ইখশিদীয় রাজবংশের পরিচয় দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ইখশিদীয় রাজবংশের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ইখশিদীয় রাজবংশ সম্পর্কে যা জান লেখ।
ইখশিদীয় রাজবংশের পরিচয় দাও |
ইখশিদীয় রাজবংশের পরিচয় দাও
- অথবা, ইখশিদীয় রাজবংশ সম্পর্কে যা জান লেখ।
- অথবা, ইখশিদীয় বংশ সম্বন্ধে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও।
উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় শাসনামলে দশম শতাব্দীতে পশ্চিমাঞ্চলে যে কয়েকটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয় তন্মধ্যে অন্যতম হলো ইখশিদীয় রাজবংশ। মিশর ও সিরিয়ায় এ বংশের শাসন তিন দশক স্থায়িত্ব লাভ করেছিল।
ইখশিদীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইবনে তুগজ ইখশিদীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। । উনি ৯৩৯ সালে মিশর ও সিরিয়ায় ইখশিদীয় বংশ প্রতিষ্ঠা করেন ।
নামকরণ : ইখশিদীয় বংশের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইবনে ভূগজ আব্বাসীয় দুর্বল খলিফাদের সময় মিশরের বিশৃঙ্খল অবস্থার পরিস্থিতি সামাল দেন।
এ কারণে আব্বাসীয় খলিফা আল রাজী ৯৩৯ সালে তাকে ইরানের পুরনো রাজ উপাধি ইখশিদীতে ভূষিত করেন। মুহাম্মদ ইবনে তৃগজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বংশ ইখশিদীয় রাজবংশ নামে পরিচিত।
ইখশিদীয়দের রাজ্য অভিযান : ইখশিনীয় শাসকগণ বিভিন্ন রাজ্য অভিযান করে জয়লাভ করেন। তারা প্রথমে সিরিয়া ও প্যালেস্টাইন জয় করেন। এরপর ইখশিদীয়রা মক্কা ও মদিনা নগরীও তাদের সাম্রাজ্যভুক্ত করেছিলেন।
উত্তরাধিকারী : মুহাম্মদ ইবনে তুগঞ্জের পর তার দুই পুত্র উত্তরাধিকারী নিযুক্ত হন। কিন্তু তারা যোগ্য শাসক ছিলেন না। তারা নামেমাত্র শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। তাদের সময়ে হাবশী খোঁজা কাফুরই ছিলেন সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী।
ইখশিদীয় বংশের পতন : ইখশিদীয় শাসকদের দুর্বলতার কারণে তাদের পতন ঘটে। শেষ ইখশিদীয় শাসক আব্দুল ফওয়ারিস ৯৬৯ সালে ফাতেমীয় সেনাপতি জওহারের হাতে পরাজিত হলে ইখশিদীয় বংশের শাসন ক্ষমতা ফাতেমীয়দের হাতে চলে যায়। যার ফলে ইখশিদীয় বংশের পরিসমাপ্তি ঘটে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইখশিদীয় শাসকগণ জনকল্যাণমূলক ব্যাপক কাজ করেন। কিন্তু তারা ৯৩৯ সাল থেকে ৯৬৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ইখশিদীয়রা মাত্র ৩০ বছর শাসন করে বিভিন্ন রাজ্য জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ইখশিদীয় বংশ সম্বন্ধে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ইখশিদীয় বংশ সম্বন্ধে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।