বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার তুলনামূলক আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার তুলনামূলক আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার তুলনামূলক আলোচনা কর।
বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার তুলনামূলক আলোচনা কর |
বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার তুলনামূলক আলোচনা কর
- অথবা, বাস্তবমুখী ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার মধ্যে পার্থক্য কীরূপ?
- অথবা, বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার মধ্যে বৈসাদৃশ্য দেখাও।
উত্তর : ভূমিকা : নারী ও পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে নারীর যে চাহিদা বা প্রয়োজন তাকে জেন্ডার চাহিদা বলা হয়।
বিভিন্ন গবেষণায় জেন্ডার স্বার্থকে জেন্ডার চাহিদা' বলে অভিহিত করা হয়েছে। জেন্ডার চাহিদাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হলো বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা, আর অন্যটি হলো কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা ।
বাস্তবমুখী ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা : বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা এবং কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা একে অপরের পরিপূরক। তবে উভয়ের প্রয়োগ ও ধারণায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। পার্থক্যসমূহ নিম্নরূপ :
১. সমাজে বিদ্যমান জেন্ডার শ্রমবিভাগের ভিত্তিতে বাস্তবমুখী বা ব্যবহারিক জেন্ডার চাহিদার উদ্ভব ঘটে। অন্যদিকে, পুরুষের অধীন অবস্থার পরিবর্তন থেকে কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার উদ্ভব হয় ।
২. বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা নারীরা অতি সহজেই চিহ্নিত করতে পারে। কিন্তু কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা নারীদের পক্ষে সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।
৩. বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদার পরিবর্তন হয় তাৎক্ষণিকভাবে। এটি অবিলম্বে পূরণযোগ্য এবং স্বল্পমেয়াদী। অপরপক্ষে, কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার প্রয়োজন তাৎক্ষণিকভাবে পড়ে না। বরং এটি অবিলম্বে পূরণীয় নয় এবং দীর্ঘমেয়াদী। 1
৪. বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা এক একজন নারীর কাছে এক এক রকম হয়ে থাকে। কিন্তু কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা সকল নারীর কাছে একই রকম হয়ে থাকে।
৫. বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা নারীর অধস্তন অবস্থানের কোনো পরিবর্তন সাধন করে না। অন্যদিকে, কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা সমাজে নারীর অধস্তন লক্ষণীয় পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
৬. বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা পরিপূরণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সমাজে নারীমুক্তি বা নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব।
৭. বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা নারীর অবস্থার উন্নয়ন ঘটায়। অন্যদিকে কৌশলমুখী জেন্ডার চাহিদা নারীর অবস্থানের উন্নয়ন ঘটায় ।
৮. বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদায় নারীরা উপকারভোগী হিসেবে থাকে। কিন্তু কৌশলগত জেন্ডার চাহিদায় নারীরা থাকে পরিবর্তনের প্রতিনিধি ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা বিদ্যমান জেন্ডার ভূমিকা পালনে সহায়তা করে। আর কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা বিদ্যমান জেন্ডার ভূমিকা পরিবর্তনের সাহায্য করে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নে ব্যবহারিক জেন্ডার চাহিদাগুলোকে প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
কিন্তু নারীমুক্তির জন্য বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা পূরণ যথেষ্ট নয়। তবে নারীর অবস্থা বা অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য উভয় চাহিদা অবশ্য পূরণীয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাস্তবমুখী ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার মধ্যে পার্থক্য কীরূপ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদার মধ্যে বৈসাদৃশ্য দেখাও। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।