শাহনামা কি । শাহনামার ইতিহাস
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শাহনামা কি । শাহনামার ইতিহাস জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শাহনামা কি । শাহনামার ইতিহাস ।
শাহনামা কি । শাহনামার ইতিহাস |
শাহনামা কি । শাহনামার ইতিহাস
উত্তর : ভূমিকা : শাহনামা হচ্ছে কবি ফেরদৌসী রচিত একটি বিখ্যাত মহাকাব্য। এই মহাকাব্যটি ইরানের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ব্যাপক সমৃদ্ধ করেছে। অতি প্রাচীনকাল থেকেই শাহনামা তথা রাজা-বাদশা ও বীরদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গুণাবলি শীৰ্ষক মাহাকাব্য লিখার তথ্য ইরানে প্রচলিত ছিল।
এগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম শাহনামা হলো খোদাই নামক। এটি সামানি যুগে পাহলভী ভাষায় লিখা হয়েছিল এবং ইরানি সাহিত্যিক ইবনুল মোকাফ্ফা এটির আরবি অনুবাদ করে এর নাম দিয়েছিলেন তারিখে মুলকুল ফারস। ফেরদৌসী সুলতান মাহমুদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কাব্যটি রচনা করেছিল ।
→ শাহনামা : ‘শাহনামা' পারস্যের কবি ফেরদৌসী কর্তৃক লিখিত একটি দীর্ঘ মহাকাব্য। এটি একই সাথে ইরানের ও সারা বিশ্বের ফারসি ভাষাভাষী লোকদের জন্য জাতীয় মহাকাব্য । ফেরদৌসী ৯৭১ থেকে ১০১০ সালের মধ্যে ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে এই মহাকাব্য রচনা করেন।
শাহনামায় প্রায় ৬০ হাজার শ্লোক রয়েছে। ইরানের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে আনা হয়েছে শাহনামাতে। মূলত ইরানে ইসলাম-পূর্ব ও সপ্তম শতাব্দীতে ইসলামি শাসনব্যবস্থা চালু হওয়ার পরের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। এই কাহিনিতে রাজাদের গুণগান ও পরবর্তীকালে কবির নিজের অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
বর্তমানে ইরান তার পার্শ্ববর্তী ফারসি ভাষায় কথা বলা আফগানিস্তান ও তাজাকিস্তানের লোকদের কাছে শাহনামা তাদের সাহিত্যের ধারক।মহাকাব্যটি বর্তমানে ইরানের পূর্ব ইতিহাসকে তুলে ধরেছে এবং ফারসি লোকদের সংস্কৃতিকে ধারণ করেছে। এটিতে ইসলাম পূর্ব শেষ সামানাইড রাজার কথাও বলা হয়েছে।
এটি হচ্ছে প্রাচীন ইরানের ইতিহাস ও কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি নিয়ে বিভিন্ন কাব্যগাঁথা। এতে আছে ৯৯০টি অধ্যায়, ৬২টি কাহিনি । পুরো মহাকাব্যে ৬০ হাজার বার আছে অন্ত্যমিল। এটি হোমারের ইলিয়ড-এর চেয়ে সাত গুণ ও জার্মান মহাকাব্য লিবেলুঙ গেনলিয়েড-এর চেয়ে ১২ গুণ বড়। ইংরেজিতে এই পর্যন্ত শাহনামার যতগুলো অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সবগুলোই প্রায় সংক্ষিপ্ত।
১৯২৫ সালে বিখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অর্থার এন্ড এন্ডমন্ড ব্রাদার্স পুরো শাহনামার একটি ইংরেজি অনুবাদ নয় খণ্ডে প্রকাশ করেছিলেন। সেই ইংরেজি অনুবাদের কোনো পুনর্মুদ্রণ এখন আর পাওয়া যায় না। এছাড়া রাশিয়া থেকেও এর অনুবাদ প্রকাশিত হয় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শাহনামা কবি ফেরদৌসী রচিত একটি বিখ্যাত মহাকাব্য। কিন্তু এই মহাকাব্য রচনা করতে গিয়ে ফেরদৌসী সুলতান মাহমুদ কর্তৃক প্রতারিত হয়েছিলেন। যখন ফেরদৌসী শাহনামা লিখা শুরু করেছিলেন।
তখন সুলতান মাহমুদ প্রতিটি শব্দের বিনিময়ে একটি স্বর্ণ মুদ্রা দেওয়ার ওয়াদা করেছিলেন। কিন্তু যখন শাহনামা লিখা শেষ হলে তখন সুলতান মাহমুদ রৌপ্য মুদ্রা দিয়ে সন্তুষ্ট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফেরদৌসী তা গ্রহণ করেননি।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শাহনামা কি । শাহনামার ইতিহাস
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শাহনামা কি । শাহনামার ইতিহাস। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।