সামানীয় রাজবংশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সামানীয় রাজবংশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সামানীয় রাজবংশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর।
সামানীয় রাজবংশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর |
সামানীয় রাজবংশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের ইতিহাসে যে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজবংশের কথা জানা যায় তার মধ্যে অন্যতম একটি রাজবংশ হলো সামানীয় রাজবংশ এই রাজবংশ ছিল তাহিরিদ রাজবংশের অধীনে একটি মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত উপগভর্নর।
সামানীয় রাজবংশের মানুষরা ছিল বলখ-এর এক মহান জরথুষ্টবাদের সামানের বংশধর। এই রাজবংশের শাসকদের যোগ্যতা বলে তাদের সাম্রাজ্য বহুদূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেন।
১. সামানীয় রাজবংশের ইতিহাস : সামানীয় রাজবংশের ইতিহাস খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। নিম্নে সামানীয় রাজবংশের ইতিহাস আলোচনা করা হলো :
২. সামানীয় বংশের পরিচয় : সামানীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সামানের এক পৌত্র নাসর আহমদ (৮৭৪-৯২ খ্রি.) কিন্তু এই রাজবংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় নাসরের ভাই ইসমাঈলকে (৮৯২-৯০৭ খ্রি.)।
৩. সামানীয়দের রাজ্য সীমানা : সামানীয় রাজবংশের ৪র্থ বংশধর দ্বিতীয় নসর ইবন আহমদের (৯১৩-১৪ খ্রি.) নেতৃত্বে সামানীয় রাজত্বের সীমানা ট্রান্সঅক্সিয়ানা ও খুরাসান থেকে বাড়িয়ে সিজিস্তান, কিমরান, জুরজান, আল রায় ও তাবারিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয় ।
৪. শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নতি : সামানীয় রাজবংশে আমলে রাজধানী জুয়ারা ও প্রধান শহর সমরকন্দ গৌরবের দিক থেকে বাগদাদকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এই সময় সামানীয় রাজবংশের আমলে আরবি ও ফারসি মনীষাকে সযত্নে রক্ষা করা ও বিকাশ ঘটানো হয়েছিল।
৫. চিকিৎসাবিদ্যার উপর গ্রন্থ : সামানীয় রাজবংশের দ্বিতীয় শামনের এক ভাইপো এবং সিজিস্তানের অধিবাসী ও সামানীয় রাজপুত্র আবু সালিহ মুনসুর ইবন ইসহাকের নামেই “আল-মানসুরি” চিকিৎসাবিদ্যার উপর লেখা তার বইটি উৎসর্গ করেন। সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থকার আল রাযী তার পৃষ্ঠপোষকের সম্মানেই এ কাজটি করেছিলেন।
৬. আধুনিক পারসীয় সাহিত্যের উদ্ভব হয় : সামানীয় রাজবংশে পারসীয় সাহিত্যের প্রভাব লক্ষ করা যায়। এ সময় ফেরদৌসী (৯১৪-১০২০ খ্রি.) তার প্রথম কবিতাটি লিখেছেন এবং সময়েই মনসুরকে (৯৬১-৭৬ খ্রি.) উজির বালআমি আল তাবারীর লেখা ইতিহাসে এক সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করেন।
এ ভাবে এই সময় উদ্ভূত ফারসি ভাষার সর্বাধিক প্রাচীন গদ্য এখনও বিদ্যমান রয়েছে। মুসলিম বিজয়ের পর থেকেই পারসীয়ারা তাদের সাহিত্য রচনায় আরবি ভাষা ব্যবহার করতেন। এই লেখকের মাধ্যমে তাদের গৌরবময় অগ্রগতি সাধিত হয়।
৭. সামানীয়দের পতন : ইরানের সুশিক্ষিত রাজবংশের মধ্যে সামনীয়রা ছিল অন্যতম। কিন্তু সেই সময় যে সকল বিষয় রাজবংশগুলোর পতনের জন্য কারণ হিসেবে যারা সামানীয় রাজবংশ সে সকল প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল না।
অন্যদিকে, উত্তর দিকে তুর্কি যাযাবরদের আক্রমণ ইত্যাদির প্রভাবে ৯৯৪ খ্রি. গজনবীদের হাতে চলে যায় সামলায় রাজবংশের শাসন ক্ষমতা ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাইরের দিক থেকে সামানীয় রাজবংশকে আব্বাসীয় রাজবংশের অনুগত মনে হলেও বাস্তবে তারা ছিল সম্পূর্ণ স্বাধীন।
বাগদাদের খলিফার চোখে এরা ছিল আমির গভর্নর বা আমিল, কর আদায়কারী, কিন্তু নিজেদের শাসনাধীন এলাকায় তাদের কর্তৃত্ব ছিল নিরঙ্কুশ। তাই এই রাজবংশের গুরুত্ব অপরিসীম।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সামানীয় রাজবংশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সামানীয় রাজবংশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।