গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়ের কার্যাবলী সংক্ষেপে লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়ের কার্যাবলী সংক্ষেপে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়ের কার্যাবলী সংক্ষেপে লিখ ।
গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়ের কার্যাবলী সংক্ষেপে লিখ |
গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়ের কার্যাবলী সংক্ষেপে লিখ
উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের ইতিহাসে অনেক সম্পদায়ের উদ্ভব ঘটেছিল তার মধ্যে অন্যতম গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়। এটি পারস্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছে।
মূলত গুপ্তঘাতক সম্প্রদায় ছিল চরমপন্থি এবং উগ্রপন্থি। নির্দিষ্ট স্থানে তারা বসবাস না করে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালাতো নিজামুলমূলকের অন্তরঙ্গ বন্ধু হাসান বিন সাবাহ এ সম্প্রদায়ের সৃষ্টিকারী।
→ গুপ্তঘাতকদের কার্যাবলি : নিম্নে গুপ্তঘাতকদের কার্যাবলি তুলে ধরা হলো :
১. শিয়া মতবাদ প্রচার : গুপ্তঘাতকদের প্রধান কার্যাবলি ছিল শিয়া মতবাদের ব্যাপক প্রচার চালানো। কেননা হাসান বিন সাবাহ এক শিয়া মতবাদী ছিল।
২. সাম্রাজ্যে ব্যাপক ত্রাসের সৃষ্টি : হাসান বিন সাবাহ গুপ্তঘাকে সম্প্রদায়ের মধ্যদিয়ে নিজামুলমূলকের সাম্রাজ্যে ব্যাপক ত্রাসের সৃষ্টি করেন। যা আব্বাসীয় খিলাফতকাল সেলজুকদের কারণে একটি বিরাট অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ।
৩. আলমুত পর্বতে নয়নাভিয়াম দুর্গ স্থাপন : ইবনে সাবাহ তার গুপ্তঘাতক বাহিনী বা ফিদায়ীগণকে অনুগত রাখার জন্য ১০৯০ খ্রিস্টাব্দে সমুদ্রের উপরিভাগে ১০,২০০ ফুট উচ্চ আলমুত পর্বত শিখরে একটি দুর্গনির্মাণ করেন এবং এটিকে স্বর্গতুল্য সাজ সাজ্জা প্রদান করেন।
৪. ফিদায়ীদের প্রশিক্ষণ : পার্বত্য যুবকদের দলের জন্য সংগ্রহ করে তাদের কষ্টসহিষ্ণু করে গড়ে তোলা হতো। সকল প্রকার প্রশিক্ষণ যেমন অস্ত্র চালনা।
ছদ্মবেশ ধারণ, সকল শ্রেণির লোকদের সাথে উঠা-বসার যোগ্যতা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাষায় বাকপটুতা, ইহুদি, খ্রিস্টান, সুন্নি মুসলমান ও ধর্মযাজকদের আচার-অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
ফলে তারা সিদ্ধ পুরুষের বেশে মসজিদে প্রবেশ করে মুসলিম যুবরাজদের হত্যা করতো। আবার যাজকবেশে গির্জায় প্রবেশ করে খ্রিস্টানদের হত্যা করতো।
৫. রাজ্যবিস্তার : আলমুত দুর্গ অধিকার করার পর গুপ্তঘাতকরা দৃঢ়তার সাথে তাদের সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রচেষ্টা চালান। তারা কিরমান, তাবারিস্তান, কার্যধীন, দামগান প্রভৃতি অঞ্চলে তারা আধিপত্য বিস্তার করেন।
৬. হত্যাকাণ্ড পরিচালনা : গুপ্তহত্যার মাধ্যমে আরবীয় খিলাফত ধ্বংস করাই ছিল গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়ের প্রধান কার্যকলাপ। তবে প্রতিহিংসা বশবর্তী হয়ে তারা বিরোধিদের হত্যা করতে দ্বিধা করতো না।
গুপ্তঘাতকরা সে যুগের বিখ্যাত মুসলিম মন্ত্রী নিজামুলমূলক, আব্বাসীয় খলিফা মুসতারশিদ নিশাদুবের কায়ী প্রমুখকে হত্যা করেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সেলজুক শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত গুপ্তঘাতক সম্প্রদায় দুই শত বছর যাবৎ মুসলিম বিশ্বে ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে একটি কালো অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে।
এই গুপ্তঘাতকদের ত্রাসে তৎকালীন আব্বাসীয়রা ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন। এমনকি তাদের জন্য বাগদাদ নগরী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে হয়েছিল ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়ের কার্যাবলী সংক্ষেপে লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়ের কার্যাবলী সংক্ষেপে লিখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।