তাহিরের উপাধি কী ছিল
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তাহিরের উপাধি কী ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তাহিরের উপাধি কী ছিল ।
তাহিরের উপাধি কী ছিল |
তাহিরের উপাধি কী ছিল
উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় শাসনামলে খলিফাদের দুর্বলতার সুযোগে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যে সকল রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে তাহিরি রাজবংশ অন্যতম। এ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হুসাইন ইবনে তাহির। তাহিরির প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ৮২০–৮৭২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫২ বছর রাজত্ব করেন।
তাহিরের পরিচয় : তাহির ৭৭৫ মতান্তরে ৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে ফোসাঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। এটি বর্তমানে আফগানিস্তানে অবস্থিত। তার পিতার নাম ছিল হুসাইন। তিনি আব্বাসীয় খলিফাদের একজন সরকারী রাজকর্মচারী ছিলেন।
তাহিরের উপাধি লাভ : আব্বাসীয় খলিফা আল আমিন ও আল মামুন দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব যখন চরম আকার ধারণ করে তখন তা সংঘর্ষের দিকে ধাবিত হয়। দুই ভাইয়ের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে খলিফা আল আমিন আলী ইবনে ঈসাকে খলিফা আল মামুনের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন।
অপরদিকে, খলিফা মামুন তার বিশ্বস্ত সেনাপতি তাহিরকে আমিনের বিপক্ষে প্রেরণ করেন। ৮১০ খ্রিস্টাব্দে রায়-এর নিকট উভয় বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে মামুন জয়লাভ করে।
এ যুদ্ধে একচক্ষু বিশিষ্ট তাহির সমানভাবে দুই হাতে তরবারি পরিচালনা করেছিলেন যে তার সাহসিকতা বীরত্ব ও রণকৌশলে মুগ্ধ হয়ে খলিফা আল মামুন তাকে দু আল ইয়ামিনাইন বা সব্যসাচী উপাধি প্রদান করেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তাহির খলিফা মামুনের সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত হওয়ার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে মামুনের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র হন। এজন্য মামুন তাকে সেনাবাহিনীর প্রধান পদে নিযুক্ত করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যকার যুদ্ধে তিনি অসীম দক্ষতার পরিচয় দেওয়ার কারণে মামুন তাকে সব্যসাচী উপাধি দেন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ তাহিরের উপাধি কী ছিল
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তাহিরের উপাধি কী ছিল। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।