স্বাস্থ্যসেবা কি ও স্বাস্থ্যসেবা এবং ঔষধের ক্রমবিকাশ বিশ্লেষণ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্বাস্থ্যসেবা কি ও স্বাস্থ্যসেবা এবং ঔষধের ক্রমবিকাশ বিশ্লেষণ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্বাস্থ্যসেবা কি ও স্বাস্থ্যসেবা এবং ঔষধের ক্রমবিকাশ বিশ্লেষণ কর ।
স্বাস্থ্যসেবা কি ও স্বাস্থ্যসেবা এবং ঔষধের ক্রমবিকাশ বিশ্লেষণ কর |
স্বাস্থ্যসেবা কি ও স্বাস্থ্যসেবা এবং ঔষধের ক্রমবিকাশ বিশ্লেষণ কর
- স্বাস্থ্যসেবা এবং ঔষধের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর ।
- স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার ইতিহাস পর্যালোচনা কর ।
উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্বাস্থ্যসেবা। প্রাচীনকাল থেকেই স্বাস্থ্য সেবার চর্চা হয়ে আসছে। তবে আধুনিককালে চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় স্বাস্থ্যসেবা একটি উন্নতরূপ লাভ করে ।
প্রতিটি মানুষেরই স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া তার মৌলিক অধিকার । কিন্তু মানুষ প্রায়ই ঔষধ তথা চিকিৎসার উপর নির্ভরশীল আর এ ঔষধ এবং স্বাস্থ্যসেবা একবারে আসেনি।
বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আজকের এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু এ স্বাস্থ্যসেবা এখন নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা : সাধারণভাবে স্বাস্থ্যসেবা বলতে এমন একটি শিল্পকে বোঝায় যে শিল্প চিকিৎসা বিষয়ের যন্ত্রপাতি এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও পেশাদার ব্যক্তিদের মাধ্যমে মানুষের রোগ নিবারণের পাশাপাশি তাদের শরীর ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করে।
বর্তমানে দ্রুতবর্ধনশীল পেশাগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম একটি পেশা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রায় ১০% স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করে।
→ স্বাস্থ্যসেবা ঔষধ বা চিকিৎসা সেবার ক্রমবিকাশ :
জন্মমৃত রোগ সম্বন্ধে মানুষের সমাজে নানারকম বিশ্বাস আছে। প্রাচীন বিশ্বে রোগটাকে দেখা হতো ডাইনি চর্চা বা শয়তানের কাজ কিংবা তাদের ইচ্ছা হিসেবে।
এখনও এ বিশ্বাস বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন সমাজে চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে স্বাস্থ্যসেবারও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
নিম্নে চিকিৎসা সেবার ক্রমবিকাশ আলোচনা কর হলো :
১. ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি : এটাকে প্রথাগত চিকিৎসা হিসেবে অভিহিত করা যায়। ভেষজ চিকিৎসার মাধ্যমে মূলত প্রসূতি চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি বিষয়ে প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে বোঝায়।
ভেষজ চিকিৎসা বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক চিকিৎসা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সাধারণতভাবে এ চিকিৎসা পদ্ধতি লিখিত এবং ঐতিহ্যগতভাবে বংশানুক্রমে একের পর এক ব্যক্তি পেয়ে থাকে।
এ ধরনের ভেষজ চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে সাধারণত ওঝা, দাই, কবিরাজ বা হাতুরে ডাক্তার বা ভেষজ চিকিৎসা বলা হয়।
মূলত বিভিন্ন লতা-পাতা লতাগুল্ম থেকে রস কিংবা গুড়া তৈরি করাই হলো দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির কাজ যার মাধ্যমে রোগীকে রোগমুক্ত করা যায় । উদ্ভিদরাজিকেই মূলত ঔষুধের উৎস হিসেবে ধরা হয়।
২. বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি : বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হলো বাস্তব চিকিৎসার বাড়তি চিকিৎসা। সাধারণভাবে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি বলতে বুঝানো হয় প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি বা প্রচলিত চিকিৎসার উপর বাড়তি কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, প্রচলিত বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক চিকিৎসার বাইরে চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে তাই বিকল্প চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত মূলত বলা যায় আগেকার যুগে বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল খুবই জনপ্রিয় ।
৩. আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি : আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি সমগ্র বিশ্বে চিকিৎসা খাতে আমূল পরিবর্তন আনয়ন করে এবং পূর্বের তুলনায় আরো উন্নত চিকিৎসা প্রবর্তন করে চিকিৎসার ক্ষেত্রে দিন দিন নিত্যনতুন আবিষ্কার ও প্রযুক্তির ছোঁয়া আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অন্য রূপদান করে।
স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে উন্নতির পিছনে আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের অবদান অনস্বীকার্য। বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বেশ কয়েকটি ধাপ আমরা লক্ষ করি। নিম্নে সেগুলো সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :
(ক) টেলিস্বাস্থ্য ব্যবস্থা : টেলিস্বাস্থ্য ব্যবস্থা হচ্ছে টেলিফোন ও মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য প্রদান ও সেবা গ্রহণ।
এ পদ্ধতিতে রোগী তার সমস্যার কথা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা নার্সকে জানাতে পারে এবং ডাক্তার সে অনুযায়ী ব্যবস্থাদি বলে দিতে পারে।
মাঝে মাঝে এ টেলিস্বাস্থ্য ব্যবস্থা রোগীর ক্ষতি সাধন করতে পারে। এজন্য রোবটিক প্রযুক্তির মতো জটিল আকার বলা যায় ।
(খ) টেলিমেডিসিন : আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে টেলিমেডিসিন একটি দ্রুত ক্রমবর্ধমান সেবা ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যগুলো টেলিফোন অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরামর্শের জন্য প্রেরণ করা হয়।
সেক্ষেত্রে প্রায়ই দুমুখী স্বাস্থ্য প্রক্রিয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তবে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থা মাঝে মাঝে সাদামাটাও হতে পারে।
যেমন- টেলিফোনের মাধ্যমে কোনো রোগী ফোনে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের কাছে স্বাস্থ্য বা রোগ সংক্রান্ত পরামর্শ চাইছেন। টেলিমেডিসিন বলতে সাধারণত তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে বোঝায় ।
(গ) টেলি- কার্ডিওলজি ব্যবস্থা : আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের অন্যতম হলো টেলি- কার্ডিওলজি সেবা ব্যবস্থা।
এ সেবা ব্যবস্থায় ইসিজি এবং Eleetrocardiograph টেলিফোন এবং ওয়ারলেসের মাধ্যমে চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
যা ১৯৫৮ সালে (Barn) একটি (ECG) ইসিজি লেখা চার হাজার ফুট উপরে পাঠিয়ে এ পদ্ধতির উদ্ভাবন করা হয় ।
(ঘ) টেলিরেডিওলজি ব্যবস্থা : এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা একটু অন্যরকম। এ ক্ষেত্রে চিত্র প্রেরণকারী স্টেশনের টেলিরেডিওলজি প্রক্রিয়া শুরু হয় তবে এর একটি মডেল বা অন্য কোনো প্রকার সংযুক্তি যন্ত্রের প্রয়োজন হয়।
এ ক্ষেত্রে রেখা চিত্রগুলো স্ক্যান করে নেটওয়ার্ক কানেকশনের মাধ্যমে গ্রহণকারীর কম্পিউটারে প্রেরণ করা হয়। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) আর্থিক সহায়তায় প্রচারিত R-Bay হচ্ছে টেলিরেডিওলজি একটি প্রামাণ্য উদাহরণ ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রাচীনকাল থেকে চিকিৎসা পদ্ধতি এবং সেবার ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। সেই প্রাচীনকালের চিকিৎসা ব্যবস্থা আজ আর বিদ্যমান নেই।
সময় ও চাহিদার পরিবর্তনের সাথে আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা খাতে এদেশে পরিবর্তন, পরিবর্ধন যার ফলে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা পড়ানো হয়নি ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্বাস্থ্যসেবা কি ও স্বাস্থ্যসেবা এবং ঔষধের ক্রমবিকাশ বিশ্লেষণ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্বাস্থ্যসেবা কি ও স্বাস্থ্যসেবা এবং ঔষধের ক্রমবিকাশ বিশ্লেষণ কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।