স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ কর ।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ কর |
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ কর
- স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ আলোচনা কর ।
- অথবা, যুক্ত পাকিস্তান ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ কি ছিল?
- অথবা, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ কেন অপরিসীম ছিল?
উত্তর : ভূমিকা : ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তিলাভ করে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছিল।
কিন্তু বাঙালি মুসলমানেরা যে সম্মিলিত স্বপ্নকে সম্মুখে রেখে পাকিস্ত ানের জন্মকে স্বাগত জানিয়েছিল সে স্বপ্ন বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে বাস্তবে রূপ লাভ করেনি।
পাকিস্তান সৃষ্টির প্রথম থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানকে নব্য উপনিবেশে পরিণত করে। শাসনতন্ত্রে দেশের উভয় অঞ্চলের মধ্যে সাম্যনীতি গৃহীত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
তাছাড়া পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী প্রথম থেকেই জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাঙালিদের অংশগ্রহণের অধিকারকে অস্বীকার করে। যার ফলে বাঙালিরা বিভিন্ন কর্মসূচি ও আন্দোলনের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসনের জন্য জোর দাবি জানাতে থাকে।
এরূপ দাবির প্রেক্ষিতে সংঘটিত হয় ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর নির্বাচন, ৬৬-এর ছয়-দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচন। অবশেষে ৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
→ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ : রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভৃতি জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঙালিদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণের জন্যই পাকিস্ত ান নামক রাষ্ট্র ভেঙ্গে গিয়েছিল এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল নিম্নে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ আলোচনা করা হলো :
১. ভৌগোলিক কারণ : ভৌগোলিক দিক দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত ব্যবধান ছিল প্রায় এক হাজার মাইল। শুধুমাত্র আকাশপথ ব্যতীত এই দুই অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম ছিল না।
যোগাযোগের এ দূরত্বের কারণে পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের দুঃখ কষ্ট সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।
যে কারণে দুই অঞ্চলের এই ভৌগোলিক ব্যবধানের কারণে সৃষ্টি হয়েছে ভাষাগত দ্বন্দ্ব, সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব, সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আচার-আচরণের দ্বন্দ্ব। আর এই ভৌগোলিক দ্বন্দ্বের ফলশ্রুতি হিসেবে বাংলাদেশ নামক নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।
২. ভাষাগত দ্বন্দ্ব : পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সর্বপ্রথম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় রাষ্ট্রভাষাকে কেন্দ্র করে। পাকিস্তানে বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী ছিল যথাক্রমে বাংলা ৫৬.৪০%, পাঞ্জাবী ২৮.৫৫%, পশতু ৩.৪৮%, উর্দু ৩.২৭%, সিন্ধি ৫.৪৭%, বেলুচি ১.২৯% এক্ষেত্রে অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর ভাষা বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ না করে পশ্চিমা শাসক এলিটদের ভাষা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগ নেয়।
ফলে বাঙালি জনগণ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে তা দমন করে। তখন থেকেই ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা গড়ে উঠতে থাকে। যা জনগণকে চূড়ান্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
৩. সামাজিক কারণ : পাকিস্তানের দুই অংশের সমাজ কাঠামো ও সামাজিক জীবন প্রণালি ছিল সম্পূর্ণ পৃথক ধরনের।
একই রাষ্ট্রের অধিবাসী হওয়া সত্ত্বেও ভাষা, শিল্প-সাহিত্য, আচার-আচরণ, পোশাক পরিচ্ছদ, আহার, আবেগ, অনুভূতি এক কথায় সামাজিক জীবনের সকল ক্ষেত্রে তারা আলাদা ছিল।
উভয় অঞ্চলের জনগণের মিলনের একমাত্র সেতু ছিল ধর্ম। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সেই ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।
ফলে পাকিস্তানের রাজনীতির সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প থেকে পূর্ব পাকিস্তানের সমাজব্যবস্থায় ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনাবোধের জন্ম হয়। যার ফলশ্রুতিতে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
৪. সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব : পাকিস্তান সৃষ্টির পর সময়ের ব্যবধানে পূর্ব বাংলায় একটি স্বতন্ত্র সংস্কৃতির বিকাশ ঘটতে থাকে। অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্বাঞ্চলের মুসলমানদের সর্বদা সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে।
এমনকি তারা পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদেরকে পূর্ণমুসলমান হিসেবে স্বীকার না করে অমুসলিম হিসেবে আখ্যা দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি।
এরূপ সংকীর্ণ ধর্মীয় ভাবানুভূতির দ্বারা জাতি গঠনের ন্যায় জটিল বিষয়ের সমাপ্তি টানা হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ১৯৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি ছিল ভাষা ও সংস্কৃতিভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদী চিন্তাচেতনা। যার ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানের বিপর্যয় এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বীজ অঙ্কুরিত হয়।
৫. অর্থনৈতিক কারণ : ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তেমন কোনো ব্যবধান ছিল না।
কিন্তু পরবর্তীতে পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যমূলক নীতি এবং খামখেয়ালি আচরণের ফলে উভয় অংশের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্যের এক বিশাল পাহাড় গড়ে ওঠে।
বৈদেশিক সাহায্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্ব বাংলাকে যথেষ্ট অবজ্ঞা করা হয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তান হতে রপ্তানি কম হলেও আমদানি বেশি করা হয়েছে, আবার পূর্ব পাকিস্তান থেকে রপ্তানি বেশি করা হলেও আমদানি কম করা হয়েছে।
বৈদেশিক সাহায্যের সিংহভাগ ব্যয়িত হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানে আর পূর্ব পাকিস্তানের ভাগ্যে জুটেছে শুধু আশ্বাসের বাণী পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের মাত্রাতিরিক্ত অর্থনৈতিক বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণের ফলে দুই অঞ্চলের মধ্যে বিরাজমান অর্থনৈতিক বৈষম্য এত প্রকট হয়ে ওঠে যে, সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সোচ্চার হয়ে ওঠে। যার ফলে ১৯৭১ সালের মুক্তি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে
৬. শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য : পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় পূর্ব পাকিস্তানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়া সত্ত্বেও পূর্ব পাকিস্তানের অর্থ দ্বারা পশ্চিম পাকিস্তানে গড়ে তোলা হয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
যদিও জনসংখ্যার বিচারে পূর্ব বাংলার স্থান ছিল সর্বাগ্রে। ১৯৪৯ হতে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় যথাক্রমে ৩৮% ও ৬২% এবং মাধ্যমিক স্কুল যথাক্রমে ৩৬% ও ৬৪%।
অন্যান্য ক্ষেত্রের ন্যায় শিক্ষা ক্ষেত্রের এমন বৈষম্যও পাকিস্তানের ভাঙ্গন এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পশ্চাতে কাজ করেছে।
৭. রাজনৈতিক বৈষম্য : সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ ছিল আরও দুর্ভাগ্যজনক। কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ বা গণপরিষদে বাঙালিদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব ছিল না।
একমাত্র সোহরাওয়ার্দীর মন্ত্রিসভা বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব করলেও কুচক্রী পাকিস্তানি মহল তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
মূলত সংশোধিত লাহোর প্রস্তাবের মূল ও অঙ্গরাজ্যগুলোর স্বায়ত্তশাসনের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী প্রদেশের স্বায়ত্তশাসনের নীতি পরিহার করে শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে।
তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে হত্যা করে। ফলে বাঙালিদের মনে পাকিস্তানের প্রতি বিতৃষ্ণার ভাব জন্ম নেয়।
৮. ঐতিহ্যগত পার্থক্য : ঐতিহ্যগত পার্থক্য পাকিস্তানের জাতীয় সংহতি ও জাতি গঠন উভয় ক্ষেত্রে সংকটের সৃষ্টি করে বিধায় পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
সামাজিকতার ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানে সামন্ত ও আধা সামন্ত প্রথা বিদ্যমান থাকলে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা ছিলেন সামন্তপ্রথার বিরুদ্ধে।
পশ্চিম পাকিস্তানিরা সাধারণত ইরান ও আফগানিস্তান দ্বারা উদ্বুদ্ধ ও প্রভাবিত হলেও পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের যোগাযোগ ছিল ভারত, বার্মা প্রভৃতি দেশ ও জাতির সাথে ।
৯. সামরিক কারণ : পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিরক্ষার কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
অথচ ভৌগোলিক কারণে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে গড়ে তোলা উচিত ছিল । কিন্তু তা না করে সকল সামরিক দপ্তর, অস্ত্র দপ্তর ও অস্ত্র কারখানা পশ্চিম পাকিস্তানে স্থাপন করা হয়।
আইয়ুব খানের যুক্তি ছিল যে, পূর্ব পাকিস্তানের রক্ষা ব্যবস্থা পশ্চিম পাকিস্তানে নিহিত রয়েছে। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধে আইয়ুবের এই যুক্তির অসারতা প্রমাণিত হয় । ফলে বাঙালিরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে ।
১০. শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন : পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী কেন্দ্রকে শক্তিশালী করে তৎকালীন পূর্ব বাংলাকে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে রাজনৈতিক কর্মধারাকে জোরপূর্বক স্তব্ধ করার চেষ্টা চালায়।
বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে তারা ছিলেন বঞ্চিত ফলে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের উপনিবেশে পরিণত হয় বিধায় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পশ্চিমা এই আধিপত্যকে নস্যাৎ করে দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়।
১১. ছয়-দফা আন্দোলন : পাকিস্তানি স্বৈরশাসক গোষ্ঠীর শোষণ, নির্যাতন ও অবিচারের বিরুদ্ধে ছয়-দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ।
এ আন্দোলন ছিল মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলকে নিয়ে গঠিত বাঙালি জাতির আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের চাবিকাঠি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে ছয়- দফা আন্দোলন পালন করে অবিস্মরণীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেন, “ছয়-দফা বাংলার কৃষক, শ্রমিক, মজুর মধ্যবিত্ত তথা— গোটা বাঙালি মুক্তির সনদ এবং বাংলার স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার নিশ্চিত পদক্ষেপ।”
১২. ১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রভাব : পাকিস্তান সৃষ্টির ২৩ বছর পর প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে পূর্ব বাংলার জনগণ আওয়ামী লীগকে ব্যাপকভাবে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে।
কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও এর নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তুলে দিতে অনীহা প্রকাশ করে। ফলে যুদ্ধে অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে এবং পাকিস্তানের ভাঙ্গনের মধ্যদিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের কেন্দ্রীয় প্রশাসন, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক প্রভৃতি দিক থেকে যথার্থ অংশগ্রহণের অধিকারকে অস্বীকার করে।
ফলে বাঙালিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় যা জাতীয় চেতনার জন্ম দেয়। এ ক্ষোভ ও চেতনার সূত্র ধরেই বাঙালিরা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম, নির্বাচন প্রভৃতিকে পাথেয় করে ৭১- এর স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। ফলে যুক্ত পাকিস্তান ভেঙ্গে জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।