ্র্য, শিক্ষা, পুষ্টি প্রভৃতির ভিত্তিতে নারীদের সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও তা দূরীকরণে অত্যন্ত কার্যকরি ভূমিকা পালন করে চলেছে।
মূলত তৃতীয় বিশ্বের নারী সমস্যাকে জনসম্মুখে আনয়নে তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ অত্যন্ত কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। তাই লিঙ্গীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদের গুরুত্ব অপরিসীম।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ সম্পর্কে ধারণা দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ সম্পর্কে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।