নারী শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের সম্পর্ক আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারী শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের সম্পর্ক আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারী শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা কর।
নারী শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের সম্পর্ক আলোচনা কর |
নারী শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের সম্পর্ক আলোচনা কর
- অথবা, নারী শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা কর।
- অথবা, নারী শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্ক উল্লেখ কর।
উত্তর : ভূমিকা : মানুষ জন্মগতভাবেই সামাজিক ও রাজনৈতিক জীব। আর সমাজের মানুষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে থাকে তাকে সমাজবিজ্ঞান বলা হয়। আর নারীরা যেহেতু সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাই সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় তারাও একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে রয়েছে।
নিক্ত প্রশ্নালোকে নারী শিক্ষার সাথে সমাজবিজ্ঞানের সম্পর্ক আলোচনা করা হলো :
→ নারী শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞান : মানবিক উন্নয়ন বিষয়ক বিজ্ঞান হলো সমাজবিজ্ঞান। সমাজবিজ্ঞান সমাজে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যার উল্লেখ করে তার সমাধানে পরামর্শ ও সমাধান দান করে। সমাজবিজ্ঞানের মূল আলোচ্য বিষয় হলো পারিপার্শ্বিক পরিবেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা।
সমাজবিজ্ঞান সামাজিক সম্পর্ক, সামাজিকীকরণ এবং সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস নিয়েও আলোচনা করে। তবে সমাজবিজ্ঞানের এই আলোচনা ও গবেষণা বেশিরভাগ সময় পক্ষপাতদুষ্ট হয়। কেননা, গবেষকদের অধিকাংশ পুরুষ সদস্য হওয়ায় তারা নারীদের স্বার্থের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ফলে অনেক সময় নারী স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়। অন্যদিকে নারী শিক্ষা পরিবারে, সামাজিক অবস্থায়, নারী পুরুষের মধ্যকার সমতার বৈষম্য। আর্থিক শ্রম বৈষম্য, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে থাকে।
তাছাড়া জেন্ডার স্টাডিজের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নারীরা অবস্থায় তুলে ধরে নারীদের মধ্যে সচেতনতা ও আত্মমর্যাদাবোধের সৃষ্টি করে । ফলে নারীর ক্ষমতায়নে জেন্ডার স্টাডিজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজবিজ্ঞান সমাজ ও সমাজ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে এর সমাধান নির্দেশ করে। আর জেন্ডার স্টাডিজ নারীর অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করে সমাজে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে নারীর সম্মান ও মর্যাদাবোধ তৈরিতে সাহায্য করে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারী শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নারী শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্ক উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।