সাফারী বংশের পরিচয় দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সাফারী বংশের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সাফারী বংশের পরিচয় দাও ।
সাফারী বংশের পরিচয় দাও |
সাফারী বংশের পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় আমলে সাম্রাজ্যের যেসব রাজবংশের আত্মপ্রকাশ ঘটে তাদের মধ্যে সাফফারী বংশ ছিল উল্লেখযোগ্য। সাফফারী বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইয়াকুব ইবনে লায়েস।
সাফফারীগণ ৮৬৭ থেকে ৯০৮ সাল পর্যন্ত সিজিস্তানের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। ইয়াকুব ইবনে লায়েসের বংশধররা সাফফারী নামে পরিচিত ছিলেন।
[] সাফফারীদের পরিচয় : পারস্যের একটি রাজবংশের নাম সাফারী। তারা ছিলেন পারসিয়ান জাতির লোক। সাফফারী বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইয়াকুব ইবনে লায়েস। তিনি একজন তাম্রকার ছিলেন। এছাড়া ইয়াকুব ইবনে লায়েস লুটতরাজ ও দস্যুদলের সাথেও জড়িত ছিলেন।
দস্যু দলের নেতা হিসেবে তিনি অত্যন্ত সাহসী এবং দুর্ধর্ষ ছিলেন। তার বীরত্বপূর্ণ ও নম্র- আচরণে মুগ্ধ হয়ে সিজিস্তানের আব্বাসীয় গভর্নর তাকে সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষ ও বিচক্ষণ সেনাপতি ছিলেন ।
ইয়াকুব ইবনে লায়েস নিজ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সিজিস্তানে স্বীয় বংশের শাসন ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেন। ইয়াকুব ইবনে লায়েসের পেশা ছিল সাফফার বা তাম্রকার। তার পেশার নামানুসারে এ বংশের নামকরণ করা হয় সাফফারী।
সাফফারী বংশ ৮৬৭-৯০৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪১ বছর সিজিস্তানের শাসনকার্য পরিচালনা করেন। ইয়াকুব ইবনে লায়েস সমগ্র ইরান পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করেন। এছাড়া পারস্যের বাইরে ভারতের সীমান্ত অঞ্চল পর্যন্ত তারা রাজ্য সীমা বিস্তৃত করেন।
সাফফারীদের প্রভাব প্রতিপত্তির ফলে খলিফার সাম্রাজ্য হুমকির মুখে পড়েছিল। কিন্তু সামানীয়দের উত্থানের ফলে সাফারী বংশের একটি বিরাট রাজ্যের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার ফলে সাফফারীদের প্রভাব কমে যায়।
এরপর ৯০০ সালে সাফারীদের কাছে সামানীয়রা খোরাসান দখল করে নেয়। অতএব ৯০৮ সালে সামানীয়দের তাদের চূড়ান্ত পতন ঘটে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সাফারী বংশের উত্থান আব্বাসীয় খিলাফত তথা ইসলামের ইতিহাসে একটি চমকপ্রদ ঘটনা। এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইয়াকুব ইবনে লায়েস। সাফারীয়রা দীর্ঘ ৪১ বছর শাসন করে ৯০৮ সালে সামানীয়দের হাতে তাদের চূড়ান্ত পতন হয়েছিল।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সাফারী বংশের পরিচয় দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সাফারী বংশের পরিচয় দাও। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।
Thank u so much