সংক্ষেপে নারীবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সংক্ষেপে নারীবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সংক্ষেপে নারীবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।
সংক্ষেপে নারীবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর |
সংক্ষেপে নারীবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : নারীবাদ হলো এমন একটি তত্ত্ব যা নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক, সামাজিক ও আইনগত অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা এবং সুষম সমাজ গঠনের কথা বলে। উক্ত উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নে পরিচালিত নারীবাদী আন্দোলন সংগ্রামের কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়।
→ নারীবাদের বৈশিষ্ট্য : নারীবাদের প্রধান লক্ষ্য হলো সারা বিশ্বে নারী-পুরুষের লক্ষ্যকে সামনে রেখে নারীবাদীরা যে সকল ক্ষেত্রে নারীরা বঞ্চিত, সেই সমস্ত ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে, অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করে আসছে সুদূর ৬০-৭০ এর দশক থেকে । ফলে নারীবাদী কর্মকাণ্ড কিছু সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়। যার মধ্যে-
১. নারীকে মানুষ হিসেবে অভিষিক্ত করা : নারীরাও মানুষ। মানুষ হিসেবে নারীরাও সমান মর্যাদার অধিকারী। নারীকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে তাদের জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণে প্রচেষ্টা চালানো নারীবাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য ।
২. নারী শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ : নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার উপর অধিক গুরুত্বারোপ নারীবাদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। কেননা নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানো ছাড়া নারীর সত্যিকার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় ।
৩. অর্থনৈতিক অধিকারে নারী-পুরুষ সাম্য প্রতিষ্ঠা : অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসমূহে নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন । নারীবাদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো সম্পত্তিসহ অর্থনৈতিক অধিকারে নারী-পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠা করা ।
৪. আইনি বৈষম্য দূর করা : নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন আইনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে । বিবাহবিচ্ছেদসহ সকল প্রকার আইনি বৈষম্য দূর করা নারীবাদের বৈশিষ্ট্য।
৫. কর্মক্ষেত্রে সুযোগের সমতা সৃষ্টি : সমাজের অর্ধেক অংশ নারী। তাদেরকে সামাজিক উৎপাদনশীল কার্যকলাপ হতে সরিয়ে রেখে তাদের নির্ভরশীল করে রাখা হয়েছে। নারীবাদের বৈশিষ্ট্য হলো কর্মক্ষেত্রে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে সুযোগের সমতা সৃষ্টি ও কর্মবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা ।
৬. নারীর রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা : বর্তমান বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। নারীবাদের বৈশিষ্ট্য হলো পুরুষের ন্যায় নারীর রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা।
৭. পিতৃতন্ত্রের মূলোৎপাটন : পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নারীবাদের পশ্চাৎপদতার দিকে ধাবিত করছে। নারীবাদীরা পিতৃতন্ত্র উচ্ছেদ করে তথা পিতৃতন্ত্রের মূলোৎপাটনের মাধ্যমে সুসম সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নারীবাদী আন্দোলন তার বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্য দিয়ে, নারীকে মানবজাতির অংশ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে পুরুষের পাশাপাশি নারীকে চলার ও সমযোগ্যতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকল বৈষম্য দূর করে নারীকে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সংক্ষেপে নারীবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সংক্ষেপে নারীবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।