এইচ আই ভি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো এইচ আই ভি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের এইচ আই ভি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর ।
এইচ আই ভি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর |
এইচ আই ভি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর
- এইচ আইভি ভাইরাসের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
- এইচ আইভি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর ভূমিকা : এইচ আইভি ভাইরাস একটি মারাত্মক সংক্রমিত ভাইরাস বিভিন্ন রকম অসুখ তৈরি করে এ ভাইরাস HIV ভাইরাস AIDS এর অন্যতম বাহক।
কিন্তু এ HIV ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। যে ঔষধের মাধ্যমে HIV ভাইরাস সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় এমন ঔষধ আজও আবিষ্কার হয়নি। নিম্নে এইচ আইভি ভাইরাসের চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
১. তাৎক্ষণিক দুর্ঘটনা এবং তার চিকিৎসা : যদি কেউ তাৎক্ষণিকভাবে যেমন- চিকিৎসক, নার্স, অথবা অজানা ব্যক্তির সাথে যৌন মিলিত হলো এবং পরে জানতে পারল যে HIV দ্বারা আক্রান্ত অথবা যদি সর্তকতার সাথে হঠাৎ কনডম ফেটে গেল অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত শরীরে লাগল।
তখন ৭২ ঘণ্টার আগে হলে তাকে Post Exposure prophylexis বা PEP চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে PEP এ কোনোভাবেই কোনো ঔষধ বাদ দেওয়া যাবে না ।
২. Anti-Retrovival Theraphy : HIV এর নিরাময়ে আজও কোনো ঔষধ আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু এটা নিরাময়ের জন্য কিছু ঔষধ বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
(ART) Anti- Retrovival Theraphy ঔ ধরনের ঔষধ যা দেহের অভ্যন্তরে HIV এর ভাইরাসকে দ্রুত বেড়ে ওঠা থেকে ঠেকিয়ে রাখা। ঔষধ আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত এ ঔষধ ব্যবহার করে জীবাণুকে বৃদ্ধি থেকে ঠেকিয়ে রাখা হতো ।
৩. অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ভ্যাকসিন : ভ্যাকসিন নিজে কোনো জীবাণু ধ্বংস করে না। তবুও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক উজ্জীবিত করে। এ ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, হেপাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টিটেনাস ভ্যাকসিন নেয়া যায় ।
৪. ভাইরাসবিরোধী পথ্য : সাধারণ উচ্চমাত্রায় HIV আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার Anti- Retrovival Theraphy অথবা HAAPA প্রয়োগ করা হয়।
১৯৯৬ সাল থেকে এইডস রোগীদের চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে আসছে এবং অধিক সুফল পাওয়া গেছে।
৫. প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা ব্যবস্থা : যেসব লোক এখনও HIV ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। (WHO) তাদেরকে হেপাটাইটিস-A, হেপাটাইটিস - B, হেপাটাইটিস C, এর প্রতিশোধক টিকা নিতে বলেছে।
এবং যাদের শারীরিকভাবে রোগ প্রতিরোধ কম তাদেরকে Pneumocystis Cirovecis Pnevumonia (PCP) তথ্য গ্রহণ করতে বলা হয় । এতো HIV ভাইরাস আক্রমণের সম্ভাবনা কিছুটা হ্রাস পায় ।
৬. এইচ আইভি রোগ প্রতিরোধ ঔষধসমূহ : অ্যান্টিবায়োটিক জীবন রক্ষাকারী হলেও সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিম্নলিখিত অ্যান্টিবায়োটিক গুলো HIV পজিটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে উপকারী
১. এজিথ্রোমাইসিন
২. সিক্রোফ্রোক্রাসিন
৩ ফ্লুকোনাজল,
৪. ট্রাইমিথ্রোপ্রিম- সালফামিথ্রোক্রাজল ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, HIV একটি মারাত্মক ব্যাধি এ রোগের ঔষধ আজও আষিষ্কৃত হয়নি তবুও কিছু কিছু বিষয় এরিয়ে চললে এটা থেকে আশাা রক্ষা পেতে পারি। আক্রান্ত হবার আগেই সতর্ক থাকতে হবে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ এইচ আই ভি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম এইচ আই ভি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।