নারী মুক্তির ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারী মুক্তির ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারী মুক্তির ক্ষেত্রে নারী শিক্ষা অত্যাবশ্যক” ব্যাখ্যা কর।
নারী মুক্তির ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর |
নারী মুক্তির ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর
- অথবা, “নারী মুক্তির ক্ষেত্রে নারী শিক্ষা অত্যাবশ্যক” ব্যাখ্যা কর।
- অথবা, “নারী মুক্তির জন্য নারী শিক্ষার বিকল্প নেই” আলোচনা কর ।
উত্তর : ভূমিকা : একটি দেশের উন্নয়নের জন্য নারী ও পুরুষের সমান সহযোগিতা দরকার । নারীকে গৃহবন্দী করে শুধু পুরুষরাই দেশকে উন্নতির শিখরে তুলতে পারবে না।
নারীদের গৃহবন্দী থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সর্বপ্রথম নারীদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। কেননা শিক্ষিত নারীরাই পারে নারী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে
→ নারীমুক্তিতে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : একজন শিক্ষিত নারী একটি দেশের সম্পদ । কেননা একজন শিক্ষিত নারী দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। আবার পুরুষশাসিত সমাজ থেকে নারীদের মুক্তির জন্য নারীদের শিক্ষিত করে তোলার বিকল্প নেই।
কারণ একজন শিক্ষিত নারী কখনো পুরুষের শোষণ মেনে নিবে না। কাজেই নারী শিক্ষাই পারে নারীদের মুক্তি দিতে। নিচে নারীমুক্তির জন্য নারী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হলো :
(ক) পরিবারে নারী শিক্ষার গুরুত্ব : যে পরিবারে শিক্ষিত মা থাকে সেই পরিবারের সন্তানদেরকে শিক্ষিত করে তোলা অনেক সহজ হয় । কেননা শিক্ষিত মা তার সন্তানের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারে।
বর্তমানে আমাদের দেশে সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা মাতাগণই করে থাকে । সেজন্যই নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন“আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও আমি একটি শিক্ষিত জাতি দিব।”
(খ) জ্ঞানার্জনে নারী শিক্ষার গুরুত্ব : যে ব্যক্তি যত বেশি শিক্ষিত, সে তত বেশি জ্ঞানী। পূর্বে শুধুমাত্র পুরুষগণই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারতো। নারীরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল।
যার ফলে নারীদেরকে পুরুষের শোষণ মেনে নিতে হতো। সমাজে নারী ও পুরুষের শিক্ষার ক্ষেত্রে যে বৈষম্য তা দূর করার জন্য নারীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক ।
(গ) দেশের উন্নয়নে নারী শিক্ষার গুরুত্ব : একটি দেশের উন্নয়নের জন্য নারী ও পুরুষের সমান ভূমিকা দরকার । কেননা একটি দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা থাকে নারী।
ফলে সেই অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে গৃহে আবদ্ধ রেখে দেশের উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়। কাজেই একটি দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে আগে নারী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
(ঘ) নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারী শিক্ষার গুরুত্ব : বর্তমান আধুনিক সমাজে নারীরা তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এর পিছনে অন্যতম কারণ হলো নারী শিক্ষার অভাব। কাজেই নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সর্বপ্রথম নারী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, নারীদের বঞ্চিত হওয়ার পিছনে মূল কারণ হলো নারীশিক্ষার অভাব। কাজেই পুরুষ শাসিত সমাজ থেকে নারীদের মুক্তির জন্য সর্বপ্রথম নারীদের শিক্ষিত করতে পারবে। কেননা শুধুমাত্র শিক্ষিত নারীরাই পারবে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারী মুক্তির ক্ষেত্রে নারী শিক্ষা অত্যাবশ্যক” ব্যাখ্যা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম “নারী মুক্তির জন্য নারী শিক্ষার বিকল্প নেই” আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।