বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা |
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা
- মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও বিদেশি প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা মূল্যায়ন কর
- অথবা, মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র ও বিদেশি প্রচার মাধ্যমের অবদান আলোচনা কর।
উত্তর ভূমিকা : মুক্তিযুদ্ধে প্রচার ছিল জয়ের অন্যতম একটি হাতিয়ার। বিশ্ব জনমত বাংলাদেশের পক্ষে ছিল দেখে জয় দ্রুত সম্ভব হয়েছে।
বিশ্বের মানুষকে সরকারের প্রচার বিভাগ, বিদেশি প্রচার মাধ্যম অন্যান্য যুদ্ধের ভয়াবহতা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল এবং এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র' প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিল।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পাশাপাশি বিদেশি প্রচার মাধ্যমসমূহও মুক্তিযোদ্ধা ও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এসব প্রচার মাধ্যমের নিরলস প্রচেষ্টায় অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
→ মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা : মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র বিপ্লবী ভূমিকা গ্রহণ করে। তবে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র শুধু দেশের ভিতরে নয় দেশের বাইরেও সম্প্রসারিত হয় এবং জনমত গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নিম্নে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা আলোচনা করা হলো :
১. স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার : মুক্তিযুদ্ধ সূচনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করা। আর তা প্রচার করা ছিল আরও গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
২৫ মার্চ যখন যুদ্ধাবস্থা তখন থেকেই চট্টগ্রাম বেতারের বেশ কিছু কর্মী বেতার প্রচার নিয়ে চিন্তিত ছিলেন এবং আপদকালীন সময়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন বেতার কর্মীরা।
এই বেতারকেন্দ্র থেকে কিছু ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানি বাহিনী গোলাবর্ষণ শুরু করলে বেতার কর্মীরা চলে যান, এখান থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করে শোনান।
এরপর ২৭ মার্চ এই কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে শোনান। এভাবে বাংলাদেশ বেতার স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন : ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সাথে দেশীয় জনগণের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র।
প্রবাসী সরকার এ বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমেই তাদের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, নির্দেশনা প্রচারের জন্য পাঠাত। সিদ্ধান্ত নিদের্শনা ও উপদেশমূলক বাণী স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচার করা হতো যা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অন্ধকার পথের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করত।
এভাবে প্রার্থী সরকার ও মুক্তিকামী জনগণের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের সেতুবন্ধন হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছিল স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র।
৩. মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে : মুক্তিযোদ্ধাদের এবং অবরুদ্ধ দেশবাসীকে উজ্জীবিত রাখা, ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের ব্যাপারে আশান্বিত করার লক্ষ্যেই স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র হতে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান প্রচার করা হতো।
এম.আর আখতার মুকুলের কণ্ঠে 'চরমপত্র' ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। এছাড়া রণাঙ্গনের সংবাদ, উজ্জীবিত গান, কবিতা, বিশ্বজনমত, জল্লাদের দরবার, অগ্নিশিখা, দর্পণ প্রভৃতি অনুষ্ঠান প্রচার করতো স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র।
মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনগণ বেতার কেন্দ্রের এসব অনুষ্ঠানের দ্বারা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হতো এবং প্রবল বিক্রমে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ত। ফলে বিজয় লাভ সহজ হয়েছে।
৪. বিশ্ব জনমত গঠনে : স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র নিয়মিত রণাঙ্গনের খবর, গণহত্যার খবর, পাকিস্তান বাহিনীর বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা, ধ্বংসযজ্ঞ প্রভৃতি প্রচার করতো।
যার ফলে বিশ্ববাসী মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পেরেছিল। এতে করে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয় এবং বিশ্ববাসী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে শুরু করে।
এর ফলে পাকিস্তান বাহিনী যে দখলদারিত্ব চালাচ্ছে সে বিষয়টি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি গোচর হয় এবং বিশ্ববাসী দখলদার বাহিনীর বিপক্ষে জনমত গড়ে তোলে।
৫. আশার সঞ্চারণকারী : মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র জনগণের মধ্যে আশা সঞ্চারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
যুদ্ধের ইতিবাচক খবরা খবর, গান, বিশেষ অনুষ্ঠান প্রভৃতির দ্বারা তাড়িত হয়ে জনগণ আশায় বুক বাঁধতো। বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত গানগুলো মানুষের মন শুধু জয় নয় মানুষকে উজ্জীবিত ও আশা সঞ্চারী করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প, শরণার্থী শিবিরে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র ছিল সহযোদ্ধা। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মানুষ লুকিয়ে লুকিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র শুনতেন এবং আশা সঞ্চার করতেন, যা বাংলাদেশের বিজয়ের ক্ষেত্রে ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
৬. ভাষণ প্রচার : প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখের ভাষণ প্রচার করা হতো স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম.জি. উসমানীর ভাষণও এ বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচার করা হতো। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণও মাঝে মাঝে প্রচার করা হতো।
এসব ভাষণ জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তেজদীপ্ততা সৃষ্টি করতো এবং যোদ্ধারা বীরবিক্রমে যুদ্ধে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। ফলে অতি অল্পসময়ে বাংলাদেশ হানাদার মুক্ত হতে পেরেছিল। এক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা অগ্রগণ্য ।
৭. বিপ্লবী চেতনা সৃষ্টি : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র হতে যেসব অনুষ্ঠান, গান, কবিতা, ভাষণ প্রচার করা হতো তা মুক্তিযোদ্ধা ও দুর্বল চিত্তের মানুষের টনকের মতো কাজ করতো।
টনকের স্পর্শে যেমন মানব দেহে সতেজতা ফিরে আসে তেমনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এসব অনুষ্ঠান মানব মনে সতেজতা সৃষ্টি করতো।
ফলে মানুষ বিপ্লবী চেতনার দ্বারা আবেগতাড়িত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতো। আর বিপ্লবী চেতনা যেখানে বাসা বাঁধে বিজয় সেখানে সুনিশ্চিতভাবেই দেখা দেয়।
আর ৭১ এর যুদ্ধের ক্ষেত্রেও একই অবস্থার সূত্রপাত হয়। যে কারণে স্বাধীন বাংলা বেতারকে ১২ নং সেক্টর হিসেবে অভিহিত করলেও সত্যের অপলাপ হয় না।
→ মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশীয় প্রচার মাধ্যমের সাথে সাথে বিদেশি প্রচার মাধ্যমও বিশ্ব জনমত গঠনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছিল। নিম্নে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা আলোচনা করা হলো :
১. স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার : ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর অর্থাৎ, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষিত হয়।
পরদিন বিবিসির প্রভাতি অধিবেশনে স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রচারিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ লন্ডন থেকে প্রকাশিত ‘দি টাইমস' এবং 'দি গার্ডিয়ান' নামক বিখ্যাত পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার কথা প্রকাশিত হয়।
এর ফলে সমগ্র বিশ্ববাসীও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কে অবহিত হয়। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।
২. গণহত্যার খবর প্রচার : মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বিদেশি সাংবাদিকদের আটক করে। ফলে ২৫ মার্চের পর থেকে বাংলাদেশের খবরাখবর তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছিল না।
তবে গণহত্যার কিছু কিছু খবর পাওয়া যায়। লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফের ২৭ বছর বয়সী সাইমন ড্রিংক গ্রেফতার এড়িয়ে ২৭ মার্চ সারা ঢাকা শহর ঘুরে ২০ রোল ছবি তোলেন এবং এর কিছু জার্মান দূতাবাসের মাধ্যমে লন্ডনে পাঠান।
এরপর লন্ডনে ফিরে ডেইলি টেলিগ্রাফে তিনি প্রথম ঢাকার গণহত্যার চিত্র তুলে ধরেন। ফলে সারা বিশ্বের' মানুষজন প্রথম গণহত্যার খবর জানতে পারে। মে মাসে পাকিস্তানি সাংবাদিক এ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস সারাদেশে কিভাবে গণহত্যা চালানো হচ্ছে তা তুলে ধরেন।
ম্যাসকারেনহাসের প্রতিবেদনের পর সারা বিশ্বে গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। আর এ কৃতিত্বের দাবিদার বিদেশি এসব প্রচার মাধ্যমসমূহ ।
৩. জনমত গঠন : বিদেশি পত্রিকার পাশাপাশি বিদেশি বেতার মাধ্যমগুলোও বিশ্বজনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
এর মধ্যে বিবিসি, আকাশবাণী ও অস্ট্রেলিয়া বেতার বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বিবিসির মার্ক টালির প্রতিবেদন ও আকাশবাণীতে দেবদুলাল বন্দোপাধ্যায়ের কণ্ঠে রাজনৈতিক ভাষ্য শোনার জন্য বাঙালি উন্মুখ হয়ে থাকত।
এছাড়া এসব প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত খবর, প্রতিবেদন প্রভৃতি বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠন করতে পেরেছিল। তাদের প্রচারে ক্ষুদ্ধ নাগরিক সমাজ বিভিন্ন দেশে নিজ নিজ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে।
৪. সমর্থন আদায় : বিদেশি প্রচার মাধ্যমগুলো নিয়মিত বাংলাদেশে পাক বাহিনীর হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ, লোমহর্ষক কাহিনি, বাঙালিদের দুদর্শার খবর প্রচার করত।
ফলে বিশ্বের জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনসমর্থন আদায় করতে সচেষ্ট হতো। এর ফলে দেশে দেশে বিভিন্ন সংস্থা গড়ে ওঠে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে দমনের জন্য।
এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সরকারের নীতির তীক্ষ্ম সমালোচনা শুরু করে এবং এর বিরুদ্ধে রাস্তায় আন্দোলন প্রতিবাদ শুরু করে।
এছাড়া আরও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন করার চিত্র লক্ষ করা যায়। আর এসব সম্ভব হয়েছিল বিদেশি প্রচার মাধ্যমের বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র এবং এর সাথে বিদেশি প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
এ প্রসঙ্গে শামসুর হুদা চৌধুরী তার ‘একাত্তরের রণাঙ্গন' গ্রন্থে লিখেছেন, “এই বেতারকেন্দ্র দীর্ঘ নয় মাস ধরে অমিত তেজোস্বিনী ভাষা আর দৃপ্তকণ্ঠে জঙ্গি অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে বাংলার আপামর জনগণও এর অতন্দ্রপ্রহরী মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা দিয়ে, শক্তি দিয়ে, সাহস দিয়ে দিশেহারা মুক্তিকামী বাঙালিকে বিজয়ের সিংহদ্বারে পৌছে দিয়েছে।”
অর্থাৎ দেশীয় প্রচার মাধ্যমগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণীত করতে এবং বিদেশি প্রচার মাধ্যমগুলো বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।