সবুক্তগীন কে ছিলেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সবুক্তগীন কে ছিলেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সবুক্তগীনের পরিচয় দাও ।
সবুক্তগীন কে ছিলেন |
সবুক্তগীন কে ছিলেন
- অথবা, সবুক্তগীনের পরিচয় দাও ।
- অথবা, সবুক্তগীন সম্পর্কে লিখ।
- অথবা, সবুক্তগীন সম্পর্কে কি যান ।
উত্তর : ভূমিকা : আলপ্তগীন গজনী বংশকে প্রতিষ্ঠিত করার পর ১৪ বছর স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেছিলেন এবং তার পরেই তার পুত্র আবু ইসহাকের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।
কিন্তু তার পুত্র মাত্র কয়েক বছর ক্ষমতা হাতে রাখতে পেরেছিল । অতঃপর ৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিভাবান ও বিজ্ঞ সমরনায়ক সুলতান মাহমুদের পিতা সবুক্তগীন সিংহাসনে আরোহণ করেন ।
→ সবুক্তগীনের পরিচয় : ৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের ৯ এপ্রিল আলপ্তগীনের ক্রীতদাস ও জামাতা সবুক্তগীন গজনীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রতিভাবান উচ্চাভিলাষী শাসক। প্রথমদিকে আলপ্তগীনের ক্রীতদাস হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই আলপ্তগীনের প্রিয়পাত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেন। তিনি প্রভুর কাছ হতে আমিরুল উমরাহ উপাধি লাভ করলেন। পরবর্তীতে তিনি ছিলেন আলপ্তগীনের সৈন্যবাহিনীর প্রধান। তারও কিছু পরে আলপ্তগীন তার কন্যার সাথে সবুক্তগীনকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করান।
সিংহাসনে আরোহণের পর তিনি গজনী রাজ্যের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েন। তিনি আফগানদের সংগঠিত করে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করেন এবং রাজ্যে জয়ের দিকে দৃষ্টি দেন। তিনি ধীরে ধীরে খোরাসান, সিস্তান, ভারতবর্ষের লামঘান অধিকার করেন।
গজনী রাজ্যের শক্তি বৃদ্ধির জন্য পরবর্তীতে তিনি ভারতবর্ষের দিকে দৃষ্টি দেন। এখানেও তার সফলতা আসে । পাঞ্জাবের হিন্দুরাজ্য শাসক জয়পাল একবার তার রাজ্য আক্রমণ করার জন্য অগ্রসর হয়েছিলেন।
৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে “খুজাক” নামক স্থানে জয়পাল সবুক্তগীনের সেনাবাহিনীর নিকট সম্মুখীন হয়ে মুসলিমদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজয়বরণ করলেন । এটাই ছিল হিন্দু মুসলমান প্রথম যুদ্ধ ।
এই ঘটনার প্রায় সাত বৎসর পর জয়পালের রাজ্য হতে অনেক ধনসম্পদ হস্তগত করেছিলেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে আবারও জয়পালের রাজ্য আক্রমণ করে গজনীর সীমানায় এগুলোকে অধিষ্ঠিত করে তিনি ইতিহাসের পাতায় আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন ৷
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যদিও সুবক্তগীণ ভারতের দিকে বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেন নাই তার পরও বলা যায় যে, ভারতে পরবর্তী গজনী বংশের প্রতিষ্ঠার দ্বার উম্মোচন করে গিয়েছিলেন ।
তিনি প্রায় ১১ বছর রাজত্ব করার পর ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে প্রাণত্যাগ করেন। তিনি গজনী রাজ্যের ভিত্তিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে যান। তিনি তার পুত্র ইসমাইলকে সিংহাসনে বসিয়ে যান। তিনি ছিলেন দয়ালু শাসক, দৃঢ়মনা ও ক্ষয়িষ্ণু শাসক।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সবুক্তগীন সম্পর্কে লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সবুক্তগীন সম্পর্কে কি যান। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।