নারী শিক্ষার পরিধি সংক্ষেপে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারী শিক্ষার পরিধি সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারী শিক্ষার পরিধি সংক্ষেপে আলোচনা কর।

নারী শিক্ষার পরিধি সংক্ষেপে আলোচনা কর
নারী শিক্ষার পরিধি সংক্ষেপে আলোচনা কর

নারী শিক্ষার পরিধি সংক্ষেপে আলোচনা কর

উত্তর : ভূমিকা : একটি সমাজ ও দেশের জন্য পুরুষ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি একজন নারীও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফলে সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নারীরাও দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

তাই নারী শিক্ষার বিষয়াবলী আজ যথেষ্ট গুরুত্ব লাভ করছে। কারণ, সভ্যতার উন্নতির জন্য নারী পুরুষের সমতা বিধান অপরিহার্য।

→ নিচে নারী শিক্ষার পরিধি তুলে ধরা হলো :

১. নারী ও পরিবার : একটি পরিবারের প্রাণ বলা হয় একজন নারীকে। কারণ কর্মব্যস্ততার কারণে পুরুষরা তেমনভাবে পরিবারের কাজে সময় দিতে পারেন না। 

ফলে পরিবার পরিচালনা এর তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় বিষয়াবলী নারীর উপরই বর্তায় ও আর এই বিষয়াবলী নারীশাস্ত্র অধ্যয়নের মাধ্যমেই কেবল জানতে পারা যায় ।

২. নারী ও বৈশ্বিক বিষয়াবলী : পূর্বে পুরুষরা পরিবারের প্রধান আয়ের মাধ্যম ছিল বিধায় তারাই ছিল পরিবারের সর্বেসর্বা, তার ইচ্ছাই ছিল আইন । 

কিন্তু সভ্যতার পরিবর্তনের ফলে আজ সমাজ ব্যবস্থায়ও দারুণ পরিবর্তন ঘটেছে, ফলে জাতীয় ও বৈশ্বিক বিষয়ে নারীর যে গুরুত্ব বাড়ছে তা জানা যায় নারীশাস্ত্র অধ্যয়নে ।

৩. নারী অধ্যয়ন ও ইতিহাস : নারী সমাজ দুর্বল পরনির্ভর ইত্যাদি ধারণার পরিবর্তন ঘটাচ্ছে নারী শিক্ষার বিষয়বস্তু । কারণ সভ্যতার পর সভ্যতা ধরে কিভাবে পুরুষরা তাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখেছিল এবং 

কিভাবে নারী সমাজ ক্ৰমান্বয়ে সকল প্রতিকূলতার মোকাবেলা শেষে সাফল্য লাভ করেছে তা জানা যায় নারীশাস্ত্র অধ্যয়নের মাধ্যমে ।

৪. নারী নেতৃত্ব : নেতৃত্ব হলো মানুষের গুণ যা অন্যকে পথ দেখায়। এর মাধ্যমে মানুষ সঠিক পথে পরিচালিত হয় । আর নারী নেতৃত্ব হলো নারীর বিশেষ গুণ যা নারীকে সঠিক পথ দেখায়। 

নারীকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য সাহায্য করে । আর এই নারী নেতৃত্ব আলোচনা করা নারী ও রাজনীতির বিষয়বস্তু ।

৫. গবেষণা ও নারী : নারী অধ্যয়নে যে সকল বিষয়াবলী বিশ্বব্যাপী প্রচলিত ও সমাদৃত তার মধ্যে অংশগ্রহণ পদ্ধতি সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। 

এই পদ্ধতিতে সমাজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া ও ধারাবাহিকতা সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে । ফলে নারী জাতির সামগ্রিক উন্নতির বিষয়াবলী নারীশাস্ত্র অধ্যয়নের মাধ্যমে অবগত হওয়া যায় ।

উপসংহার' : পরিশেষে বলা যায়, নারী ও পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কেবল একটা দেশ তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য লাভ করতে পারে। 

আর নারীর সমস্যা প্রতিবন্ধকতা এবং তা সমাধানের পথ নির্দেশই হলো জেন্ডার স্টাডিজের মূল বিষয় যা অধ্যয়নে একজন নারী তার অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে জানতে পারে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারী শিক্ষার পরিধি সংক্ষেপে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নারী শিক্ষার পরিধি সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ