বাগদাদ নগরী ধ্বংসের কারণ উল্লেখ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাগদাদ নগরী ধ্বংসের কারণ উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাগদাদ নগরী ধ্বংসের কারণ উল্লেখ কর।
বাগদাদ নগরী ধ্বংসের কারণ উল্লেখ কর |
বাগদাদ নগরী ধ্বংসের কারণ উল্লেখ কর
উত্তর : ভূমিকা : বিশ্বের তদানীন্তন শ্রেষ্ঠ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাগদাদ নগরী। আব্বাসীয় খিলাফত হারুনুর রশীদ ছিলেন এক সহস্র নগরীর জনক। মূলত তারই হাত ধরে বাগদাদ নগরী গোড়াপত্তন হয়। বাগদাদ ছিল আব্বাসীয় খিলাফতের রাজধানী।
বিশ্বের জমকালো নগরী ও বিশ্ব সভ্যতার শ্রেষ্ঠ স্থান হিসেবে বাগদাদ নগরী ইতিহাস সন্ধান করেছিল। ১২৫৮ সালে এক ধ্বংসের কালিমা লোপন করে হালাকু খান বাগদাদ ধ্বংস করেন।
বাগদাদ ধ্বংসের ঘটনা নিয়ে বাগদাদ ধ্বংসের ঘটনা তুলে ধরা হলো :
১. হালাকুর চরমপত্র প্রেরণ : গুপ্তঘাতকদের ধ্বংস করে বিজয়ী হালাকু খান তার কর্মস্থল পারস্যের হামাদান ত্যাগ করে খোরাসানের ভেতর দিয়ে অগ্রসর হয়ে খলিফাকে আত্মসমর্পণ করতে এবং বাগদাদের বহির্দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলতে এক চরমপত্র পাঠান। কিন্তু খলিফা এতে কর্ণপাত না করলে হালাকু খান বাগদাদ অরোধ করেন।
২. বাগদাদ অবরোধ : ১২৫৮ সালের জানুয়ারি মাসে | হালাকু খান বাগদাদ অবরোধ করেন। তিনি পূর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে এবং তার সেনাপতি বাহদুর উত্তর দিক থেকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম দিকে আক্রমণ পরিচালনা করেন। এ সম্মিলিত বাহিনীতে লক্ষাধিক সৈন্য ছিল বলে ঐতিহাসিক মিনহাজ উস সিরাজ তার তবাকাত-ই-নাসারী গ্রন্থ উল্লেখ করেছেন। পক্ষান্তরে খলিফার সৈন্য ছিল মাত্র ২০,০০০ হাজার।
৩. খলিফার বাহিনীর বাধা প্রদান : খলিফার বাহিনী হালাকু খানকে রুখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। তারা মোঙ্গল অতিক্রম করে প্রথমে তিকরিত এবং পরে দুজায়েল নামক স্থানে সেতু ভেঙে দিয়ে বাধা দানের চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ধর্ষ মোঙ্গল বাহিনীর | বিরুদ্ধে এটি ছিল অপচেষ্টা মাত্র।
৪. খলিফার আত্মসমর্পণ ও হত্যাকাণ্ড: মোঙ্গল ক্ষেপণাস্ত্র বৃহৎ (প্রস্তর খও ও জ্বলন্ত অগ্নি) বাগদাদের বহির্দেয়াল ভেঙ্গে ফেলতে সমর্থ হলে ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা খলিফার মন্ত্রী আল কামীর নেতৃত্বে হালাকু খানের নিকট সন্ধি প্রার্থনা করেন।
এটি উপেক্ষা করে মোঙ্গল বাহিনী 80 দিন অবরোধের পর ১২৫৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নগর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। বাধ্য হয়ে খলিফা ৩০০ অনুচরবর্গসহ আত্মসমর্পণ করেন। প্রাণ রক্ষার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও হালাকু খান খলিফাকে ও নিরস্ত জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করেন।
খলিফা মুসতাসিমকে হত্যা করার পরিণতি সম্পর্কে হালাকু খানকে সাবধান করে দেওয়া হয় যে, “খলিফাকে হত্যা করা হয় তবে বিশ্বজগতে চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হবে, সূর্য উদিত হবে না, অনাবৃষ্টি দেখা দেবে এবং মাটিতে আর ফসল ফলবে না।
কিন্তু এসব স্তুতিবাক্য হালাকুকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। খলিফা ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রায় সকলকে হত্যা করা হয় । বাগদাদ নগরীকে করা হয় ধূলিসাৎ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, হালাকু খান কর্তৃক বাগদাদ নগরীর ধ্বংসযজ্ঞ মানবসভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম জঘন্য ঘটনা। ঐতিহাসিক ব্রাউন বলেছেন, সম্ভবত এত বড় ও সমৃদ্ধশালী একটি সভ্যতা এত দ্রুত অগ্নিশিখায় বিধ্বস্ত ও রক্তধারার নিশ্চিন্ন হয়নি। সত্যই বাগদাদ ধ্বংসের ঘটনা ছিল মানব ইতিহাসে জঘন্যতম ঘটনা
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাগদাদ নগরী ধ্বংসের কারণ উল্লেখ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাগদাদ নগরী ধ্বংসের কারণ উল্লেখ কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।