সমাজতন্ত্রে মহিলাদের অবস্থান সংক্ষেপে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সমাজতন্ত্রে মহিলাদের অবস্থান সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সমাজতন্ত্রে মহিলাদের অবস্থান সংক্ষেপে আলোচনা কর।
সমাজতন্ত্রে মহিলাদের অবস্থান সংক্ষেপে আলোচনা কর |
সমাজতন্ত্রে মহিলাদের অবস্থান সংক্ষেপে আলোচনা কর
- অথবা, সমাজতন্ত্রে মহিলাদের অবস্থান সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
- অথবা, সমাজতন্ত্রে মহিলাদের অবস্থান সংক্ষেপে উল্লেখ কর।
উত্তর : ভূমিকা : সৃষ্টির অনাদিকাল থেকেই সমাজে দুই শ্রেণির মানুষ বাস করে। এক শ্রেণি হলো শাসক আর অন্য শ্রেণি হলো শোষিত । শাসক শ্রেণির প্রতিভূ হিসেবে পুঁজিবাদের উত্থান হয় । আর শোষিত শ্রেণিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয় সমাজতন্ত্রের অন্যান্য রাজনৈতিক মতবাদের পাশাপাশি সমাজতন্ত্র নারী মুক্তির বিষয়েও তার নিজস্ব মতামত প্রদান করেছেন।
নিম্নে প্রশ্নালোকে সমাজতন্ত্রে মহিলাদের অবস্থান সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
১. নারী পুরুষের সমতা বিধান : পুঁজিবাদ যেখানে পুরুষকে নারীর প্রভুর আসনে বসিয়েছে। সেখানে সমাজতন্ত্র দিয়েছে নারীকে মুক্তি ও স্বাধীনতা। সমাজতন্ত্রে বলা হয়েছে পুরুষ কখনোই নারীর রক্ষাকর্তা বা প্রভু হতে পারে না।
বরং তারা একে অন্যের পরিপূরক। যেহেতু তারা সমান ও মর্যাদায় সমকক্ষ তাই তারা যে কোন পেশায় সমান সম্মান ও মর্যাদা লাভের অধিকারী হবে।
২. মজুরির মানদণ্ড : পুরুষতন্ত্রের সৃষ্ট একটা মতবাদ ছিল পুঁজিবাদ। তাই বিশ্বের সর্বত্র পুঁজিবাদ সবসময় পুরুষের অধিকার ও মর্যাদা সংরক্ষণে ভূমিকা পালন করে আসছে।
তাই দেখা যেত পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় একই কারখানার নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের বেতন বা মজুরির ক্ষেত্রে সীমাহীন বৈষম্য বিরাজ করতো। সমাজতন্ত্রই প্রথম ঘোষণা দেয় শ্রমিকের বেতন বা মজুরির মানদণ্ড হবে তার কাজের ধরন ও পরিমাণ তার লিঙ্গ নয়।
৩. নারী স্বাধীনতা : পুঁজিবাদ যদিও নারীদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না কিন্তু সমাজতন্ত্র এখানে পুঁজিবাদের সম্পূর্ণ বিপরীত। সমাজতন্ত্রের মূল কথাই হলো সবার অবাধ ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।
তাই সমাজতাত্ত্বিক চিন্তাবিদরা নারীদের বিয়ে, বিয়ে পরবর্তী যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও সন্তান গর্ভধারণের ব্যাপার নারীদের পূর্ণ স্বাধীনতার নীতিতে বিশ্বাস করে।
৪. নারীর মর্যাদা রক্ষা : পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় যেখানে নারীদের পুরুষের লালসার পতি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সেখানে সমাজতন্ত্র নারীদের আত্মমর্যাদার পূর্ণ স্বীকৃতি দান করেছে।
তাই সমাজতান্ত্রিক তাত্ত্বিকরা নারীদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও পণ্যের প্রচারের ব্যবহারের তীব্র বিরোধিতা করেন। তারা মনে করেন পণ্যের ব্যবহারে নারীদের যথেচ্ছা ব্যবহার তার মর্যাদাহানি করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, সমসাময়িক অন্য যে কোন মতবাদের চেয়ে সমাজতান্ত্রিক মতবাদে নারীদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদাবোধের বেশি স্বীকৃতি দান করা হয়েছে।
সমাজতন্ত্র নারীদের পরজীবী জীব হিসেবে বিবেচনা করে তাকে স্বাধীন ও আত্মমর্যাদাশীল মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দান করে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সমাজতন্ত্রে মহিলাদের অবস্থান সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সমাজতন্ত্রে মহিলাদের অবস্থান সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।