সিফিলিস রোগের প্রতিকার ও সিফিলিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সিফিলিস রোগের প্রতিকার ও সিফিলিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সিফিলিস রোগের প্রতিকার ও সিফিলিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা ।
সিফিলিস রোগের প্রতিকার ও সিফিলিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা |
সিফিলিস রোগের প্রতিকার ও সিফিলিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- সিফিলিস রোগের প্রতিরোধ ও রোগ নির্ণয় সম্পর্কে আলোচনা কর।
- সিফিলিস রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধের উপায় বর্ণনা কর।
উত্তর : | ভূমিকা : উপদংশ রোগ সাধারণত সিলিফিস নামে পরিচিত। অনেকে আবার এটাকে ফিরীগি রোগও বলে। ১৫৩০ সালে ভেনিস শহরে একটি কবিতা প্রকাশিত হয় এবং লেখক ছিলেন একজন চিকিৎসক, কবিতাটিতে ছিলো সিফিলিস নামক এক রাখালের কথা, গ্রিকদেবতা এপোলোকে অপমান করার ফলে সে এ রোগ দিয়ে শাস্তি প্রাপ্ত হয় এবং এভাবেই সিফিলাসের নাম থেকেই নামকরণ করা হয় সিফিলিস →
সিফিলিস রোগ প্রতিরোধের উপায় :
১. অবাধ ও ঝুঁকিপূর্ণ দৈহিক মিলন থেকে দূরে রাখতে হবে ।
২. নিষিদ্ধ পল্লিতে যাতায়াত বন্ধ করতে হবে।
৩. ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক মূল্যবোধ মেনে চলতে হবে ।
৪. রক্ত গ্রহণের পূর্বে পরীক্ষা করে দেখতে হবে সিফিলিস এর জীবাণু আছে কি না।
৫. কারও ব্যবহার করা ব্লেড, সুচ, কাঁচি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
৬. গর্ভবর্তী মায়েদের নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে ।
৭. দৈহিক মিলনে প্রয়োজনে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে।
৮. পতিতাবৃত্তি উচ্ছেদ করতে হবে।
→ রোগ নির্ণয় :
১. অণুবীক্ষণগত পরীক্ষা : উপদংশের ক্ষতে ২৪ ঘণ্টা আগ থেকেই ঔষধ লাগানো বা ধোয়া নিষেধ। লবণাক্ত পানি দ্বারা ধুয়ে নেবার পরে চাপ দিলে যে তরল পদার্থ বের হবে তা একটি কাঁচের পাত্রে সংগ্রহ করে অন্ধকার পটভূমিতে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে জীবন্ত স্পাইকোরিট সন্ধান করা হয়। এ পদ্ধতিকে ডার্ক গ্রাইন্ড মাইক্রোস্কোপি বলে ।
২. রক্ত পরীক্ষা : এটা ২ প্রকার যথা : (ক) অনির্দিষ্ট পরীক্ষা ও (খ) সুনির্দিষ্ট পরীক্ষা :
(ক) অনির্দিষ্ট পরীক্ষা : ভিডিআর এল এর পুরোনাম ভেনারেল ডিজিজ রিমার্চ ল্যাবরেটরি টেস্ট। আগেকার ওমায়ারম্যান রিন্যাকশন। পরীক্ষার বদলে এটা করা হয়। রক্ত মস্তকে (Serum) প্রতিরক্ষিতা বা অ্যান্টিবডি (বিয়োজন) এর আবির্ভাবের উপরই ফলাফল নির্ভর করে ।
(খ) সুনির্দিষ্ট পরীক্ষা :
১. বজরবড ফ্লুয়োমেন্ট, ট্রিপোনেমাল অ্যান্টিবডি টেস্ট (FTAAbs)
2. Treponema pollidum পোলাইডাম, হিমাগ্লুটিনেশন টেস্ট।
3. Treponema pollidum অনড়করণ পরীক্ষা বা TP ইমোবিলাইজেশন টেস্ট (TPI)
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সিফিলিস সাধারণত অন্তরঙ্গ দৈহিক মিলন থেকে তার সঙ্গীর দেহ থেকে সুস্থ ব্যক্তির শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি দিয়ে বা চর্মের কোথাও কাটাছেঁড়া থাকলে তার মাধ্যমে ছড়ায় তাই এ রোগ নির্ণয় যথেষ্ট কঠিন
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সিফিলিস রোগের প্রতিকার ও সিফিলিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সিফিলিস রোগের প্রতিকার ও সিফিলিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।