তাহিরি বংশের উত্থানের ইতিহাস সংক্ষেপে লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তাহিরি বংশের উত্থানের ইতিহাস সংক্ষেপে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তাহিরি বংশের উত্থানের ইতিহাস সংক্ষেপে লিখ।
তাহিরি বংশের উত্থানের ইতিহাস সংক্ষেপে লিখ |
তাহিরি বংশের উত্থানের ইতিহাস সংক্ষেপে লিখ
উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় শাসন আমলের মধ্যে খলিফা আল মামুন শাসন আমল ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তার আমলে আব্বাসীয় খিলাফতের জ্ঞানবিজ্ঞান, রাজ্যজয়, বিদ্রোহ দমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখে।
তার এই সকল বিজয় সম্ভব হয়েছিল তার যোগ্য, বিচক্ষণ, সেনাপতি তাহিরের প্রচেষ্টায়, সর্বোপরি আল মামুন যখন দেখলেন যে এই সেনাপতি তার সাম্রাজ্যের হুমকিস্বরূপ তখন তার প্রাণনাশের চেষ্টা করলেন অপর দিকে বিচক্ষণ এই তাহির নিজ নামে একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে খোরাসানে। এই রাজবংশের নাম তাহিরি বংশ ।
→ তাহিরি বংশ প্রতিষ্ঠার পটভূমি : খলিফা আল মামুন ৮১৩ খ্রিস্টাব্দে স্বীয় ভ্রাতা আল আমীনের হত্যাকাণ্ডের পর সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেই ভ্রাতৃ হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি বিধানে তৎপর ছিলেন। তিনি এ হত্যার পিছনে তাহিরের হাত ছিল বলে মনে করেন।
এজন্য তাহির মামুনকে খুব ভয় পেতেন। এ কারণে তাহির দূর প্রদেশে আমির হিসেবে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অতঃপর মন্ত্রী আহমদ বিন আবু খালিদ তাহিরের জিম্মা গ্রহণ করায় খলিফা মামুন তাহিরকে খোরাসানের প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন।
তিনি খোরাসানে খারিজি বিদ্রোহ দমন করে সমগ্র পারস্য অঞ্চলের স্বীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। ৮২০ সালে পূর্বঞ্চলীয় শাসনকর্তা নিযুক্ত হইয়া মার্ভ হইতে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করিতে থাকেন। খুত্বা হতে খলিফা মামুনের নাম বাদ দিয়ে নিজের নামে খুৎবা পাঠ করে তাহিরি বংশ প্রতিষ্ঠা করেন।
→ তাহিরি বংশের বিকাশ : ৮২৩ সালে তাহিরের মৃত্যুর পর তার পুত্র তালহা বিন তাহির সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি ৮৩০ সাল পর্যন্ত খোরাসান প্রদেশটি প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় প্রদেশটির শক্তি ও সংহতি ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। অতঃপর আরও তিনজন শাসক ৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত খোরাসানে তাহিরি বংশের শাসনকার্য পরিচালনা করেন।
→ তাহিরি বংশের পতন : ৮৭০-৯২ সালে আব্বাসীয় খলিফা মুতাসিমদের আমলে তিনি তার ভ্রাতা আবু আহম্মদকে মোয়াফফাক বা সকল মতের সমন্বয়কারী নিযুক্ত করে তাকে সামরিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রদান করেন। মোয়াফফাক খোরাসানের তাহিরি বংশের লাগাম টেনে ধরেন। এতে করে খোরাসানে তাহিরি বংশের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে।
এছাড়া এ সময় পারস্যে সাফফারি ও জানাজ প্রভৃতি বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে তাহিরিদের পতন তরান্বিত হয়। অবশেষে তাহিরি বংশের শেষ শাসক মুহাম্মদ বিন তাহিরকে পরাজিত ও বিতাড়িত করে ইয়াকুব বিন লাহম খোরাসানে সাফফারী বংশ প্রতিষ্ঠা করেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ৮২০/২১ খ্রিস্টাব্দে খোরাসানের তাহির কর্তৃক যে রাজবংশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে সেই রাজবংশ তৎকালীন আব্বাসীয় খেলাফতের আনুগত্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। তার কারণ হিসেবে ছিল তাহির। তাহির ছিল খলিফা আল মামুনের একজন আস্থাভাজন সেনাপতি। এই রাজবংশ ৫২ বছর শাসন করার পর সাফাকারীদের দ্বারা বিতাড়িত হন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ তাহিরি বংশের উত্থানের ইতিহাস সংক্ষেপে লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তাহিরি বংশের উত্থানের ইতিহাস সংক্ষেপে লিখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।