নারী শিক্ষা ও বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানের সম্পর্ক লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারী শিক্ষা ও বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানের সম্পর্ক লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারী শিক্ষা ও বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানের সম্পর্ক লিখ।
নারী শিক্ষা ও বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানের সম্পর্ক লিখ |
নারী শিক্ষা ও বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানের সম্পর্ক লিখ
উত্তর : ভূমিকা : সমাজের বিরাট একটা অংশ নারী। সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি কোন ক্ষেত্র থেকেই নারীর অংশীদারিত্ব অস্বীকার করা যায় না। নারী শিক্ষা মূলত সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীকে যোগ্য করে গড়ে তোলার শিক্ষা। তাই উইমেন্স স্টাডিজে সাথে বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানের সম্পর্ক আছে।
উইমেন্স স্টাডিজের সাথে বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানের সম্পর্ক : সামাজিক বিজ্ঞান একটি নারী শিক্ষার সার্বিক বিষয় এবং নারীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গতিশীল ও যোগ্য করে গড়ে তোলার কর্মসূচি। নিম্নে সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সাথে নারী শিক্ষার সম্পর্ক আলোচনা করা হলো :
১. ইতিহাস ও নারী শিক্ষা : ইতিহাস মানুষকে অতীতের খবর দেয়। অতীতে সমাজে নারীর অবস্থান, নারীর অতীত ইতিহাস ও ইতিহাসে নারীর ভূমিকা ইত্যাদি বিষয় নারী শিক্ষার আলোচ্য বিষয় ।
২. রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও নারী শিক্ষা : রাষ্ট্রপরিচালনায় নারীর অংশীদারিত্ব, নারীর নেতৃত্ব, দায়িত্ব ও কর্তব্য নারী শিক্ষার অন্যতম আলোচ্য বিষয় যা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত। রাষ্ট্রের উপাদান জনগণ। আর জনগণ বলতে শুধু পুরুষকে বুঝায় না, নারীকেও বুঝায়।
নারী ও পুরুষের মাঝে কোন পার্থক্য থাকা উচিত না। নারী তার যোগ্যতা অনুসারে সমাজের প্রত্যেকটা কাজে অংশগ্রহণ করবে। নারী তার যোগ্যতা দিয়ে সমাজের উন্নয়ন করবে। কোটা দিয়ে পদ দখল করে সমাজের বোঝায় পরিণত হবে না।
৩. অর্থনীতি ও নারী শিক্ষা : অর্থনীতিতে জেন্ডার বৈষম্য ব্যাপক ও বিস্তৃত, পুরুষ শ্রম দিয়ে যা উপর্জন করতে পারে নারী ত পারে না। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী বৈষম্য নিয়ে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন আছে যা নারী শিক্ষার আলোচ্য বিষয়।
নারী হচ্ছে একটা সমাজের অর্ধেক। আর অর্ধেক জনসমষ্টিকে বাদ দিয়ে সমাজের উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। সমাজের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে নারীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ আবশ্যক। আর অর্থনীতিতে নারীর উন্নয়ন মূলত অর্থনীতিরই উন্নয়ন ।
৪. সমাজবিজ্ঞান' ও নারী শিক্ষা : নারীর সামাজিক সম্পর্ক, সামাজিকীকরণে নারীর ভূমিকা ও অবদান, নারীর প্রতি সামাজিক বৈষম্য ইত্যাদি সমাজবিজ্ঞানের বিষয়গুলো নারী শিক্ষার আলোচ্য বিষয় হিসেবে পঠিত হয়ে থাকে।
আধুনিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র কোন জেন্ডার বৈষম্য থাকতে পারে না, যা সামাজিক বিজ্ঞান ও নারী শিক্ষা উভয়েরই আলোচ্য বিষয়। সমাজের বিভিন্ন সম্পর্কো ক্ষেত্রে নারীকে যোগ্য করে ভোলা মূলত সামাজিক উন্নয়নেরই একটি অংশ।
৫. নৃবিজ্ঞান ও নারী শিক্ষা : নৃবিজ্ঞানের প্রধান আলোচ্য বিষয় মানববিদ্যা। মানব প্রকৃতি, মানবসমাজের গতিবিধি, মানবগোষ্ঠীর উদ্ভব, সমাজ গঠন, সভ্যতার বিকাশ সবকিছুই নৃবিজ্ঞানের গবেষণার বিষয়বস্তু।
অতীতে সমাজ বিকাশের প্রাথমিক অবস্থা থেকে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করেছে। নারী পুরুষকে বিপদে সাহায্য করেছে। নারী পুরুষকে যেকোন সমস্যায় দেয় সহানুভূতির আশ্বাস । ফলে আদিকাল হতে সমাজ বিকাশে নারীর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য নারীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। নারীদের স্বাবলম্বী করা ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সমাজের বিভিন্ন শাখায় নারীর অংশগ্রহণের জন্য চাই নারীকে যোগ করে গড়ে তোলা।
আর এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়নের জন্যই নারী শিক্ষার প্রবর্তন, যার মাধ্যমে নারীকে গড়ে তোলা যায়। তাই নারী শিক্ষার সাথে বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারী শিক্ষা ও বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানের সম্পর্ক লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নারী শিক্ষা ও বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানের সম্পর্ক লিখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।