শ্রেণি সচেতনতা সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ সংক্ষেপে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শ্রেণি সচেতনতা সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শ্রেণি সচেতনতা সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
শ্রেণি সচেতনতা সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ সংক্ষেপে আলোচনা কর |
শ্রেণি সচেতনতা সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ সংক্ষেপে আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদের পতন সাধন করে সাম্য ও সমাজতন্ত্রের ফেরিওয়ালা ছিলেন কার্ল মার্কস। রাজনৈতিক মতবাদের পাশাপাশি তিনি সমাজতান্ত্রিক চেতনার আলোকে নারী মুক্তির পথ নির্দেশনাও দান করেছেন। নারী মুক্তির উপায় হিসেবে তিনি শ্রেণি সচেতনতাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
→ শ্রেণি সচেতনতা : র্যাডিকেল নারীবাদীরা সমাজে নারীর পশ্চাৎপদতার মূল কারণ হিসেবে নারী পুরুষের জৈবিক আধিপত্যকেই দাবি করলেও কার্ল মার্কস এই মতবাদের তীব্র বিরোধী। তিনি বলেন সমাজের মানুষ মূলত দুই শ্রেণির- এক হলো বুর্জোয়া শ্রেণি যাদের নিজস্ব স্ত্রী-প্রেমিকা ও কন্যা রয়েছে।
আর দ্বিতীয় হলো শ্রমিক শ্রেণি তাদেরও রয়েছে প্রেমিকা, স্ত্রী ও কন্যা । কিন্তু তিনি বলেন এই দুই শ্রেণির নারীরাই তাদের পুরুষ আত্মীয় স্বজন দ্বারা অধিকার বঞ্চিত হন। তারা সুকৌশলে পুরুষদের দ্বারা নির্যাতিত, অত্যাচারিত ও অধিকার বঞ্চিত হন।
কিন্তু রক্ষণশীল পরিবার ব্যবস্থা, পুরুষতন্ত্রের আধিপত্যকামীতা ইত্যাদি কারণে এই সকল নারীরা পুরুষদের এই আধিপত্যের শৃঙ্খল ছিন্ন করতে পারেন না। তাই কার্ল মার্কস নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে জিনিসটির আবশ্যিকতা দাবি করেছেন।
তা হলো নারীদের শ্রেণি সচেতনতা। তিনি নারীদের নারী হিসেবে আত্ম প্রবঞ্চনায় না ভুগে একজন মানুষ হিসেবে ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন নারী সমাজ যতদিন পর্যন্ত নিজেদের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদার ব্যাপারে সোচ্চার ও সচেতন না হবেন,
নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্লাটফরম তৈরি না করবে ততদিন পর্যন্ত সমাজসৃষ্ট পুরুষতন্ত্রের আধিপত্যকামী মানসিকতার কাছে তারা শোষিত ও নির্যাতিত হতে থাকবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নারী ও পুরুষ একটি দেশের প্রধান দুটি অংশ। এর কোন একটিকে পেছনে রেখে ঐ দেশ তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য লাভ করতে পারে না।
আর কার্ল মার্কস তার নারীবাদ আলোচনা করতে গিয়ে নারীদের পশ্চাৎপদতার পেছনে তাদের নিজস্ব আত্ম সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন নারী জাতির মুক্তির প্রধান অন্তরায় হলো তাদের আত্মমর্যাদাবোধের অভাব ও শ্রেণি সচেতনতার জ্ঞান না থাকা ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শ্রেণি সচেতনতা সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শ্রেণি সচেতনতা সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।