ফাতেমীয় বংশের বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ফাতেমীয় কারা | ফাতেমীয় বংশের বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ফাতেমীয় কারা | ফাতেমীয় বংশের বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ কর ।
ফাতেমীয় কারা | ফাতেমীয় বংশের বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ কর |
ফাতেমীয় কারা | ফাতেমীয় বংশের বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ কর
উত্তর : ভূমিকা : উত্তর আফ্রিকার জিয়াদাতুল্লাহকে পতন করে আঘলাবী বংশেরধ্বংস স্তূপের উপর ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী যে রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন তা ফাতেমীয় রাজবংশ নামে ইতিহাসে পরিচিতি লাভ করে।
তিনি হজরত আলী (রা.)-এর বংশধর হিসেবে দাবি করেন এবং তাদের বংশধর হিসেবে যে রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে তাই ফাতেমীয় রাজবংশ ।
→ ফাতেমীয় বংশের তালিকা : আব্বাসীয় খলিফার ঘোষণা অনুযায়ী যার সাঈদ বা মাহদীকে দায়সানের বংশধর মনে করেন এবং দায়সানের বংশধর কোনোক্রমেই ফাতেমীয় বংশধর নয় বলে মন্তব্য করেন, যারা দায়সানের বংশধর মনে করতেন তাদের পেশকৃত ১১টি তালিকা P.H. Mamour তাঁর গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন এর মধ্যে তিনটি তালিকা প্রদান করা হলো :
১. দায়সান → মায়মুন কাদ্দাহ আব্দুল্লাহ ফিদা → আহমদ → হুসাইন মুহাম্মদ আল খৈয়াম→ সাঈদ (ওবায়দুল্লাহ)
২. সাঈদ খাদযান → দায়সান → আবু শকির মায়মুন → আহমদ → হুসাইন মুহাম্মদ আল খৈয়াম → ওবায়দুল্লাহ
৩. মায়মুন বাদ্দাহ → আব্দুল্লাহ → আহমদ → হুসাইন → ওবায়দুল্লাহ।তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, দায়শানের নাম ৪ জায়গায়, সাঈদ খাদযানের নাম ৩ জায়গায় এবং মায়মুন কাদ্দাহর নাম ১১ জায়গায় লক্ষণীয়।
কিন্তু এতে আহম্মদ, আব্দুল্লাহ, মুহাম্মদ হুসাইন ও সাঈদ বা ওবায়দুল্লাহর নাম সব জায়গায় যার জন্য দায়সান, সাঈদ, ওমারমুন, কাদ্দাহ থেকে ফাতেমীয়দের উৎপত্তির সম্ভাবনা হ্রাস পায়। P. H. Mamour এর নিকট থেকে জানা যায় যে,
ঘোষণাপত্র যে দায়সানের নাম উল্লেখ আছে তা সিরিয়া সাহিত্যের বার দায়সান ছাড়া অন্য কেউ নয়। আলী বংশের সাথে যাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সর্বজনস্বীকৃত তালিকা : P. H. Mamour গবেষণা ও বিশ্লেষণ চালিয়ে ১৬টি তালিকা পেশ করেন তার মধ্যে এটি হচ্ছে গ্রহণযোগ্য তালিকা ।
জাফর সাদিক → ইসমাঈল মুহাম্মদ আল মাকতুম → আব্দুল্লাহ → আহম্মেদ ওয়াফি → হুসাইন তাকী → ওবায়দুল্লাহ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ফাতেমীয় রাজবংশ হচ্ছে আলী (রা.) ও ফাতেমা (রা.)-এর বংশধর। এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর আলী (রা.) ও ফাতেমা (রা.)- এর বংশধর কিনা এই নিয়ে মতভেদ থাকলেও উপরে উল্লিখিত তথ্য থেকে আমরা বলতে পারি যে, তিনি ফাতেমীয় বংশধর ছিলেন। তাই তার প্রতিষ্ঠিত রাজবংশই ফাতেমীয় রাজবংশ নামে ইতিহাসে পরিচিত।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফাতেমীয় কারা | ফাতেমীয় বংশের বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফাতেমীয় কারা | ফাতেমীয় বংশের বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।