কীভাবে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা যায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কীভাবে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা যায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কীভাবে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা যায়।
কীভাবে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা যায় |
কীভাবে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা যায়
উত্তর : ভূমিকা : একটি সমাজের দুটি অংশ হল নারী ও পুরুষ, নারী-পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই একটি জাতি সাফল্যের শীর্ষে আরোহণ করতে পারে।
তাই নারী-পুরুষের কোন একটিকে বাদ দিয়ে দেশ বা সমাজের সাফল্য আশা করা যায় না। সমাজের সর্বক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমতা বিধানই হল জেন্ডার সমতা। নিম্নে জেন্ডার সমতা বাস্তবায়নের কিছু পদ্ধতি তুলে ধরা হল-
১. পরিবারিকভাবে : জেন্ডার সমতা আনয়নের ১ম স্তর হল পারিবারিক জীবন। কারণ পরিবারের মাতা-পিতা যদি তাদের ছেলে- মেয়েদের মধ্যে কোন বৈষম্য না করে তবে সেখানে জেন্ডার সমতা বাস্তবায়িত হবে। আর পরিবারে লিঙ্গ সমতা বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্রেও তার প্রভাব পড়ে ।
২. সামাজিকভাবে : মানুষ জন্মগতভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীব। কোন মানুষের পক্ষেই সমাজ ছাড়া বাস করা সম্ভব না । তাই নারী-পুরুষের সমতা বিধানে সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সমাজের যারা নেতৃস্থানীয় তারা যদি সামাজিকভাবে লিঙ্গ সমতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য না করেন তবে এ সমাজে জেন্ডার সমতা কার্যকরী হয়।
৩. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য : বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর লিঙ্গ বৈষম্যের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত। কারণ দরিদ্র পরিবারগুলো পরিবারের ছেলে সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যতটা উদ্বিগ্ন ঠিক মেয়ে শিশুর শিক্ষা-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ততটাই উদাসীন, তাই জেন্ডার সমতা আনয়নে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বৈষম্য দূর করতে হবে।
৪. অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস : কৃষি, গার্মেন্টস শিল্প, কলকারখানাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারী ও পুরুষ শ্রমিকের বেতনের মধ্যে যথেষ্ট বৈষম্য লক্ষ্য করা যায় । তাই জেন্ডার ক্ষমতা আনয়নের জন্য এই শ্রম বৈষম্য দূর করতে হবে।
৫. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ : জেন্ডার সমতা আনয়নে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে রাষ্ট্র। কারণ রাষ্ট্রের রয়েছে এক্সিকিউটিভ পাওয়ার । রাষ্ট্র তার এই শক্তি দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নারী-পুরুষের যে বৈষম্য বিদ্যমান আছে তা প্রতিরোধ ও প্রতিহতে রাষ্ট্র কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে ।
৬. পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ : পারিবারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ না থাকে তবে ঐ পরিবারে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। তাই জেন্ডার সমতা আনয়নের জন্য স্ত্রী যেমন তার স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত ও অনুগত থাকবেন। তেমনি স্বামীও স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বশীল ও উদার হবেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, আমাদের পরিবার ও সমাজ জীবনের দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হল নারী ও পুরুষ। এর কোন একটিকে বাদ দিয়ে একটি পরিবার ও সমাজ চিন্তা করা যায় না। আর সমাজ ও রাষ্ট্রের সাফল্যের জন্য সকল প্রকার লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে জেন্ডার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কীভাবে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা যায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কীভাবে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা যায়। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।