বাগদাদ নগরী সম্পর্কে একটি টীকা লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাগদাদ নগরী সম্পর্কে একটি টীকা লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাগদাদ নগরী সম্পর্কে একটি টীকা লেখ।
বাগদাদ নগরী সম্পর্কে একটি টীকা লেখ |
বাগদাদ নগরী সম্পর্কে একটি টীকা লেখ
উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে খিলাফত লাভ করে যেমন আব্বাসীয় বংশ শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন তেমনি একাধারে তিনি প্রজাসাধারণের মঙ্গলসাধনের নিমিত্তে বেশ কিছু কাজ করেছিলেন।
তন্মধে তার চিরস্মরণীয় গৌরবময় কীর্তি হলো বাগদাদ নগরী প্রতিষ্ঠা।। খলিফা মনসুর পারস্যের বিখ্যাত সম্রাট কিসরা নওশিরওয়ানের, গ্রীমবাস বাগদাদকে তার রাজধানী করেন। এটি দজলা নদীর পশ্চিম তীরে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত ছিল।
বাগদাদ নগরী : বাগদাদ নগরী দজলা নদীর তীরে অবস্থানের ফলে এ নগরীর সাথে নৌপথে সিরিয়া, মেসোপটেমিয়া, আর্মেনিয়া ও সাম্রাজ্যের অন্যান্য স্থানের এবং বহির্বিশ্বের এমনকি সুদূর চীনের সাথে সহজতর যোগাযোগ স্থাপন সম্ভবপর হয়ে ওঠে।
সিরিয়া, মেসোপটেমিয়া প্রভৃতি অঞ্চল হতে আনীত প্রায় ১,০০,০০০ শ্রমিক ও শিল্পী সুদীর্ঘ ৪ বছর অর্থাৎ ৭৬২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭৬৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করে এ নগরী নির্মাণ করে। এই নগরীর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৪৮,৮৩,০০০ দিরহাম।
নগরের বর্ণনা : এই নগরটি ছিল বৃত্তাকার ও দুই প্রাচীরবেষ্টিত। এর কেন্দ্রস্থলে রাজপ্রাসাদ, জুমা মসজিদ, প্রধান প্রধান রাজকর্মচারীর অট্টালিকাসমূহ, মনোমুগ্ধকর উদ্যান, কৃত্রিম ফোয়ারা, সুসজ্জিত তোরণ, সুবিন্যস্ত রাজপথ ছিল যা ৪০ হাত প্রশস্ত ছিল। রাস্তার মেড়ে মোড়ে পুলিশ এবং শহরের সু-উচ্চ বুরুজবিশিষ্ট তোরণগুলোতে সৈন্যগণ পালাক্রমে দিবারাত্রি পাহারা দিতো।
শহরবাসীর শাস্তিপূর্ণ জীবন-যাপন : আরব্য উপন্যাসে বর্ণিত রূপকথার ঐশ্বর্যময়ী বাগদাদ তদানীন্তন বিশ্বের বিস্ময় ছিল। কালক্রমে এটা প্রাচ্যের তথা সারা বিশ্বের জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষা, সভ্যতা এবং বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
মনসুরের সময় শহরে বসবাসকারী জনসাধারণ সুখ-শান্তিতে জীবন-যাপন করতো। সেই সময় বাগদাদে ১ দিরহাম অর্থাৎ ২৫ পয়সায় ১ মণ গো-মাংস, ত্রিশ সের খাসির মাংস, ৫ সের মধু অথবা ৬ সের ঘি পাওয়া যেতো।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মনসুর কর্তৃক ৪ বছরব্যাপী নির্মিত এই নগরী আব্বাসীয় শাসনের একটি গৌরবময় বিষয়। আর এই নগরটি ছিল ঐশ্বর্য ও সৌন্দর্যের জন্য সমগ্র পৃথিবীতে সমাধিক পরিচিত। আর এই নগরী আল মনসুরের সময় থেকে শুরু করে আব্বাসীয় শাসনের শেষ পর্যন্ত রাজধানীর মর্যাদায় আসীন ছিল।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাগদাদ নগরী সম্পর্কে একটি টীকা লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাগদাদ নগরী সম্পর্কে একটি টীকা লেখ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।