নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর ।
নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর |
নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : নারী ও রাজনীতি সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। নারী ও রাজনীতি হলো জ্ঞানের সেই শাখা যেখানে না ও পুরুষকে নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সমাজে নারীর অবস্থান, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান, রাষ্ট্রের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাদের সুযোগ-সুবিধা, মৌলিক অধিকার, বৈষম্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের গুরুত্ব : সমাজে নারীর অবস্থান, নারী-পুরুষ বৈষম্য, সমাজে তাদের ভূমিকা নিয়ে নারী ও রাজনীতি আলোচনা করে। মূলত নারীদের কল্যাণের জন্য এই শাখাটি পাঠ করা প্রয়োজন। নিম্নে নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো।
১. নতুন দৃষ্টিভঙ্গির নির্মাণ : আমাদের সমাজের মধ্যে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব বিরাজ করে। সমাজে এই মনোভাবের কারণে নারীদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না। নারীর প্রতি নীতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা হয়। সমাজের সব ক্ষেত্রে নেতৃত্ব পুরুষের হাতে। তাই এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন জরুরি।
২. নারীর ক্ষমতায়ন : নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নারী ও রাজনীতি পাঠ করা প্রয়োজন। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলা হচ্ছে। নারীকে নেতৃত্ব নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের দিক-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আর এগুলো কার্যকর করতে নারী ও রাজনীতি পাঠ করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
৩. অর্থনীতিতে নারীর অবদান : অর্থনীতিতে নারীর অবদান কতটুকু তা জানার জন্য নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন করা জরুরি। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে নারীর অবদান উল্লেখযোগ্য।
বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে তাদের অংশগ্রহণ এই শিল্প বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পরিচয় করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া কৃষি, মৎস্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীর যে অবদান তা জানার জন্য নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন জরুরী।
৪. নারী ও রাষ্ট্রগঠন : রাষ্ট্র গঠনের জন্য পুরুষ যথেষ্ট নয়। নারী-পুরুষ মিলে রাষ্ট্র গঠন করা হয়। রাষ্ট্রের সাথে নারীর সম্পর্ক কী, রাষ্ট্রের উপর নারীর ভূমিকা কেমন হবে, রাষ্ট্রের প্রতি নারীরা কোন কোন দায়িত্ব পালন করবে।
তাদের নারী ইস্যুগুলো রাষ্ট্রে কতটুকু প্রোধান্য পাবে, নারীকে কীভাবে রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অংশগ্রহণ করানো যায় ইত্যাদির জন্য নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন জরুরী।
৫. সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠা : আমাদের সমাজে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমাজে অবস্থান করে ঠিকই কিন্তু তাদের মধ্যে সমতা নেই। তাদের সহাবস্থানের মাধ্যমে সমাজে কীভাবে সমতা আনা যায়, সমাজের মধ্যে নারী ও পুরুষের পৃথকভাবে কী ভূমিকা হবে তা নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নে জানা যায়।
৬. লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা : আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। যার কারণে সমাজের সব নেতৃত্ব পুরুষের হাতে। নারীর পুরুষের অধীনে বাস করে।
সব ক্ষেত্রে সমাজে নারী-পুরুষের বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। আর এই বৈষম্য দূর করে কীভাবে লিঙ্গ সমতা ফিরিয়ে আনা যায় তা জানার জন্য নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন জরুরী।
উপসংহর : পরিশেষে বলা যায় যে, একটি উন্নত ও সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে এবং নারীর প্রতি নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তন করার জন্য নারী ও রাজনীতি অধ্যয়ন অভ্যন্ত আবশ্যক। কেননা, এর মাধ্যমে নারীর সব কিছু আলোচিত হয়। তার মাধ্যমে নারী তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নারী ও রাজনীতি অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।