নারীবাদী তত্ত্বগুলো কী কী
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারীবাদী তত্ত্বগুলো কী কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারীবাদী তত্ত্বগুলো কী কী ।
নারীবাদী তত্ত্বগুলো কী কী |
নারীবাদী তত্ত্বগুলো কী কী
উত্তর : ভূমিকা : একবিংশ শতাব্দীর আলোচিত মতবাদগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নারীবাদ । নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলন করা হয় তাই হলো মূলত নারীবাদ। নারীবাদের আলোচনায় বিভিন্ন তত্ত্ব পরিলক্ষিত হয়।
নিঃ প্রশ্নালোকে নারীবাদের কয়েকটি তত্ত্ব আলোচনা করা হলো :
১. উদারপন্থী নারীবাদ : নারীবাদের প্রচলিত মতবাদগুলোর মধ্যে একটি হলো উদারপন্থী নারীবাদ। এই পন্থী নারীবাদীরা সমাজে বিদ্যমান নারীর প্রতি বৈষম্য রোধে সংস্কারে বিশ্বাস করে। তারা নারী পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য তৈরির জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার দাবি করে ।
২. উগ্রপন্থী নারীবাদ : এই পন্থী নারীবাদীরা কিছুটা উগ্রবাদী। তারা নমনীয়তার পরিবর্তে সন্ত্রাসীমূলক মনোভাব নিয়ে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নীতিতে বিশ্বাস করে। তারা নারীর অধস্তনতার জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমূলে উৎপাটিত করার পক্ষে মত দেয়।
৩. মার্কসীয় নারীবাদ : মার্কসীয় নারীবাদ সমাজে নারীর অধস্তনতার জন্য সমাজে বিদ্যমান শ্রেণি বৈষম্যকে দায়ী করে। তাই তারা নারী নির্যাতনের চেয়ে কলকারখানায় শ্রমিক নির্যাতনের বিষয়ে সোচ্চার থাকে। তারা বিশ্বাস করে নারী নির্যাতন হ্রাস করার আগে প্রয়োজন সামাজিক শ্রেণি বৈষম্য দূর করা ।
৪. সমাজতান্ত্রিক নারীবাদ : সমাজতান্ত্রিক নারীবাদীরা আবার মার্কসীয় নারীবাদীদের চেয়ে ভিন্ন। তারা সমাজে নারী বৈষম্যের জন্য মূলত ধনিকতন্ত্রকে দায়ী করে থাকে। তারা ধনিকতন্ত্রের পতনের পূর্বে সমাজে বিদ্যমান পিতৃতন্ত্র এর অবসান চান। তারা বিশ্বাস করেন পিতৃতন্ত্রের অবসান হলে ধনিকতন্ত্রেরও অবসান হয় এবং সমাজে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, বিশ্বব্যাপী নারী নির্যাতন, নিষ্পেষণ প্রতিরোধে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তা নারীবাদী আন্দোলন নামে পরিচিত। আর এই নারীবাদী আন্দোলনকারীরা আবার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রয়োগ করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যান ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারীবাদী তত্ত্বগুলো কী কী
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নারীবাদী তত্ত্বগুলো কী কী। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।