ডুরখেইমের যান্ত্রিক সংহতি ও জৈবিক সংহতির মধ্যে পার্থক্য
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ডুরখেইমের যান্ত্রিক সংহতি ও জৈবিক সংহতির মধ্যে পার্থক্য জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ডুরখেইমের যান্ত্রিক সংহতি ও জৈবিক সংহতির মধ্যে পার্থক্য ।
ডুরখেইমের যান্ত্রিক সংহতি ও জৈবিক সংহতির মধ্যে পার্থক্য |
ডুরখেইমের যান্ত্রিক সংহতি ও জৈবিক সংহতির মধ্যে পার্থক্য
- যান্ত্রিক সংহতি সংহতির মধ্যে পার্থক্য কর।
- ডুরখেইমের যান্ত্রিক সংহতি ও জৈবিক সংহতির মধ্যে তুলনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুরখেইম (Emile Durkheim ) বিপ্লবোত্তর ফ্রান্সের সমাজবিজ্ঞানী। ইউরোপের ইতিহাসের ক্রান্তিলগ্নে ১৮৫৮ সালে ফ্রান্সের লোরিন প্রদেশে এক ধর্মযাজক পরিবারে ডুরখেইম জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯১৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
ফরাসি বিপ্লবের পরে সে সমাজে সঙ্কট, নৈরাজ্য অন্যান্য সব মিলিয়ে ফরাসি বিপ্লবোত্তের সমাজ ছিল সুস্থ মানুষের বসবাসের অনুপযোগী। তাই সমাজকে ধ্বংস ও নৈরাজ্যের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি এগিয়ে আসেন এবং সমাজ বিশ্লেষণের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন।
ডুরখেইম ব্যক্তিসত্তা, সামাজিক সংহতি, সামাজিক প্রতিরূপ ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে শ্রম বিভাজন, আত্মহত্যার মতো সামাজিক সমস্যা, ঘটনাবলি বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে, সমাজবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্তের সূত্রপাত ঘটান।
জৈবিক সংহতি : ডুরখেইম জৈবিক সংহতি বলতে ব্যক্তির কর্মের বিভিন্নতার সংহতিকে বুঝিয়েছেন। আধুনিক শিল্প সমাজে ব্যক্তিবর্গের সাদৃশ্য দেখা যায় না, বরং ব্যক্তির সত্তাসমূহের পৃথক অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়।
ব্যক্তিবর্গের বৈসাদৃশ্য ও বিভিন্নতা আধুনিক শিল্প সমাজের বৈশিষ্ট্য। এ বিভিন্নতার মধ্যেই এ সমাজে এ ধরনের সংহতি বিদ্যমান থাকে। একে বলা হয় জৈবিক সংহতি।
আদিম সরল সমাজ জটিল সমাজে রূপান্তরের সাথে সাথে যান্ত্রিক সংহতির বিলোপ ঘটে এবং জৈবিক সংহতির রূপ দেখা যায়। আধুনিক শিল্প সমাজে জটিল শ্রম বিভক্তি পরিলক্ষিত হয় এবং এ শ্রম বিভক্তি সমাজের প্রয়োজনে দেখা দিয়েছে।
ডুরখেইম জৈবিক সংহতিকে মানবদেহের সাথে তুলনা করেছেন। দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমষ্টি যেমন মানুষের সচল রাখে তেমনি আধুনিক সমাজকেও সজীব ও চালিত রাখে এ জৈবিক সংহতি।
অর্থাৎ জৈবিক সংহতি হলো ভক্তিবর্গের কর্মের বিভিন্ন তার সংহতি। ডুরখেইমের মতে যান্ত্রিক থেকে জৈবিক সংহতিতে উত্তরণের কারণগুলো হলো :
(ক) জনসংখ্যা বৃদ্ধি,
(খ) নগরসমূহের প্রসার ও
(গ) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, Emile Durkheim - এর শ্রম বিভাগ সম্পর্কিত তত্ত্ব আধুনিক সমাজবিজ্ঞানে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। তার এ তত্ত্বের গুরুত্বকে একাধারে স্বীকার করা যায় না।
এ তত্ত্ব সমাজবিজ্ঞানকে নতুন পথ দেখিয়েছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ হলো ওয়াচের ডেন্টিন হেরিসন, ফ্রান্সি, করন, কোড, জজ ভুখজিলের অ্যাড রচনাবলিতে ডুরখেইমের প্রভাব সুস্পষ্ট।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ডুরখেইমের যান্ত্রিক সংহতি ও জৈবিক সংহতির মধ্যে পার্থক্য
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ডুরখেইমের যান্ত্রিক সংহতি ও জৈবিক সংহতির মধ্যে পার্থক্য । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।