বুয়াইয়াদের উদ্ভবের প্রেক্ষাপট কি ছিল
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বুয়াইয়াদের উদ্ভবের প্রেক্ষাপট কি ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বুয়াইয়া গোষ্ঠী কিভাবে আব্বাসীয় খিলাফতের সাথে যুক্ত হয় ।
বুয়াইয়াদের উদ্ভবের প্রেক্ষাপট কি ছিল |
বুয়াইয়াদের উদ্ভবের প্রেক্ষাপট কি ছিল
উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় খিলাফতকালে যে কয়টি রাজবংশের উদ্ভব ঘটেছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো বুয়াইয়া রাজবংশ। মূলত নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামের ছায়াতলে এসে বুয়াইয়া রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করা ইসলাম তথা বিশ্ব মুসলিম ইতিহাসে এক নব অধ্যায়ে সূচনা।
বুয়াইয়া গোষ্ঠী কিভাবে আব্বাসীয়দের সাথে সংযুক্ত হয়েছিল। এটি ঐতিহাসিকদের মাঝে মত বিরোধ থাকলেও তাদের উদ্ভবের ঘটনাটি ছিল ইসলামের ইতিহাসে চমকপ্রদ ।
→ বুয়াইয়াদের উত্থানের পটভূমি : বুয়াইয়া রাজবংশের উত্থানের পটভূমি নিম্নে তুলে ধরা হলো :
১. সৈন্যবাহিনী গঠন : আবু সুজা ছিলেন বুয়াইয়াদের প্রধান ও বুয়াইয়া রাজবংশ প্রতিষ্ঠাতা। তার তিন পুত্র আহমদ, আলী এবং হাসান অত্যন্ত নিজ মেধা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় তারা রাজ্য বিস্তার ও নিজেদের শক্তিশালী করার লক্ষ্যে শত শত লোক নিয়ে একটি সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনী গঠন করেন ।
২. বুয়াইয়াদের বাগদাদে আক্রমণ : বাগদাদের খলিফা আল মুস্তাকফী উপাধিধারী আবুল কাসিম আব্দুলাহ তুর্কিদের আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে বুয়াইয়াদের বাগদাদ আক্রমণের আমন্ত্রণ জানান। আবু সুজার পুত্র আহমদ অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে তুর্কিদের বাগদাদ থেকে বিতাড়িত করেন। তখন খলিফা আহমদকে 'আজাদ-উদ- দৌলা' উপাধি দিয়ে আমির উল উমরা পদে বহাল করেন।
৩. ধর্মগ্রহণ : খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বুয়াইয়াদের উত্থানের সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা হলো তারা নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামের সংস্পর্শে এসে শিয়া মতাবলম্বী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা ছিল ইসলামের ইতিহাসে অভূতপূর্ব সূচনা।
৪. রাজ্যবিস্তার : বুয়াইয়ারা সামানীদের কাছ থেকে ইস্পাহান, সিরাজ, আহওয়াজ, খুজিস্তান এবং কারমান অঞ্চল দখল করে সিরাজ নগরীতে রাজধানী স্থাপন করেন। তুর্কি বিতাড়নের জন্য বাগদাদের খলিফা মুসতাকফি বুয়াইয়াদের বাগদাদে আমন্ত্রণ জানান এবং তারা বাগদাদে গিয়ে তুর্কি বিতাড়ন করে। পরবর্তীতে ৯৪৫ সালে আহমেদ কর্তৃক বাগদাদে বুয়াইয়া রাজবংশ শাসন ক্ষমতা লাভ করে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বুয়াইয়াদের ক্ষমতা দখল ও উত্থান আব্বাসীয় খিলাফতের জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক অধ্যায়। আজাদ-উদ-দৌলার প্রচণ্ড আক্রমণে তুর্কীদের প্রভাব থেকে আব্বাসীয় খিলাফত মুক্ত হলেও তাদের হাতে থেকে যায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বুয়াইয়া গোষ্ঠী কিভাবে আব্বাসীয় খিলাফতের সাথে যুক্ত হয়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বুয়াইয়াদের উদ্ভবের প্রেক্ষাপট কি ছিল। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।