ডুর্খেইমের সামাজিক সংহতির ধারণাটি ব্যাখ্যা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ডুর্খেইমের সামাজিক সংহতির ধারণাটি ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ডুর্খেইমের সামাজিক সংহতির ধারণাটি ব্যাখ্যা কর ।
ডুর্খেইমের সামাজিক সংহতির ধারণাটি ব্যাখ্যা কর |
ডুর্খেইমের সামাজিক সংহতির ধারণাটি ব্যাখ্যা কর
- ডুর্খেইম এর মতে, সামাজিক সংহতির ধারণা দাও
উত্তর : ভূমিকা : মানুষ সামাজিক জীব। যে সমাজে বসবাস করে না সে হয় পশু না হয় দেবতা। সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে এমিল ডুর্খেইম সমাজের সংহতির ধারণাটি আলোচনা করেন। সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে তাঁর এই ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ।
সামাজিক সংহতি ধারণা : ডুর্খেইম সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে যেসব ধারণা দেন তার মধ্যে অন্যতম হলো সামাজিক সংহতি ধারণা। এটি শ্রম বিভাজন তত্ত্ব থেকে উদ্ভব। তিনি সামাজিক সংহতিকে দুই ভাগে ভাগ করেন। যথা-
১. যান্ত্রিক সংহতি : সমাজের যান্ত্রিক সংহতি বলতে তিনি এমন এক সংহতিকে বুঝিয়েছেন যেখানে সামাজিক সভ্যদের মধ্যে গভীর সাদৃশ্য বিদ্যমান। এই সংহতি দ্বারা সমাজের মানুষ একজন আরেকজনের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কে আবদ্ধ থাকে।
২. জৈব সংহতি : জৈব সংহতি হচ্ছে বৈসাদৃশ্যের ঐকমত্য। সমাজের মানুষের মধ্যে কোন মিল থাকে না। তারা একজন অন্যজনের কাছ থেকে পৃথক থাকে।
তাঁর মতে, সমাজের উন্নতির সাথে সাথে জৈব সংহতি বৃদ্ধি পায়। জ্ঞানবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে মানুষ সমাজ থেকে আলাদা হতে পারে। ডুর্খেইম মানুষের এসব বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মানুষ সামাজিক জীব। সমাজব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হচ্ছে।
ডুর্খেইম এর সামাজিক সংহতি ধারণাটি সমাজবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। তিনি সমাজের এই চিরাচরিত সত্যটি তুলে ধরেছেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ডুর্খেইমের সামাজিক সংহতির ধারণাটি ব্যাখ্যা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ডুর্খেইমের সামাজিক সংহতির ধারণাটি ব্যাখ্যা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।