তাহিরি বংশের পতনের কারণসমূহ বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তাহিরি বংশের পতনের কারণসমূহ বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তাহিরি বংশের পতনের কারণসমূহ বর্ণনা কর।
তাহিরি বংশের পতনের কারণসমূহ বর্ণনা কর |
তাহিরি বংশের পতনের কারণসমূহ বর্ণনা কর
- অথবা, তাহিরি বংশের পতনের কারণগুলো আলোচনা কর।
- অথবা, তাহিরি বংশের পতনের কারণগুলো লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : উত্থান, বিকাশ ও পতন জগতের স্বাভাবিক নিয়ম। পৃথিবীতে বহু রাজবংশের যেমন উত্থান হয়েছে তেমনি তার পতনও হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাহিরি রাজবংশ ব্যতিক্রম নয়।
তাহির ইবনে হুসাইন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ৮৭২ সাল পর্যন্ত শাসনকার্য পরিচালনা করেন। দীর্ঘ ৫২ বছর শাসন করার পর ৮৭২ সালে সাফারীদের হাতে তাহিরি রাজবংশের পতন ঘটে ।
→ তাহিরি রাজবংশের পতনের কারণ : নিম্নে তাহিরি রাজবংশের পতনের কারণসমূহ আলোচনা করা হলো-
১. প্রাকৃতিক কারণ : ঐতিহাসিক ইবনে খালদুনের মতে, “যেকোনো রাজবংশ একশত বছর পর্যন্ত টিকে থাকে।” কিন্তু তাহির কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই রাজবংশ একশত বছর টিকে থাকতে পারেনি। এই রাজবংশ ৫২ বছর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
২. যোগ্য শাসকদের অভাব : তাহিরি রাজবংশের পতনের অন্যতম কারণ হলো যোগ্য শাসকদের অভাব। এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা তাহির ইবনে হুসাইন, তালহা ইবনে তাহির ও আব্দুল্লাহ ছাড়া অধিকাংশ শাসকই ছিল অযোগ্য, শাসকদের অযোগ্যতার কারণে এ রাজবংশ দ্রুত পতনের দিকে ধাবিত হয়েছিল।
৩. খলিফা মুতামিমের সাথে আব্দুল্লাহর দ্বন্দ্ব : তাহিরি বংশের পতনের আরেকটি কারণ হলো আব্বাসীয় খলিফাদের সাথে আব্দুল্লাহর সম্পর্ক ভাল ছিল না।
এ কারণে খলিফা মুতামিম সিংহাসনে আরোহণ করার পর থেকে তাহিরিদের ওপর বিভিন্ন দমননীতি আরোপ করতে থাকেন। যার কারণ তাহিরি বংশের পতন দ্রুত ঘটে।
৪. পরবর্তী শাসকদের দুর্বলতা : ৮৪৫ সালে আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর তার পুত্র তাহির ইবনে আব্দুল্লাহ ক্ষমতায় আসেন। তার শাসনামলে বিদ্রোহীদের হাতে সিস্তান হাতছাড়া হয়।
এরপর আব্দুল্লাহ ইবনে তাহির গভর্নর হওয়ার পর শাসনকার্য আরও ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তী শাসকদের দুর্বলতার কারণে এ বংশের পতন হয় ।
৫. সাফারীদের আবির্ভাব : তাহিরি রাজবংশের পতনের অন্যতম প্রধান কারণ হলো সাফারীদের আবির্ভাব। ৮৭২ সালে সাফারী শাসক ইয়াকুব ইবনে লায়েস তাহিরি শাসক মুহাম্মদকে বিতাড়িত করে ক্ষমতা দখল করেন। এরপর সাফারীদের খোরাসানকে তাদের সাম্রাজ্যভুক্ত করে নেয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তাহিরি বংশের উত্থান যেমন চমকপ্রদ তেমনি এ বংশের পতন ছিল বিস্ময়কর। খোরাসানে মুহাম্মদ ইবনে তাহিরের শাসন দুর্বল হয়ে পড়লে ৮৭২ সালে সাফারীদের হাতে তাহিরিরা উৎখাত হয়। তাহির ইবনে মুহাম্মদ খোরাসান থেকে বিতাড়িত হওয়ার সাথে সাথে তাহিরি বংশের পতন ঘটে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ তাহিরি বংশের পতনের কারণগুলো আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তাহিরি বংশের পতনের কারণগুলো লিখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।