বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠনের উদ্দেশ্য কি ছিল
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাকশাল গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠনের উদ্দেশ্য কি ছিল ।
বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠনের উদ্দেশ্য কি ছিল |
বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠনের উদ্দেশ্য কি ছিল
- বাকশালের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী ছিল?
- বাকশালের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সংক্ষেপে লিখ ।
উত্তর :ভূমিকা : স্বাধীনাত্তোর বাংলাদেশে 'বাকশাল' ছিল এক অভিনব শাসনব্যবস্থা। 'বাকশাল' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
→ বাকশালের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : যে সকল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বাকশাল গঠন করা হয় তা নিচে আলোচনা করা হলো :
১. বাংলাদেশ সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র এ ৪টি মূলনীতি বাস্তবায়ন করা। ২. বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি বিধান করা ।
৩. নারী- -পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা।
৪. মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যবোধের স্বীকৃতি দান করা ৷ ৫. মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিকাশের পরিপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করা । ৬. ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতার বিলোপ সাধন করা।
৭. কৃষক-শ্রমিকসহ মেহনতি ও অনগ্রসর জনগণের ওপর শোষণ অবসানের জন্য পূর্ণ অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শোষণমুক্ত ও সুষম সাম্যভিত্তিক এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
৮. সর্বাঙ্গীণ-গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ও পর্যায়ক্রমিক যান্ত্রিকীকরণ এবং সমবায়ভিত্তিতে চাষাবাদ পদ্ধতির প্রচলন করা।
৯. কৃষি ও শিল্পের প্রসার, উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন বণ্টন ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কৃষক শ্রমিকের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা ।
১০. মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও অধিকতর কর্মসংস্থান বিপ্লবোত্তর সমাজের প্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ গণমুখী সর্বজনীন সুলভ গঠনাত্মক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা ।
১১. অন্নবস্ত্র, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যরক্ষাসহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনধারণের মৌলিক সমস্যাবলির সমাধান, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বয়ম্ভর অর্থনীতির সুদৃঢ় ভিত্তি রচনা করা।
১২. ব্যক্তিগত সম্পত্তির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা।
১৩. বিচার ব্যবস্থার কালোপযোগী জনকল্যাণকর পরিবর্তন সাধন এবং গণজীবনের সর্বস্তর থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা ।
১৪. বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার সকল প্রচেষ্টায় সাহায্য ও সহযোগিতা করা এবং সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, বা বর্ণ বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সংগত মুক্তির সংগ্রামকে সমর্থন করা।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাকশালের উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতির মূল উৎপাটন করা, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি করা, জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা, সর্বোপরি জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করা, রাজনীতিতে ব্যাপক মতাদ্বৈততা, অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক সংকট, সামাজিক সংকট, দুর্নীতি, ঘুষ, সংহতির সংকট প্রকট রূপে আবির্ভূত হয় যা মোকাবিলা করার জন্য বাকশাল কায়েম করা হয়। তবে এর সুফল বঙ্গবন্ধু দেখে যেতে পারেননি ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাকশাল গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠনের উদ্দেশ্য কি ছিল । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।